ETV Bharat / state

Fever in Children : জলপাইগুড়িতে মৃত্যু 2 শিশুর, উত্তরবঙ্গ মেডিক্যালে আরও এক

জলপাইগুড়িতে 2 শিশুর মৃত্যু হল ৷ এদিন ভোরে এক শিশুকন্যা এবং বেলার দিকে আরও এক শিশুর মৃত্যু হয় ৷ গত কয়েকদিনে জ্বর নিয়ে 130 জন শিশু জলপাইগুড়ি সদর হাসপাতালে ভর্তি হয়েছে ৷ তবে সুপার জানাচ্ছেন, অবস্থা আগের থেকে ভাল রয়েছে ৷ পাশাপাশি এদিন উত্তরবঙ্গ মেডিক্যাল কলেজে শ্বাসকষ্টজনিত সমস্যার কারণে আরও এক শিশুর মৃত্যু হয়েছে ৷

jalpaiguri
jalpaiguri
author img

By

Published : Sep 14, 2021, 1:48 PM IST

Updated : Sep 14, 2021, 7:33 PM IST

জলপাইগুড়ি, 14 সেপ্টেম্বর : গত কয়েকদিনে জ্বরে আক্রান্ত হয়ে সদর হাসপাতালে ভর্তি ছিল মোট 130 জন শিশু ৷ মঙ্গলবার তাদের মধ্যেই একটি শিশু মৃত্যু হয়েছে ৷ মৃত শিশুকন্যার নাম কাবেরী রায়, বয়স ছয় ৷ বাড়ি কোচবিহারের মেখলিগঞ্জে ৷ পাশাপাশি জ্বরে আক্রান্ত আরও এক শিশুকন্যাকে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়ার পথেই মৃত্যু হয় ৷ আমগুড়ি গ্রাম পঞ্চায়েতের বেতগাড়া নিউ কলোনির ওই শিশুকন্যার নাম মৃত্তিকা রায় ৷ বয়স মাত্র 4 মাস ৷ এদিকে উত্তরবঙ্গ মেডিক্যাল কলেজে মৃত্যু হয়েছে আরও এক শিশুর ৷ তার জ্বর না হলেও সে শ্বাসকষ্টজনিত সমস্যায় ভুগছিল বলে জানা গিয়েছে ৷

জলপাইগুড়ি সদর হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের দাবি, কাবেরীকে গুরুতর অবস্থায় গতকাল অর্থাৎ সোমবার রাতে হাসপাতালের নিয়ে আসে তার পরিবার । মঙ্গলবার সকালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তার মৃত্যু হয় ৷ জ্বর ও নিউমোনিয়ায় আক্রান্ত ছিল । চিকিৎসকদের দাবি, তার আগে থেকেই এই সমস্যা ছিল ৷ এমন অবস্থায় তাকে আনা হয়েছে যে তাঁরা তার চিকিৎসা করার ঠিক মতো সুযোগই পাননি ৷

পাশাপাশি হাসপাতালে আনার পথে মৃত্যু হয়েছে মৃত্তিকা রায়ের ৷ বয়স মাত্র চার মাস । বাড়ি আমগুড়ি গ্রাম পঞ্চায়েতের বেতগাড়া নিউ কলোনিতে । যদিও স্বাস্থ্য দফতর সূত্রে তার মৃত্যুর কারণ জানানো হয়নি ৷ ময়নাগুড়ি গ্রামীণ হাসপাতালের বিএসওএইচ লাকি দেওয়ান জানান, গতকাল রাতে শিশুকে মৃত অবস্থায় হাসপাতালে নিয়ে আসা হয়েছিল আমগুড়ি থেকে । তবে কী কারণে মৃত্যু তা এখনই বলা যাবে না ৷ খতিয়ে দেখা হচ্ছে । এদিকে আমগুড়ি গ্রাম পঞ্চায়েতের প্রধান দিলীপ রায় জানান, নিউ কলোনির মৃত্তিকার বেশ কয়েকদিন ধরেই সর্দি-জ্বর ছিল । গতকাল রাতে ময়নাগুড়ি গ্রামীণ হাসপাতালে চিকিৎসার জন্য নিয়ে যাওয়ায় সময় বাচ্চাটি মারা যায় ।

