জলপাইগুড়ি, 15 জুন: জলপাইগুড়ি শহরজুড়ে প্রবাহিত হয় করলা নদী, মূলত এই করলা নদী, উক্ত শহরের বড় নদী তিস্তা-র মতো অন্যতম প্রধান নদী । জলপাইগুড়ি শহরের উপর দিয়ে বয়ে যাওয়া করলা নদীতে বাজারের আবর্জনার স্তূপ, গৃহস্থালির বর্জ্য পদার্থ ফেলার কারণে জলে বংশবিস্তার করছে অ্যান্টি বায়োটিক রেজিস্ট্যান্ট ব্যাকটেরিয়ার নতুন প্রজাতি ।
জলপাইগুড়ির করলা নদীর স্বাস্থ্য নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন পরিবেশপ্রেমীরা । করলা নদীর জলে ধান চাষ হচ্ছে ও নদীর পার্শ্ববর্তী এলাকার জমিতে রাসায়নিক কীটনাশক প্রয়োগ করা হয় তা বৃষ্টিতে মিশছে নদীর জলে । ফলে নদীর বাস্তুতন্ত্র যেমন নষ্ট হচ্ছে ও দূষণে গ্রাস করছে করলা নদীকে ।
এমনকি অনেক সময় গৃহপালিত পশু মারা গেলে অনেকে নদীতে ফেলে দিচ্ছে । সেই মৃতদেহ থেকেই নদীর স্বাস্থ্য খারাপ হচ্ছে । একাধিক ক্ষতিকর পদার্থ নদীতে মিশে দুর্গন্ধ সৃষ্টি করছে । সম্প্রতি ব্যাকটেরিয়ার নতুন প্রজাতির সন্ধান পেয়েছেন বিশেষজ্ঞরা । নদীতে থাকা ব্যাকেটেরিয়া মানবদেহে প্রবেশ করলে মারাত্মক হতে পারে ।
আরও পড়ুন...জলপাইগুড়িতে বয়স্ক ও বিশেষভাবে সক্ষমদের জন্য ভ্যাকসিনেশনের ব্যবস্থা
জলপাইগুড়িতে করলা নদী নিয়ে আন্দোলনকারী সমাজ ও নদী বাঁচাও কমিটির কর্ণধার সঞ্জীব চট্টোপাধ্যায় জানান আমরা আগেই বলেছি নদীর ড্রেজিং করা প্রয়োজন । বর্ষাকালে নদীতে জল বাড়লে কিছুটা পরিস্কার হলেও অন্য সময় আবর্জনা আবার জমে যায় ।
বঙ্গীয় ভুগোল মঞ্চের সদস্য জাতিশ্বর ভারতী বলেন করলা নদীর এমন অবস্থা নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন । তিনি বলেন, 2019 সালের সমীক্ষাতেই গঙ্গা নদীতে অ্যান্টিবায়োটিক প্রতিরোধী ব্যাকটেরিয়ার সন্ধান পাওয়া গেছে । এই বিষয়ে একটা পরিকল্পনা প্রয়োজন । 2020 সালের রিভাইসড করলা অ্যাকশন প্ল্যান দ্রুত কার্যকরী করলে সমস্যার সমাধান হবে ।