ETV Bharat / state

বিষধর সাপ ধরার প্রশিক্ষণ নেই বনকর্মীদের, ভরসা পরিবেশ প্রেমী সংগঠন - Forest worker

উত্তরবঙ্গে রয়েছে চাপড়ামারি থেকে শুরু করে জলদাপাড়ার মতো জাতীয় উদ্যান । অথচ সেখানেই লোকালয়ে সাপ ঢুকে গেলে মাথায় হাত পড়ে যায় বনকর্মীদের । কারণ সাপ ধরার মতো প্রশিক্ষণই নেই বেশিরভাগ বনকর্মীদের । খোদ রাজ্যের বনপাল স্বীকার করেছেন এই কথা ।

বিষধর সাপ হাতে পরিবেশ প্রেমা সংগঠনের সদস্যরা
author img

By

Published : Sep 11, 2019, 4:32 AM IST

Updated : Sep 11, 2019, 9:34 AM IST

জলপাইগুড়ি, 11 সেপ্টেম্বর : উত্তরবঙ্গে রয়েছে গোরুমারা থেকে শুরু করে চাপড়ামারি , নেওড়াভ্যালি , জলদাপাড়া মতো একাধিক জাতীয় উদ্যান ও অভয়ারণ্য ৷ রয়েছে বক্সা ব্যাঘ্র প্রকল্পও । তাই লোকালয়ে মাঝেমধ্যেই দেখা যায় বিষধর সাপ । কিন্তু সেই সাপ ধরার জন্য বনবিভাগে খবর গেলেই হইচই পড়ে যায় । কারণ, কিং কোবরার মতো বিষধর সাপ ধরার জন্য যে প্রশিক্ষণের প্রয়োজন তাই তো নেই বেশিরভাগ বনকর্মীর । অগত্যা নির্ভর করতে হয় পরিবেশ প্রেমী সংগঠনের সদস্যদের উপর । শুধু স্থানীয়দের অভিযোগ নয়, বিষধর সাপ ধরার ক্ষেত্রে বনকর্মীদের প্রশিক্ষণের অভাবের কথা জানিয়েছেন খোদ রাজ্যের প্রধান মুখ্য বনপাল রবিকান্ত সিনহা ।

সম্প্রতি ময়নাগুড়ির রামশাইয়ের ডিমামোড় এলাকায় কিং কোবরা দেখা যায় । সেই খবর চাউর হতেই হইচই পড়ে যায় এলাকায় । এই ঘটনাকে কেন্দ্র করেই বনকর্মীদের প্রশিক্ষণের বিষয়টি সামনে আসে । কারণ ওই সাপকে উদ্ধার করতে খবর বনবিভাগে খবর দেয় স্থানীয়রা । কিন্তু, বনবিভাগের কর্মীরা কিং কোবরাটিকে দেখে আর সাহস পাননি । দাঁড়িয়ে থাকেন নীরব দর্শক হয়ে । এরপরই খবর যায় ময়নাগুড়ির পরিবেশ প্রেমী সংগঠনের সদস্য নন্দু রায়ের কাছে । সাপটিকে বস্তাবন্দী করেন তিনি ৷ তাঁকে সাহায্য করেন বনকর্মীরা ৷ নন্দু রায়ের পাশাপাশি বিশ্বজিৎ দাস, শ্যামাপ্রসাদ পান্ডে ও সৈয়দ নইমদের মতো পরিবেশপ্রেমী সংগঠনের সদস্যরাও বিষধর সাপ ধরে থাকেন ।

পরিবেশ প্রেমী সংগঠনের সদস্য নন্দু রায় বলেন, "বনবিভাগের উচিত বনকর্মীদের সাপ ধরার প্রশিক্ষণ দেওয়ার ব্যবস্থা করা ও সেই কাজে উৎসাহিত করা । কারণ দীর্ঘদিন বনকর্মীদের এই প্রশিক্ষণ দেওয়ার কোনও ব্যবস্থা নেই । তাই কারও ইচ্ছে থাকলেও প্রশিক্ষণের অভাবে এই কাজে এগিয়ে আসতে পারে না । আমাদের সঙ্গে যারা কাজ করে তাদের সরকারি কোনও প্রশিক্ষণ নেই । তাই বনবিভাগের তরফে প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা করা হলে অনেকেই এই কাজে এগিয়ে আসবে ।"

রাজ্যের প্রধান মুখ্য বনপাল (বন্যপ্রাণী ) রবিকান্ত সিনহা এই বনকর্মীদের প্রশিক্ষণের অভাবের কথা স্বীকার করেন । তিনি বলেন, "এটা ঠিক যে সাপ ধরার জন্য প্রশিক্ষণ প্রাপ্ত বনকর্মীর সংখ্যা কম । কারণ বনকর্মীরাও আমাদের মতোই । সবাই সাহসী হয় না । তাই সাপ ধরতে আমরা স্বেচ্ছাসেবী সংগঠনের সাহায্য নিয়ে থাকি ।"

জলপাইগুড়ি, 11 সেপ্টেম্বর : উত্তরবঙ্গে রয়েছে গোরুমারা থেকে শুরু করে চাপড়ামারি , নেওড়াভ্যালি , জলদাপাড়া মতো একাধিক জাতীয় উদ্যান ও অভয়ারণ্য ৷ রয়েছে বক্সা ব্যাঘ্র প্রকল্পও । তাই লোকালয়ে মাঝেমধ্যেই দেখা যায় বিষধর সাপ । কিন্তু সেই সাপ ধরার জন্য বনবিভাগে খবর গেলেই হইচই পড়ে যায় । কারণ, কিং কোবরার মতো বিষধর সাপ ধরার জন্য যে প্রশিক্ষণের প্রয়োজন তাই তো নেই বেশিরভাগ বনকর্মীর । অগত্যা নির্ভর করতে হয় পরিবেশ প্রেমী সংগঠনের সদস্যদের উপর । শুধু স্থানীয়দের অভিযোগ নয়, বিষধর সাপ ধরার ক্ষেত্রে বনকর্মীদের প্রশিক্ষণের অভাবের কথা জানিয়েছেন খোদ রাজ্যের প্রধান মুখ্য বনপাল রবিকান্ত সিনহা ।

সম্প্রতি ময়নাগুড়ির রামশাইয়ের ডিমামোড় এলাকায় কিং কোবরা দেখা যায় । সেই খবর চাউর হতেই হইচই পড়ে যায় এলাকায় । এই ঘটনাকে কেন্দ্র করেই বনকর্মীদের প্রশিক্ষণের বিষয়টি সামনে আসে । কারণ ওই সাপকে উদ্ধার করতে খবর বনবিভাগে খবর দেয় স্থানীয়রা । কিন্তু, বনবিভাগের কর্মীরা কিং কোবরাটিকে দেখে আর সাহস পাননি । দাঁড়িয়ে থাকেন নীরব দর্শক হয়ে । এরপরই খবর যায় ময়নাগুড়ির পরিবেশ প্রেমী সংগঠনের সদস্য নন্দু রায়ের কাছে । সাপটিকে বস্তাবন্দী করেন তিনি ৷ তাঁকে সাহায্য করেন বনকর্মীরা ৷ নন্দু রায়ের পাশাপাশি বিশ্বজিৎ দাস, শ্যামাপ্রসাদ পান্ডে ও সৈয়দ নইমদের মতো পরিবেশপ্রেমী সংগঠনের সদস্যরাও বিষধর সাপ ধরে থাকেন ।

পরিবেশ প্রেমী সংগঠনের সদস্য নন্দু রায় বলেন, "বনবিভাগের উচিত বনকর্মীদের সাপ ধরার প্রশিক্ষণ দেওয়ার ব্যবস্থা করা ও সেই কাজে উৎসাহিত করা । কারণ দীর্ঘদিন বনকর্মীদের এই প্রশিক্ষণ দেওয়ার কোনও ব্যবস্থা নেই । তাই কারও ইচ্ছে থাকলেও প্রশিক্ষণের অভাবে এই কাজে এগিয়ে আসতে পারে না । আমাদের সঙ্গে যারা কাজ করে তাদের সরকারি কোনও প্রশিক্ষণ নেই । তাই বনবিভাগের তরফে প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা করা হলে অনেকেই এই কাজে এগিয়ে আসবে ।"

রাজ্যের প্রধান মুখ্য বনপাল (বন্যপ্রাণী ) রবিকান্ত সিনহা এই বনকর্মীদের প্রশিক্ষণের অভাবের কথা স্বীকার করেন । তিনি বলেন, "এটা ঠিক যে সাপ ধরার জন্য প্রশিক্ষণ প্রাপ্ত বনকর্মীর সংখ্যা কম । কারণ বনকর্মীরাও আমাদের মতোই । সবাই সাহসী হয় না । তাই সাপ ধরতে আমরা স্বেচ্ছাসেবী সংগঠনের সাহায্য নিয়ে থাকি ।"