এই মুহূর্তে জলপাইগুড়ি সদর হাসপাতালের শিশু বিভাগে 102 জন ভর্তি রয়েছে ৷ 29 জন শিশুকে সুস্থ করে ছুটি দেওয়া হয়েছে ৷ দুই শিশুকন্যার মৃত্যুর পাশাপাশি জানা গিয়েছে, হাসপাতালে চিকিৎসাধীন আরও তিন শিশুর শারীরিক অবস্থা খারাপ হয়েছে । পাশাপাশি এখান থেকে উত্তরবঙ্গ মেডিক্যাল কলেজে রেফার করা হয়েছে চার শিশুকে ৷ গতকাল উত্তরবঙ্গ মেডিক্যাল কলেজ থেকে বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকদের একটি দল এসেছেন জলপাইগুড়ি সদর হাসপাতালে ৷ এখানে চিকিৎসাধীন শিশুদের করোনা রিপোর্ট নেগেটিভ এসেছে । শিশুদের বিভিন্ন পরীক্ষা-নিরীক্ষার জন্য নমুনা সংগ্রহ করে পাঠানো হচ্ছে কলকাতায় । ডেঙ্গি, চিকনগুনিয়া ও জাপানি এনসেফেলাটিসের সম্ভাবনা উড়িয়ে দিচ্ছে না স্বাস্থ্য বিভাগ ৷

জলপাইগুড়ি সদর হাসপাতালে এদিন সকালে এক শিশুকন্যা মৃত্যু হয়েছে ৷ তবে এমনিতে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণেই রয়েছে বলে জানাচ্ছেন সুপার

এদিন সকালে প্রথম শিশু মারা যাওয়ার পর জেলার ভারপ্রাপ্ত মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিক জ্যোতিষচন্দ্র রায় বলেন, "একজন শিশু মারা গিয়েছে । আগের থেকে অবস্থা ভাল আছে । আমরা প্রত্যেক ব্লকে টিম পাঠিয়েছি । দেখা হচ্ছে ওই এলাকায় কী সমস্যা আছে । কোচবিহার জেলা থেকেই সদর হাসপাতালের বেশি শিশু এসেছে এখানে । এদিকে জলপাইগুড়ির মালবাজার সুপার স্পেশালিটি হাসপাতালেও 83 জন শিশু চিকিৎসাধীন রয়েছে ।"

একই সঙ্গে জলপাইগুড়ি সদর হাসপাতাল ভারপ্রাপ্ত সুপার রাহুল ভৌমিক বলেন, "পরিস্থিতি আগের থেকে অনেক ভাল । 29 জনকে ছুটি দেওয়া হয়েছে । যাবতীয় পরীক্ষা-নিরীক্ষা করা হচ্ছে ৷ চিকুনগুনিয়া, ডেঙ্গি পরীক্ষাও করা হচ্ছে । সব রকম পরিস্থিতির জন্য ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে । এখনও পর্যন্ত 98 জন ভর্তি রয়েছে । যে শিশু মারা গিয়েছে, তাকে মেখলিগঞ্জ থেকে রেফার করা হয়েছিল । খারাপ অবস্থায় এসেছিল শিশুটি ৷ বুকে জল জমেছিল ৷ পাশাপাশি নিউমোনিয়াও ছিল ৷ আজ ভোরে বাচ্চাটি মারা যায় । আমরা সব ধরনের পরিষেবা দেওয়ার জন্য তৈরি আছি ।"

এদিন উত্তরবঙ্গ মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালে আরও এক শিশুর মৃত্যু হয়েছে ৷ তার জ্বর না থাকলেও শ্বাসকষ্টজনিত সমস্যা ছিল ৷ এদিকে জলপাইগুড়ি জেলা সদর হাসপাতাল থেকে এখানে চার শিশুকে রেফার করা হয়েছে ৷ তাদের অবস্থা স্থিতিশীল বলেই হাসপাতাল সূত্রে জানা যাচ্ছে ৷

আরও পড়ুন : Fever in Children : জলপাইগুড়িতে জ্বরে আক্রান্ত 130 শিশু, চিকিৎসাধীন সদর হাসপাতালে

