জলপাইগুড়ি, 25 এপ্রিল : লকডাউনের মাঝেও গ্রামের মানুষদের চিকিৎসা পরিষেবা দিচ্ছেন করিমুল হক। শুধু তাই নয়, পদ্মশ্রীপ্রাপক দুস্থদের হাতে তুলে দিচ্ছেন চাল ডাল । কোরোনা ভাইরাসের সংক্রমণ রুখতে দেশজুড়ে লকডাউন । সমস্ত পরিবহন বন্ধ। গ্রামের মানুষরা হাসপাতালে আসতে পারছেন না।পৌঁছে যাচ্ছেন করিমুল হক। এমনকী গ্রামের মানুষদের জন্য শহর থেকে ওষুধ আনতে নিজের ছেলেদের পাঠাচ্ছন অ্যাম্বুলেন্স দাদা করিমুল।
কোরোনা ভাইরাসের বিরুদ্ধে লড়াইয়ে সাধারণ মানুষের পাশে দাঁড়িয়েছেন তিনি । পাশাপাশি দুই ছেলেকেও মানব সেবায় লাগিয়েছেন পদ্মশ্রী করিমুল হক । প্রতিদিন করিমুল হকের বাড়িতে রোগীরা এসে ভিড় করছেন । সবাইকেই পরীক্ষা করে পরামর্শ দিচ্ছেন তিনি । তবে এই দুর্দিনে শারীরিক রোগের থেকে অনান্য সমস্যা নিয়ে বেশি আসছেন দুস্থ মানুষরা ।
করিমুলবাবু বলছেন, ‘‘অনেকের বাড়িতেই খাবার নেই । সরকার থেকে রেশন দেওয়া হলেও সবাই পাচ্ছেন না । এমন পরিস্থিতিতে সাধারণ মানুষের পাশে যতটা পারা যায় দাঁড়াতে হবে । সব গাড়ি বন্ধ ৷ অনেকেই জলপাইগুড়ি বা শিলিগুড়িতে ডাক্তার দেখিয়ে ওষুধ কিনে নিয়ে যেতে পারছেন না । ফলে আমার কাছেই আসছেন। এই সময় আমার দুই ছেলে রাজেশ ও রাজুও শিলিগুড়ি গিয়ে ওষুধ নিয়ে আসছে ৷ আর আমিও ক্রান্তির ধলাবাড়ি,চ্যাংমারি, রাজা ডাঙ্গা, বারোঘরিয়া, মাঝ গ্রাম, এই সমস্ত গ্রামে যদি কারও দরকার পড়ে আমি তাঁকে হাসপাতালে পৌঁছে দিচ্ছি ৷’’
একই সঙ্গে কোরোনার বিরুদ্ধে লড়াই করার জন্য লকডাউনের উপরও জোর দিচ্ছেন করিমুল ৷ তিনি বলছেন, ‘‘শহরের মানুষ ঠিকভাবে লকডাউন মানছেন না। শহরের মানুষকে দেখেই গ্রামের মানুষরা শেখে ৷ কিন্তু গ্রামে লকডাউন মানলেও শহরের মানুষজন মানছেন না । সাধারণ মানুষ যদি এই লকডাউন না মানেন তাহলে এই কোরোনা ভাইরাসের সংক্রমণের মোকাবিলা করা যাবে না। আশাকরি আমরা এই কোরোনা যুদ্ধে জয়ী হব ।’’
তিনি নিজেও অসুস্থ বলে জানান করিমুলবাবু । কিন্তু এখন সাধারণ মানুষের পাশে দাঁড়ানোর সময় ৷ মানুষের খাবার প্রয়োজন । সরকার খাবার দিলেও সবাই পাচ্ছেন না, তাই আরও মানুষকে এগিয়ে আসার জন্য অনুরোধ করছেন তিনি ।