জলপাইগুড়ি, 7 জুন: জলপাইগুড়ির DBC রোডে তৃণমূল নেতার হোটেলে পেইড কোয়ারানটিন সেন্টার করা হচ্ছে। এমন খবর চাউর হতেই আন্দোলনে নামলেন স্থানীয় বাসিন্দারা। রবিবার সকালে DBC রোড অবরোধ করেন তাঁরা। স্থানীয়দের এই আন্দোলনে সামিল হন, স্থানীয় BJP ও CPI(M) নেতা ও জলপাইগুড়ি পুরসভার প্রশাসক বোর্ডের সদস্য নিপু শা। পরে কোতয়ালি থানার বিশাল পুলিশবাহিনী পৌঁছে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।
উল্লেখ্য, জলপাইগুড়ির DBC রোডের CPI(M) পার্টি অফিসের উলটো দিকে জনবহুল এলাকায় অবস্থিত ওই হোটেল। স্থানীয়দের অভিযোগ, ওই হোটেলটিকে পেইড কোয়ারানটিন সেন্টার বানাতে চায় হোটেল মালিক তথা স্থানীয় এক তৃণমূল নেতা। স্থানীয়দের আশঙ্কা, এতে এলাকায় কোরোনা সংক্রমণের ভয় থাকছে। স্থানীয় সূত্রে খবর, আজও ওই হোটেলে দু-জনকে রাখা হয়েছে। এরপরেই ক্ষোভে ফেটে পড়েন তাঁরা। রাস্তা আটকে বয়স্ক ও মহিলারা আন্দোলনে নামেন। তাঁদের দাবি, কোনও মতেই জনবহুল এলাকায় কোয়ারানটিন সেন্টার করা যাবে না। অবরোধে সামিল হন CPI(M) এর জেলা সম্পাদক সলীল আচার্য, BJP-র জেলা সহ সভাপতি অলোক চক্রবর্তী,পুরসভার প্রশাসক বোর্ডের সদস্য নিপু শা।
নিপু শা জানান, আমরা জানতামই না শহরের DBC রোডের এই হোটেলে পেইড কোয়ারানটিন সেন্টার হবে। এখানে কোনভাবেই কোয়ারানটিন সেন্টার করা যাবে না।
পরে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে নামানো হয় পুলিশ বাহিনী। ঘটনাস্থলে যান কোতয়ালি থানার IC বিশ্বাশ্রয় সরকার এবং DSP হেডকোয়ার্টার প্রদীপ সরকার। পরে পুলিশের আশ্বাসে অবরোধ তোলেন স্থানীয় বাসিন্দারা।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক স্থানীয় এক মহিলা অভিযোগ করে বলেন,হোটেল মালিক তৃণমূল নেতার অনেক টাকার দরকার তাই তিনি পেইড কোয়ারেন্টাইন সেন্টার করেছেন।আমরা তা হতে দেব না।আমাদের বাড়ির ওপরেই এই হোটেল যারা থাকবেন তারা আমাদের বাড়িতে থুথু ফেলবেন এটা মানব না।আমরা অসুস্থ মানুষ কোথায় যাব। অন্যদিকে রীতা বড়ুয়া অভিযোগ করেন জনবহুল এলাকায় কখনোই কোয়ারেন্টাইন সেন্টার করা যাবে না। এখানে লোক রাখা হচ্ছে।আজও লোক এসেছেন।