জলপাইগুড়ি, 11 ডিসেম্বর: বানারহাট প্রাথমিক স্বাস্থ্য কেন্দ্রকে 30 বেডের হাসপাতালে পরিণত করার কথা ঘোষণা করলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় । পাশাপাশি এলাকায় এখটি দমকল কেন্দ্র স্থাপনেরও প্রতিশ্রুতি দেন তিনি । বানারহাট তরুণ সংঘ ক্লাবের মাঠে একটি সরকারি কর্মসূচিতে যোগ দিয়ে একগুচ্ছ প্রকল্পের কথা জানান মুখ্যমন্ত্রী। জলপাইগুড়ি জেলার এই অনুষ্ঠান থেকে 110 কোটি টাকার প্রকল্পের উদ্বোধন করেন তিনি ৷
এদিন মঞ্চে বক্তব্য রাখতে গিয়ে মুখ্যমন্ত্রী বলেন, "আমার সঙ্গে এখানে সব আধিকারিকরা এসেছেন । আপনারা জানেন ধুপগুড়ির মানুষকে মহকুমা দেব বলেছিলাম । ধূপগুড়ি মহকুমা আমরা করে দিয়েছি । সেটা আদালতে রয়েছে । এখানে একটা আদালত দরকার । আদালত থেকে বিষয়টা স্পষ্ট করার জন্য বলেছি । আমরা ক্যাবিনেটে সিদ্ধান্ত নিয়েছি । আমরা জলপাইগুড়ি জেলার গাজোলডোবায় ভোরের আলো প্রকল্প তৈরি করেছি । এই জেলাতে আমরা মেডিকেল কলেজ করছি । আমরা রাজবংশী বোর্ড করেছি । রাজবংশী ভাষা অ্যাকাডেমি করা হয়েছে । আলিপুরদুয়ারে 70 লক্ষ টাকা, বক্সায় রাজবংশী কালচারাল বোর্ড হচ্ছে । কোচবিহারে গিয়ে উদ্বোধন করব । নারায়ণী ব্যাটেলিয়ান তৈরি করে দিয়েছি । উত্তরবঙ্গের মালদা ডিভিশনে নতুন ব্লক ক্রান্তি, বানারাহাট, পেডং, লাভা তৈরী করা হয়েছে । আমি আসার সময় এসে শুনলাম বানারহাটে ফায়ার ষ্টেশন নেই । তাই আমি মুখ্য সচিবকে বলব এখানে একটি ফায়ার ষ্টেশন করে দেওয়ার জন্য।"
তিনি আরও বলেন, "বানারহাটে যে প্রাথমিক স্বাস্থ্য কেন্দ্রটি আছে তাকে 30 বেডের হাসপাতাল করে দিচ্ছি । এছাড়া হাতিনালার ড্রেন করছি । সেচ দফতর এটা করে দিচ্ছে । 26 হাজার মানুষকে সাহায্য করা হচ্ছে ৷ 6 হাজার মানুষকে পাট্টা দেওয়া হচ্ছে । যেখানে চা বাগানে বেশি জমি আছে তা নিয়ে পাট্টা দিতে হবে । 6টি বাগান বন্ধ আছে । বন্ধ চা বাগানের শ্রমিকরা 1500 টাকা করে পাবে । এছাড়াও পাট্টা যারা পাচ্ছেন তাদের 1 লক্ষ 20 হাজার টাকা দেওয়া হবে । চা সুন্দরী হয়তো সবাই নাও পেতে পারেন তাই আপনাদের বাড়ি বানানোর জন্য টাকা দিচ্ছি ৷"
আরও পড়ুন: