ETV Bharat / state

জলপাইগুড়ি কোরোনা হাসপাতালের পরিস্থিতি নিয়ে ভিডিয়ো, বিতর্কে OSD - Corona Situation

জলপাইগুড়ি কোরোনা হাসপাতালের খারাপ পরিস্থিতির ভিডিয়ো ভাইরাল করেছিলেন কোরোনা রোগীরা ৷ কিন্তু, সেই ভিডিয়ো রাজনৈতিক কারণে ছড়ানো হচ্ছে বলে দাবি করে হাসপাতালের সুব্যবস্থার ভিডিয়ো সংবাদমাধ্যমগুলোকে দেন OSD ৷ হাসপাতালে মোবাইল নিষিদ্ধ হলে কীভাবে OSD ভিডিয়োগুলি দিতে পারেন তা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছে বিরোধীরা ৷

জলপাইগুড়ি কোরোনা হাসপাতালের পরিস্থিতি নিয়ে ভিডিয়ো বিতর্কে OSD
জলপাইগুড়ি কোরোনা হাসপাতালের পরিস্থিতি নিয়ে ভিডিয়ো বিতর্কে OSD
author img

By

Published : Jul 28, 2020, 5:44 PM IST

Updated : Jul 28, 2020, 5:56 PM IST

জলপাইগুড়ি, 28 জুলাই : কোরোনা হাসপাতালের বেহাল পরিষেবা নিয়ে ভিডিয়ো তুলে সোশাল মিডিয়ায় প্রশ্ন তুলেছিলেন কোরোনা আক্রান্তরা ৷ হাসপাতালগুলিতে মোবাইলের ব্যবহার বন্ধের বিষয়ে কড়া পদক্ষেপ নেওয়ার কথা বলা হয় ৷ তবে, ফের হাসপাতালের সুব্যবস্থার ছবি তুলে সোশাল মিডিয়ায় পোস্ট করা হয় ৷ খোদ উত্তরবঙ্গের বিশেষ দায়িত্বপ্রাপ্ত আধিকারিক (OSD) কোরোনা হাসপাতালের সুব্যবস্থার এই ভিডিয়ো ভাইরাল করছেন বলে অভিযোগ বিরোধীদের ৷ তাঁর পদত্যাগের দাবিও করছে তারা ৷

কোরোনা হাসপাতালের ভিতর মোবাইল রাখা চলবে না ৷ যারা হাসপাতালের ভিডিয়ো করে বাইরে পাঠাচ্ছে তারা ঠিক করছে না ৷ রাজনীতির জন্য এটা করা হচ্ছে বলে অভিযোগ করেছিলেন OSD নিজেই ৷ তারপর নিজেই কোরোনা হাসপাতালের সুব্যবস্থার ছবি তুলে সাংবাদিক ও শাসকদলের কর্মীদের পাঠিয়ে সোশাল মিডিয়াতে ভাইরাল করছেন বলে OSD-র বিরুদ্ধে অভিযোগ উঠেছে ৷ যেখানে নিজে বলছেন, হাসপাতালের ভিতর মোবাইল ব্যবহার নিষিদ্ধ সেখানে তিনি নিজে কী করে হাসপাতালের ভিতরের সুব্যবস্থার ভিডিয়ো ভাইরাল করাচ্ছেন, তা নিয়ে উঠতে শুরু করেছে প্রশ্ন ৷

