জলপাইগুড়ি, 16 জুন: সৈকত চট্টোপাধ্যায়ের আগাম জামিনের আবেদন নাকচ করল ডিভিশন বেঞ্চ। স্বামী ও স্ত্রীর আত্মহত্যার প্ররোচনায় ঘটনায় জামিন পেলেন না সুইসাইড নোটে নাম থাকা জেলা তৃণমূলের যুব জেলা সভাপতি তথা জলপাইগুড়ি পুরসভার ভাইস চেয়ারম্যান সৈকত চট্টোপাধ্যায়। কলকাতা হাইকোর্টের জলপাইগুড়ি সার্কিট বেঞ্চের বিচারপতি সৌমেন সেন ও রাজা বসুচৌধুরীর ডিভিশন বেঞ্চ যুব জেলা সভাপতির আগাম জামিনের আবেদন নাকচ করেছেন ৷
গত 1 এপ্রিল জলপাইগুড়ি শহরের পাণ্ডাপাড়ার বাসিন্দা অপর্ণা ভট্টাচার্য ও তাঁর স্বামী সুবোধ ভট্টাচার্যের অস্বাভাবিক মৃতদেহ উদ্ধার করে পুলিশ। উদ্ধার হয়েছে বিষের শিশি এবং চারপাতার সুইসাইড নোট। সুবোধ ভট্টাচার্য চাইল্ড ওয়েলফেয়ার কমিটির সদস্য থাকাকালীন জলপাইগুড়িতে শিশু পাচারকান্ডে পর্দাফাঁস করার মুখ্য ভূমিকা গ্রহণ করেছিলেন। সুইসাইড নোটে মৃত্যুর জন্য জলপাইগুড়ি পুরসভার ভাইস চেয়ারম্যান সৈকত চট্টোপাধ্যায়, কাউন্সিলর সন্দীপ ঘোষ, সোনালি বিশ্বাস, মনোনয়ন সরকারকে মৃত্যুর জন্য দায়ী করেন দম্পতি। সৈকত-সহ তাঁর অনুগামীদের বিরুদ্ধে শিশুপাচারের জড়িত থাকার অভিযোগ করা হয় সুইসাইড নোটে।
এদিকে সৈকতের আইনজীবী সন্দীপ সরকার বলেন, "জোড়া আত্মহত্যার প্ররোচনায় ঘটনায় সৈকত চট্টোপাধ্যায় ও মনোময় সরকারের আগাম জামিনের আবেদন নাকচ করে দিয়েছেন বিচারপতির ডিভিশন বেঞ্চ। আমরা এই রায়ের বিরুদ্ধে সুপ্রিম কোর্টে যেতে পারি।"
এদিন মৃতার পরিবারের পক্ষের আইনজীবী আশিস রায় জানান, জোড়া আত্মহত্যার ঘটনায় সৈকত ও মনোময়ের আগাম জামিন নাকচ করে দিয়েছেন বিচারক। এই রায়ে আমরা খুশি। এদিকে মৃতার মেয়ে তানিয়া ভট্টাচার্য বলেন, "আদালতের রায়ে আমি খুশি। আমি চাইছিলাম যাতে অভিযুক্ত সৈকত আগাম জামিন না পান। এডিজি জয়রামনের নেতৃত্বে তদন্তের নির্দেশ দিয়েছে হাইকোর্ট। তার রিপোর্ট জমা দেবার আগেই সৈকতের জামিনের আবেদন নাকচ করা হয়েছে।"
আরও পড়ুন: জলপাইগুড়িতে দম্পতির মৃত্যু মামলায় রক্ষাকবচ মূল অভিযুক্ত তৃণমূল নেতার
প্রসঙ্গত, জোড়া আত্মহত্যার ঘটনার পর সুইসাইড নোটে সৈকত, কাউন্সিলর সন্দীপ ঘোষ-সহ চারজনের নাম ছিল। সুইসাইড নোটে নাম থাকা চারজনে বিরুদ্ধে কোতয়ালি থানায় অভিযোগ দায়ের করেন মৃত সুবোধ ভট্টাচার্যের দিদি তথা ডাবগ্রাম ফুলবাড়ি বিধানসভা কেন্দ্রের বিজেপি বিধায়ক শিখা চট্টোপাধ্যায় । বাড়ি থেকে উদ্ধার হওয়া চার পাতার সুইসাইড নোটে অভিযুক্তদের নাম পাওয়ার তাঁদের বিরুদ্ধে তদন্ত শুরু করে পুলিশ ৷