Intro:জলপাইগুড়িঃঃবিষধর সাপ ধরার জন্য প্রশিক্ষন প্রাপ্ত বনকর্মি নেই।তাই লোকালয়ে কিংকোবরার মত বিষধর সাপ বের হলেই ডাকতে হয় পরিবেশ প্রেমী সংগঠনের সদস্যদের এমনই জানালেন রাজ্যের প্রধান মুখ্য বনপাল। মাঝেমধ্যেই লোকালয়ে বের হচ্ছে বিষধর সাপ কিংকোবরা। কিন্তু কিংকোবরা ধরার মত সাহসী বা প্রশিক্ষন প্রাপ্ত বনকর্মি নেই।ফলে লোকালয়ে কিংকোবরা বের হলেই ডাক পরছে স্বেচ্ছাসেবী সংগঠনের সদস্যদের।বনবিভাগের সাপ ধরার কাজের সহযোগিতা করে চলেছেন শ্যামাপ্রসাদ পান্ডে, নন্দু রায়,সৈয়দ নইমরা।গরুমারা জাতীয় উদ্যান,চাপড়ামারি অভয়ারণ্য,নেওড়াভ্যালী জাতীয় উদ্যান,জলদাপাড়া জাতীয় উদ্যান,বক্সা ব্যাঘ্র প্রকল্প রয়েছে উত্তরবঙ্গে। কিন্তু সাপ ধরার পর্যাপ্ত কর্মি নেই। Body:সম্প্রতি ময়নাগুড়ি রামশাই এর ডিমামোড়ের রাস্তার ধারে দাঁড়াশ সাপ খাচ্ছে মস্ত বড় কিংকোবরা।কিন্তু কিংকোবরার নাম চাউর হতেই এলাকায় হুলুস্থুল কান্ড বেঁধে যায়।বড় বাঁশ নিয়ে আনা হল সাপ ধরার জন্য। ডাকা হল বন্যপ্রাণী বিভাগের কর্মিদের।কিন্তু সবাই নিরব দর্শকের ভুমিকায়। কেউ আর সাপটিকে ধরতে সাহস পাননি। কারন নামটা যে কিংকোবরা। যেকোন মুহুর্তে রুদ্র রূপ নিতে পারে।কিংকোবরা সাপ লোকালয়ে বের হলে তা বনকর্মিরা উদ্ধার করতে পারেনি। বনকর্মিরা কিংকোবরা ধরতে এলেও তারা ধরতে পারেনি।ফলে ডাক পরে ময়নাগুড়ি রোড পরিবেশ প্রেমী সংগঠনের নন্দু রায়ের।আর নন্দু রায়ের ধরাতে সাহস পায় বনকর্মিরাও তারাও হাত লাগায়।।তিনি গিয়েই উদ্ধার করেন বিরাট সাইজের কিংকোবরা। কিন্তু দির্ঘক্ষন সাপটিকে উদ্ধারের চেস্টা করলেও কেউ সাপটির কাছে যাবার সাহস পাননি।ফলে নন্দু রায় গিয়েই বস্তা বন্দী করেন সাপটিকে।নন্দু রায় জানান বনবিভাগের উচিৎ ইচ্ছু বনকর্মিদের সাপ ধরার প্রশিক্ষন দিয়ে তাদের উৎসাহিত করা।কারন বনবিভাগের কর্মিদের সাপ ধরার কোন প্রশিক্ষনের ব্যবস্থা দির্ঘদিন থেকেই নেই। ফলে কেউ ইচ্ছা প্রকাশ করলেও প্রশিক্ষনের অভাবে এগিয়ে আসে না।আমাদের সাথে যারা কাজ করে তাদের সরকারি কোন প্রশিক্ষন নেই । ফলে বনবিভাগের পক্ষ থেকে প্রশিক্ষনের ব্যবস্থা হলে অনেকে এগিয়ে আসবে। নন্দু রায় বলেন আমাদের কাছে বনবিভাগের কাছ থেকে মাঝেমধ্যেই খবর আসে লোকালয়ে কিংকোবরা বেরিয়েছে। তারপরেই আমরা কিংকোবরা ধরতে লোকালয়ে যাই। কিন্তু আমাদের জীবনের ঝুকি থাকলেও বন্যপ্রাণীকে ভালোবাসি তাই লোকালয়ে বন্যপ্রাণী বের হলে তা উদ্ধার করতে যাই।কিন্তু আমরা লক্ষ্য করছি বনকর্মিদের মধ্যে সাপ ধরার কেউ নেই। তাই কর্মিরা খবর দিলে আমরাই লোকালয়ে কিংকোবরা ধরতে যাই। আমি এসেই সাপটিকে ধরে ফেলি। সাপটির আঘাত আছে।গরুমারা জাতীয় উদ্যানের প্রকৃতি পর্যবেক্ষণ কেন্দ্রে চিকিৎসার জন্য নয়ে যাওয়া হয়েছে।অন্যদিকে পরিবেশ প্রেমী শ্যামা প্রসাদ পান্ডে,বিশ্বজিৎ দাস ,নাগরাকাটার সৈয়দ নইম ও। লোকালয়ে কিংকোবরা বের হলে উদ্ধার করতে ঝাপিয়ে পরে এমন অনেকেই আছেন যারা বনবিভাগক্র সহযোগিতা করে থাকেন। Conclusion:রাজ্যের প্রধান মুখ্য বনপাল (বন্যপ্রান) রবিকান্ত সিনহা জানান হ্যাঁ এটা ঠিক সাপ ধরার জন্য আমাদের প্রশিক্ষন প্রাপ্ত বনকর্মির সংখ্যা কম।ফলে যারা কিংকোবরা ধরতে পারে তাদের আমাদের সাহায্য নিই। আমাদের সব কর্মিরা সাপ ধরতে পারে না এটা ঠিক কারন তারা তো আমাদের মতই। সবাই সাহসী হয় না। ফলে আমরা স্বেচ্ছাসেবী সংগঠনের সাহায্য নিয়ে থাকি।
Last Updated : Sep 11, 2019, 9:34 AM IST

For All Latest Updates

ETV Bharat Logo

Copyright © 2025 Ushodaya Enterprises Pvt. Ltd., All Rights Reserved.