প্রসঙ্গত, কয়েকদিন ধরেই জলপাইগুড়ি বিশ্ববাংলা ক্রীড়াঙ্গন কোরোনা হাসপাতাল ও রানিনগরের কোরোনা রোগীদের সেফ হোমের বেহাল অবস্থার ছবি সোশাল মিডিয়ায় ভাইরাল করেছিলেন সেখানে থাকা কোরোনা রোগীরা ৷ রানিনগরে কোরোনা আক্রান্তদের সকালে ডিম, কলা, পাউরুটি দেওয়ার কথা ৷ কিন্তু, তার বদলে মিলছিল লুচি তরকারি ৷ আবার বিশ্ববাংলা ক্রীড়াঙ্গনে ডিম, কলা, পাউরুটি দেওয়া হলেও তা দেওয়া হত খবরের কাগজ বা প্লাস্টিকের মধ্যে ৷ চিকিৎসকরাও নিয়মিত চেক আপেও আসেন না বলে অভিযোগ তুলেছিলেন রোগীরা ৷ একই দাবি ছিল CPI(M)-র রাজ্য সম্পাদক সূর্যকান্ত মিশ্রও ৷ তিনিও সোশাল মিডিয়ায় জলপাইগুড়ির বেহাল স্বাস্থ্য পরিষেবা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছিলেন ৷ তারপরই শোরগোল পড়ে যায় ৷ রাজ্য সরকারের পরিষেবা নিয়ে প্রশ্নের ঝড় ওঠে সোশাল মিডিয়ায় ৷

জলপাইগুড়ি কোরোনা হাসপাতালের পরিস্থিতি নিয়ে ভিডিয়ো বিতর্কে OSD

এরপরই জলপাইগুড়ি কোরোনা হাসপাতালে সারাদিন জল না পেয়ে হাসপাতাল থেকে বেরিয়ে এসে বিক্ষোভ দেখান কোরোনা রোগীরা ৷ তারপরই তড়িঘড়ি বিষয়টি নিয়ে বৈঠক করেন জলপাইগুড়ি রোগী কল্যাণ সমিতির চেয়ারম্যান বিজয়চন্দ্র বর্মণ, জেলাশাসক অভিষেক কুমার তিওয়ারি, OSD সুশান্ত রায়-সহ জেলা প্রশাসনের আধিকারিকরা ৷ কার্যত জলের সমস্যার কথা স্বীকার করে নেন সমিতির চেয়ারম্যান ৷ তারপরই উন্নত করা হয় খাবারের মান ৷ হাসপাতালের সাফাইয়ের কাজও শুরু হয় ৷

OSD সুশান্ত রায়ের অভিযোগ, "যাঁরা কোরোনা হাসপাতালে ছবি তুলে ভাইরাল করছেন, তাঁরা রাজনীতি করার জন্য এটা করছেন ৷ সরকারকে কালিমালিপ্ত করার জন্য এটা করছেন ৷ কোরোনা হাসপাতালের পরিষেবা যথেষ্ট ভালো ৷" হাসপাতালে ভালো খাবার দেওয়া হচ্ছে বলেও দাবি করেন তিনি ৷ বলেন, "কোরোনা হাসপাতালে কোনওরকম মোবাইল ব্যবহার করা যাবে না ৷ আমরা একবার মোবাইল বন্ধ করার চেষ্টা করেছিলাম ৷ কিছু রোগী আমাদের কর্মীদের উপর হামলা করেছিল ৷ অনেকে দুষ্টু বুদ্ধির জন্য মোবাইল ব্যবহার করছে ৷ হাসপাতালে কেমন খাবার দেওয়া হয়, কেমন পরিষেবা রয়েছে, তার ছবি আমি দিয়েছি সংবাদমাধ্যমকে ৷ যারা এমনভাবে সরকারকে কালিমালিপ্ত করছে, তাদের চিহ্নিত করা হচ্ছে ৷"

বিষয়টি নিয়ে CPI(M)-র জেলা সম্পাদক সলিল আচার্য বলেন, "আমরা OSD-র পদত্যাগ চাই ৷ কারণ, তিনি একজন চোখের চিকিৎসক ৷ তাঁকে দিয়ে কোরোনা মোকাবিলা হয় না ৷ আর তিনি যখন রাজনৈতিক চক্রান্ত দেখছেন, তাহলে তিনি মামলা করে গ্রেপ্তার করুক ৷" BJP-র জলপাইগুড়ি জেলা সভাপতি বাপি গোস্বামী বলেন, "সুব্যবস্থার ছবি দিয়ে কী হবে ৷ আগে জল, খাবার-সহ অন্য কোনও পরিষেবাই ঠিক ছিল না ৷ রোগীরা তা ভিডিয়ো করে প্রকাশ করেছেন ৷ এতে অন্যায় কিসের ৷ এখন OSD সব ধামাচাপা দিতে ভিডিয়ো তুলে প্রকাশ করছেন ৷ এটা লজ্জার বিষয় যে সরকারকে ভালো পরিষেবার ছবি তুলে সোশাল মিডিয়ায় দিতে হচ্ছে ৷"

