জলপাইগুড়ি, 9 অগস্ট: জলপাইগুড়ি সদর ব্লকের খড়িয়া গ্রাম পঞ্চায়েতে বোর্ড গঠনকে কেন্দ্র করে উত্তেজনা চরমে। পুলিশের ব্যারিকেড ভেঙে ফেলে বিক্ষোভ দেখাল বিজেপি কর্মীরা। তৃণমূলের বহিরাগতরা বেশ কিছু লোক বোর্ড গঠনকে কেন্দ্র করে গ্রাম পঞ্চায়েত অফিসে ঢুকেছে বলেও অভিযোগ বিজেপির। আর এই ঘটনার প্রতিবাদেই কোতোয়ালি থানায় আইসি অর্ঘ্য সরকারকে ঘিরে ধরে বিক্ষোভ দেখাতে থাকেন বিজেপি নেতা-কর্মীরা।
বোর্ড গঠনকে কেন্দ্র করে তৃণমূলের বিরুদ্ধে একাধিক অভিযোগ করে বিজেপি । জলপাইগুড়ি হলদিবাড়ি রাজ্য সড়কও অবরোধ করে বিজেপি কর্মীরা। ঘটনাকে কেন্দ্র করে বিশাল পুলিশ বাহিনী ঘটনাস্থলে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণের চেষ্টা করে। অন্যদিকে, বিজেপি কর্মীরা বোর্ড গঠন করতে আসা প্রশাসনিক আধিকারিকদের তালা মেরে রাখে বলে পালটা অভিযোগ করেছে তৃণমূল । এদিকে বিজেপি নেতা-কর্মীরা পুনরায় বোর্ড গঠনের দাবি তুলে রাস্তা অবরোধ করে খড়িয়া গ্রাম পঞ্চায়েতের সামনে। দলীয় পতাকা নিয়ে বিজেপি কর্মীরা রাস্তা আটকে প্রতিবাদ দেখাতে থাকে। এদিন বোর্ড গঠন করতে আসা প্রশাসনিক কর্মীদের বিজেপি কর্মীরা পঞ্চায়েত অফিসে আটকে রাখে বলেও অভিযোগ উঠেছে। এমনকী বিজেপির জয়ী প্রার্থীরাও গ্রামপঞ্চায়েতের ভবনে ছিল সেই সময় এমন অভিযোগও করেছে তৃণমূল। যদিও বিজেপির পুনরায় সকলের সামনে বোর্ড গঠনের দাবি করেছেন ।
আরও পড়ুন: 'লজ্জাজনক' আখ্যা দিয়েও মণিপুরের ঘটনাকে রাজনীতির বাইরে রাখতে বললেন শাহ
খড়িয়া গ্রাম পঞ্চায়েতের মোট আসন 30টি। তৃণমূল জয়ী হয়েছে 15টি আসনে, বিজেপি 11টি, সিপিএম তিনটি এবং কংগ্রেস একটি আসনে জয়ী হয়েছিল। বিজেপি কর্মীদের দাবি, বোর্ড গঠনকে কেন্দ্র করে তৃণমূলের নেতা ও প্রাক্তন উপপ্রধান যে এবারের প্রার্থীই ছিলেন না, তিনি বোর্ড গঠনের সময় ভিতরে ঢুকেছিলেন। আর তাঁকে কার্যত সাহায্য করেছে স্তানীয় থানার আইসি ।
অন্যদিকে, বিজেপি মণ্ডল সভাপতি অলিক দত্ত অভিযোগ করে বলেন, "পুলিশের মদতে বোর্ড গঠনের সময় তৃণমূলের নেতারা ভিতরে ঢুকেছে।" এই বোর্ড পুনরায় গঠন করারও দাবি তুলেছেন তিনি। এদিকে খড়িয়া গ্রাম পঞ্চায়েতের বিদায়ী উপপ্রধান তথা তৃণমূল নেতা সুভাষ চন্দ বলেন, "আমি পোস্ট অফিসের কাজে গিয়েছিলাম। বোর্ড গঠনের ওখানে যাইনি।"