জলপাইগুড়ি, 21 মে : এক নার্সিং ছাত্রীর পরিবারকে হেনস্থার অভিযোগ উঠল স্থানীয় বাসিন্দাদের একাংশের বিরুদ্ধে । ছাত্রীর সোয়াব টেস্টের রিপোর্ট নেগেটিভ আসা সত্ত্বেও তাঁর পরিবারকে কোরোনা আক্রান্ত বলে প্রচার করা হচ্ছে । এমনকী তাঁর পরিবারকে জলের কল থেকে জল নিতে নিষেধ করা হয়েছে বলে অভিযোগ । ইতিমধ্যেই জলপাইগুড়ির চাইল্ড ওয়েলফেয়ার কমিটি চেয়ারপার্সন বেবি উপাধ্যায় ঘটনাটি নিয়মিত সোশাল মিডিয়ায় পোস্ট করেছেন । তাঁরও বক্তব্য, ওই নার্সিং কর্মীর পরিবারকে কোরোনা আক্রান্ত বলে হেনস্থা করা হচ্ছে । সকলকে তাঁদের পাশে থাকার আর্জি জানানো হয়েছে।
কয়েকদিন আগে কলকাতা থেকে ফেরার পরই কোরোনায় আক্রান্ত হন জলপাইগুড়ি সদর ব্লকের এক নার্সিং ছাত্রী । তাঁর সঙ্গে জেলার আরও 13 জন ফিরেছিলেন । তার মধ্যে কয়েকজনের সোয়াব টেস্টের রিপোর্ট নেগেটিভ আসে । এরপর তাঁরা বাড়িতে ফিরে যান । তাঁদের মধ্যে এক ছাত্রীর বাড়ি জলপাইগুড়িতে । অভিযোগ, তাঁর সোয়াব টেস্টের রিপোর্ট নেগেটিভ হওয়ার পরও পরিবারকে কোরোনা আক্রান্ত বলে প্রচার করা হচ্ছে ।
ওই ছাত্রীর অভিযোগ, তাঁদের পরিবারকে হেনস্থা করা হচ্ছে। তিনি বলেন, "আমি এবং আমার দিদি কোরোনা আক্রান্ত বলে সোশাল মিডিয়ায় প্রচার করা হচ্ছে । আমাকে ফোন, মেসেজ করেও বলা হচ্ছে । আমি এতে মানসিকভাবে ভেঙে পড়েছি । বাড়ির সামনে জলের কল থেকে জল নেওয়া বন্ধ করা হয়েছে । আমরা সবাইকে বলেছি আমার রিপোর্ট নেগেটিভ।" তিনি বলেন, "আমি একজন নার্সিং ছাত্রী । আগামীদিনে সমাজ সেবা করব । আমার দিদিও নার্স । এই সময় আমার দিদিকেও হেনস্থা করা হচ্ছে । "
এদিকে কোরোনা মোকাবিলায় উত্তরবঙ্গের OSD ডাঃ সুশান্ত রায় বলেন, "এই কাজ ঠিক হচ্ছে না । যাঁরা এভাবে অপপ্রচার চালাচ্ছেন তাঁরা নির্বোধের মত কাজ করছেন । একটা অংশ কোরোনার সঙ্গে লড়াই করে যাচ্ছে আর তাঁদের বিরুদ্ধেই গুজব ছড়ানো হচ্ছে । আমি জেলা পুলিশ সুপারকে বিষয়টি কঠোরভাবে দেখার জন্য অনুরোধ করব। "