জলপাইগুড়ি, 28 জুলাই : কোরোনা হাসপাতালের বেহাল পরিষেবা নিয়ে ভিডিয়ো তুলে সোশাল মিডিয়ায় প্রশ্ন তুলেছিলেন কোরোনা আক্রান্তরা ৷ হাসপাতালগুলিতে মোবাইলের ব্যবহার বন্ধের বিষয়ে কড়া পদক্ষেপ নেওয়ার কথা বলা হয় ৷ তবে, ফের হাসপাতালের সুব্যবস্থার ছবি তুলে সোশাল মিডিয়ায় পোস্ট করা হয় ৷ খোদ উত্তরবঙ্গের বিশেষ দায়িত্বপ্রাপ্ত আধিকারিক (OSD) কোরোনা হাসপাতালের সুব্যবস্থার এই ভিডিয়ো ভাইরাল করছেন বলে অভিযোগ বিরোধীদের ৷ তাঁর পদত্যাগের দাবিও করছে তারা ৷

কোরোনা হাসপাতালের ভিতর মোবাইল রাখা চলবে না ৷ যারা হাসপাতালের ভিডিয়ো করে বাইরে পাঠাচ্ছে তারা ঠিক করছে না ৷ রাজনীতির জন্য এটা করা হচ্ছে বলে অভিযোগ করেছিলেন OSD নিজেই ৷ তারপর নিজেই কোরোনা হাসপাতালের সুব্যবস্থার ছবি তুলে সাংবাদিক ও শাসকদলের কর্মীদের পাঠিয়ে সোশাল মিডিয়াতে ভাইরাল করছেন বলে OSD-র বিরুদ্ধে অভিযোগ উঠেছে ৷ যেখানে নিজে বলছেন, হাসপাতালের ভিতর মোবাইল ব্যবহার নিষিদ্ধ সেখানে তিনি নিজে কী করে হাসপাতালের ভিতরের সুব্যবস্থার ভিডিয়ো ভাইরাল করাচ্ছেন, তা নিয়ে উঠতে শুরু করেছে প্রশ্ন ৷

প্রসঙ্গত, কয়েকদিন ধরেই জলপাইগুড়ি বিশ্ববাংলা ক্রীড়াঙ্গন কোরোনা হাসপাতাল ও রানিনগরের কোরোনা রোগীদের সেফ হোমের বেহাল অবস্থার ছবি সোশাল মিডিয়ায় ভাইরাল করেছিলেন সেখানে থাকা কোরোনা রোগীরা ৷ রানিনগরে কোরোনা আক্রান্তদের সকালে ডিম, কলা, পাউরুটি দেওয়ার কথা ৷ কিন্তু, তার বদলে মিলছিল লুচি তরকারি ৷ আবার বিশ্ববাংলা ক্রীড়াঙ্গনে ডিম, কলা, পাউরুটি দেওয়া হলেও তা দেওয়া হত খবরের কাগজ বা প্লাস্টিকের মধ্যে ৷ চিকিৎসকরাও নিয়মিত চেক আপেও আসেন না বলে অভিযোগ তুলেছিলেন রোগীরা ৷ একই দাবি ছিল CPI(M)-র রাজ্য সম্পাদক সূর্যকান্ত মিশ্রও ৷ তিনিও সোশাল মিডিয়ায় জলপাইগুড়ির বেহাল স্বাস্থ্য পরিষেবা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছিলেন ৷ তারপরই শোরগোল পড়ে যায় ৷ রাজ্য সরকারের পরিষেবা নিয়ে প্রশ্নের ঝড় ওঠে সোশাল মিডিয়ায় ৷

জলপাইগুড়ি কোরোনা হাসপাতালের পরিস্থিতি নিয়ে ভিডিয়ো বিতর্কে OSD

এরপরই জলপাইগুড়ি কোরোনা হাসপাতালে সারাদিন জল না পেয়ে হাসপাতাল থেকে বেরিয়ে এসে বিক্ষোভ দেখান কোরোনা রোগীরা ৷ তারপরই তড়িঘড়ি বিষয়টি নিয়ে বৈঠক করেন জলপাইগুড়ি রোগী কল্যাণ সমিতির চেয়ারম্যান বিজয়চন্দ্র বর্মণ, জেলাশাসক অভিষেক কুমার তিওয়ারি, OSD সুশান্ত রায়-সহ জেলা প্রশাসনের আধিকারিকরা ৷ কার্যত জলের সমস্যার কথা স্বীকার করে নেন সমিতির চেয়ারম্যান ৷ তারপরই উন্নত করা হয় খাবারের মান ৷ হাসপাতালের সাফাইয়ের কাজও শুরু হয় ৷

OSD সুশান্ত রায়ের অভিযোগ, "যাঁরা কোরোনা হাসপাতালে ছবি তুলে ভাইরাল করছেন, তাঁরা রাজনীতি করার জন্য এটা করছেন ৷ সরকারকে কালিমালিপ্ত করার জন্য এটা করছেন ৷ কোরোনা হাসপাতালের পরিষেবা যথেষ্ট ভালো ৷" হাসপাতালে ভালো খাবার দেওয়া হচ্ছে বলেও দাবি করেন তিনি ৷ বলেন, "কোরোনা হাসপাতালে কোনওরকম মোবাইল ব্যবহার করা যাবে না ৷ আমরা একবার মোবাইল বন্ধ করার চেষ্টা করেছিলাম ৷ কিছু রোগী আমাদের কর্মীদের উপর হামলা করেছিল ৷ অনেকে দুষ্টু বুদ্ধির জন্য মোবাইল ব্যবহার করছে ৷ হাসপাতালে কেমন খাবার দেওয়া হয়, কেমন পরিষেবা রয়েছে, তার ছবি আমি দিয়েছি সংবাদমাধ্যমকে ৷ যারা এমনভাবে সরকারকে কালিমালিপ্ত করছে, তাদের চিহ্নিত করা হচ্ছে ৷"

বিষয়টি নিয়ে CPI(M)-র জেলা সম্পাদক সলিল আচার্য বলেন, "আমরা OSD-র পদত্যাগ চাই ৷ কারণ, তিনি একজন চোখের চিকিৎসক ৷ তাঁকে দিয়ে কোরোনা মোকাবিলা হয় না ৷ আর তিনি যখন রাজনৈতিক চক্রান্ত দেখছেন, তাহলে তিনি মামলা করে গ্রেপ্তার করুক ৷" BJP-র জলপাইগুড়ি জেলা সভাপতি বাপি গোস্বামী বলেন, "সুব্যবস্থার ছবি দিয়ে কী হবে ৷ আগে জল, খাবার-সহ অন্য কোনও পরিষেবাই ঠিক ছিল না ৷ রোগীরা তা ভিডিয়ো করে প্রকাশ করেছেন ৷ এতে অন্যায় কিসের ৷ এখন OSD সব ধামাচাপা দিতে ভিডিয়ো তুলে প্রকাশ করছেন ৷ এটা লজ্জার বিষয় যে সরকারকে ভালো পরিষেবার ছবি তুলে সোশাল মিডিয়ায় দিতে হচ্ছে ৷"

Last Updated : Jul 28, 2020, 5:56 PM IST
ETV Bharat Logo

Copyright © 2024 Ushodaya Enterprises Pvt. Ltd., All Rights Reserved.