ধুপগুড়ি, 13 জুন: তৃণমূলের বিদায়ী পঞ্চায়েত প্রধানের নাকি বিজেপিতে যোগাদানের কথা ছিল ৷ তাঁকে আটকে রেখে গেরুয়া শিবিরে যোগদানে বাধা দেওয়ার অভিযোগ উঠল । প্রধান-সহ একাধিক পরিবার শাসক দল তৃণমূল কংগ্রেসে বড়সড় ভাঙন ধরিয়ে বিজেপিতে যোগদানের সিদ্ধান্ত নিয়েছিল ৷ কিন্তু প্রধানকে আটকে রাখায় তাঁকে ছাড়াই 130 জন বিজেপিতে যোগ দিলেন । পঞ্চায়েত নির্বাচনের প্রাক মুহূর্তে এই ঘটনায় চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে ৷
সোমবার সন্ধ্যায় ধূপগুড়ি ব্লকের ঝাড় আলতা 1নং গ্রাম পঞ্চায়েতের বিদায়ী পঞ্চায়েত প্রধান মমতা রায়ের বুথে তৃণমূল কংগ্রেস ছেড়ে প্রায় 130 জন বিজেপিতে যোগদান করেন । তৃণমূলের বিদায়ী পঞ্চায়েত প্রধান মমতা রায়ের বাড়ির পাশেই একটি বাড়িতে এই যোগদান শিবিরে দেখা গিয়েছে পঞ্চায়েত প্রধানের পরিবারের লোকজনকে । মমতা রায়েরও এ দিন বিজেপিতে যোগদান করার কথা ছিল বলে জানা গিয়েছে ।
কিন্তু এই খবর চাউর হতেই তৃণমূল অঞ্চল সভাপতির পক্ষ থেকে তাঁর উপর চাপ আসতে শুরু করে এবং কার্যত মমতা রায়কে তাঁর বর্তমান দলের লোকজন আটকে রেখেছেন বলে অভিযোগ করেছেন বিজেপি নেতা কমলেশ সিংহ রায় । আগামী দিনে মমতা রায় বিজেপিতে যোগদান করবেন বলে দাবি করেছে বিজেপি ।
পঞ্চায়েত প্রধানের ছেলে সুমন রায় জানিয়েছেন, "মা কোথায় আছে জানি না, মায়ের সঙ্গে কথা হয়নি । তবে দলবদলের বিষয়ে আমি কিছু বলতে পারব না ।" বিজেপি নেতা কমলেশ সিংহ রায়ের বক্তব্য, "পঞ্চায়েত প্রধান আসার কথা থাকলেও তাঁকে আটকে দেওয়া হয়েছে ৷ কারণ প্রধান বিজেপিতে যোগদান করলে তৃণমূলের দুর্নীতি বেরিয়ে আসবে । আজ তৃণমূল চেষ্টা করল, তাতে সফল হলেও আগামীতে প্রধানকে বিজেপিতে যোগদান করতে বাধা দিতে পারবে না ।"
আরও পড়ুন: উত্তরবঙ্গে উলটপুরাণ ! তৃণমূলকে হারাতে জোট বাঁধল রাম-বাম-কংগ্রেস
যদিও ঝাড় আলতাগ্রাম 1 নং গ্রাম পঞ্চায়েতের অঞ্চল সভাপতি হরিচরণ রায় প্রধানকে আটকে রাখার অভিযোগ অকপটে অস্বীকার করলেও তাঁকে প্রধানকে চাপ সৃষ্টি করার বিষয়ে প্রশ্ন করতেই তিনি স্পষ্ট বলেন, দলের অঞ্চল সভাপতি হিসেবে প্রধানকে বলা হলে তাতে তো চাপ সৃষ্টি করার বিষয় নেই । দলের প্রধানকে বলা যেতেই পারে ।
এ দিনের যোগাদান কর্মসূচিতে উপস্থিত ছিলেন ধূপগুড়ি পশ্চিম মণ্ডল বিজেপির সভাপতি কমলেশ সিংহ রায়, পশ্চিম মণ্ডলের সাধারণ সম্পাদক দেবব্রত সরকার-সহ অন্যান্য বিজেপি নেতারা ।