জলপাইগুড়ি, 7 মার্চ: "অবিলম্বে তৃণমূল নেতা কৃষ্ণ দাস গ্রেফতার না-হলে সমস্ত কর্মীদের নিয়ে আন্দোলন করা হবে। আমি আন্দোলনে থাকব ।" এমনই হুঁশিয়ারি দিলেন রাজগঞ্জের তৃণমূল বিধায়ক খগেশ্বর রায় । উল্লেখ্য, তৃণমূলের দুই গোষ্ঠীর শ্রমিক সংগঠনের দখলকে ঘিরে সোমবার উত্তেজনা ছড়ায় জলপাইগুড়ি সুপার স্পেশালিটি হাসপাতালে ৷ শাসকদলের 2 গোষ্ঠীর দুই গোষ্ঠীর সংঘর্ষে আহত হন 6 জন (TMC MLA Khageswar Roy)৷
এই ঘটনায় অভিযোগের তির তৃণমূল নেতা তথা শিলিগুড়ি-জলপাইগুড়ি উন্নয়ন পর্ষদের সদসেয কৃষ্ণ দাসের বিরুদ্ধে ৷ তাঁর নেতৃত্বেই হামলা হয় বলে অভিযোগ ৷ এই ঘটনার প্রেক্ষিতে সোমবারই 21 জনের বিরুদ্ধে থানায় অভিযোগ দায়ের হয়েছে কোতয়ালি থানায় ৷ খগেশ্বর রায় জানিয়েছেন, অবিলম্বে কৃষ্ণ দাসকে গ্রেফতার করতে হবে না-হলে হাসপাতালে সমস্ত কর্মীদের নিয়ে আন্দোলন করা হবে ৷ সেই আন্দোলনের নেতৃত্ব দেবেন তিনি ৷ মঙ্গলবার হাসপাতালে আহতদের দেখতে যান খগেশ্বর রায় (Khageswar Roy) ৷
বিধায়কের অভিযোগ, যেখানে দলের শ্রমিক সংগঠন আইএনটিটিইউসি'র ইউনিয়ন রয়েছে সেখানে কৃষ্ণ দাস সারা বাংলা হাসপাতাল অস্থায়ী ঠিকা কর্মীদের সংগঠন কীভাবে করেন ৷ তাঁর কথায়,"কৃষ্ণ দাস একজন তৃণমূলের নেতা হয়ে হাসপাতালে এসে কর্মীদের মারধর করে তান্ডব চালাবেন, এটা মানা যায় না ৷ মহিলাদের গায়ে হাত দেওয়া হয়েছে । আমি অভিষেক বন্দোপাধ্যায়কে বিষয়টি জানাব । জেলা পুলিশ সুপারের সাথে কথা বলেছি । প্রয়োজনে আন্দোলনে নামব ৷"
আরও পড়ুন: দিল্লির পথে অনুব্রত ! গরু চোর কটাক্ষে কলকাতা ছাড়লেন 'বীরভূমের বাঘ'
স্থানীয় সূত্রে খবর, হাসপাতালের শ্রমিক সংগঠনের দখল নিয়ে সোমবার তৃণমূলের রাজেশ লাকড়া ও কৃষ্ণ দাস গোষ্ঠীর মধ্যে বচসা থেকে সংঘর্ষ বাঁধে । জেলা তৃণমূল কংগ্রেসের সভাপতি মহুয়া গোপ হাসপাতালে এলে তাঁর সঙ্গেও বচসায় জড়ান কৃষ্ণ দাস । এর পরেই মহুয়া গোপ পরিষ্কার গতকালই জানিয়ে দিয়েছিল এই ঘটনা কোনও ভাবেই মানা যায় না ৷ অভিযোগের প্রেক্ষিতে, ইতিমধ্যেই কোতোয়ালি থানার পুলিশ অভিযানে চালিয়ে 3 জনকে গ্রেফতার করেছে । পুলিশ সুপার বিশ্বজিৎ মাহাত জানিয়েছেন, অভিযোগের ভিত্তিতে 3 জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে, বাকিদের খোঁজে তল্লাশি চলছে ৷