জলপাইগুড়ি, 14 সেপ্টেম্বর : গত কয়েকদিনে জ্বরে আক্রান্ত হয়ে সদর হাসপাতালে ভর্তি ছিল মোট 130 জন শিশু ৷ মঙ্গলবার তাদের মধ্যেই একটি শিশু মৃত্যু হয়েছে ৷ মৃত শিশুকন্যার নাম কাবেরী রায়, বয়স ছয় ৷ বাড়ি কোচবিহারের মেখলিগঞ্জে ৷ পাশাপাশি জ্বরে আক্রান্ত আরও এক শিশুকন্যাকে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়ার পথেই মৃত্যু হয় ৷ আমগুড়ি গ্রাম পঞ্চায়েতের বেতগাড়া নিউ কলোনির ওই শিশুকন্যার নাম মৃত্তিকা রায় ৷ বয়স মাত্র 4 মাস ৷ এদিকে উত্তরবঙ্গ মেডিক্যাল কলেজে মৃত্যু হয়েছে আরও এক শিশুর ৷ তার জ্বর না হলেও সে শ্বাসকষ্টজনিত সমস্যায় ভুগছিল বলে জানা গিয়েছে ৷

জলপাইগুড়ি সদর হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের দাবি, কাবেরীকে গুরুতর অবস্থায় গতকাল অর্থাৎ সোমবার রাতে হাসপাতালের নিয়ে আসে তার পরিবার । মঙ্গলবার সকালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তার মৃত্যু হয় ৷ জ্বর ও নিউমোনিয়ায় আক্রান্ত ছিল । চিকিৎসকদের দাবি, তার আগে থেকেই এই সমস্যা ছিল ৷ এমন অবস্থায় তাকে আনা হয়েছে যে তাঁরা তার চিকিৎসা করার ঠিক মতো সুযোগই পাননি ৷

পাশাপাশি হাসপাতালে আনার পথে মৃত্যু হয়েছে মৃত্তিকা রায়ের ৷ বয়স মাত্র চার মাস । বাড়ি আমগুড়ি গ্রাম পঞ্চায়েতের বেতগাড়া নিউ কলোনিতে । যদিও স্বাস্থ্য দফতর সূত্রে তার মৃত্যুর কারণ জানানো হয়নি ৷ ময়নাগুড়ি গ্রামীণ হাসপাতালের বিএসওএইচ লাকি দেওয়ান জানান, গতকাল রাতে শিশুকে মৃত অবস্থায় হাসপাতালে নিয়ে আসা হয়েছিল আমগুড়ি থেকে । তবে কী কারণে মৃত্যু তা এখনই বলা যাবে না ৷ খতিয়ে দেখা হচ্ছে । এদিকে আমগুড়ি গ্রাম পঞ্চায়েতের প্রধান দিলীপ রায় জানান, নিউ কলোনির মৃত্তিকার বেশ কয়েকদিন ধরেই সর্দি-জ্বর ছিল । গতকাল রাতে ময়নাগুড়ি গ্রামীণ হাসপাতালে চিকিৎসার জন্য নিয়ে যাওয়ায় সময় বাচ্চাটি মারা যায় ।

এই মুহূর্তে জলপাইগুড়ি সদর হাসপাতালের শিশু বিভাগে 102 জন ভর্তি রয়েছে ৷ 29 জন শিশুকে সুস্থ করে ছুটি দেওয়া হয়েছে ৷ দুই শিশুকন্যার মৃত্যুর পাশাপাশি জানা গিয়েছে, হাসপাতালে চিকিৎসাধীন আরও তিন শিশুর শারীরিক অবস্থা খারাপ হয়েছে । পাশাপাশি এখান থেকে উত্তরবঙ্গ মেডিক্যাল কলেজে রেফার করা হয়েছে চার শিশুকে ৷ গতকাল উত্তরবঙ্গ মেডিক্যাল কলেজ থেকে বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকদের একটি দল এসেছেন জলপাইগুড়ি সদর হাসপাতালে ৷ এখানে চিকিৎসাধীন শিশুদের করোনা রিপোর্ট নেগেটিভ এসেছে । শিশুদের বিভিন্ন পরীক্ষা-নিরীক্ষার জন্য নমুনা সংগ্রহ করে পাঠানো হচ্ছে কলকাতায় । ডেঙ্গি, চিকনগুনিয়া ও জাপানি এনসেফেলাটিসের সম্ভাবনা উড়িয়ে দিচ্ছে না স্বাস্থ্য বিভাগ ৷

জলপাইগুড়ি সদর হাসপাতালে এদিন সকালে এক শিশুকন্যা মৃত্যু হয়েছে ৷ তবে এমনিতে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণেই রয়েছে বলে জানাচ্ছেন সুপার

এদিন সকালে প্রথম শিশু মারা যাওয়ার পর জেলার ভারপ্রাপ্ত মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিক জ্যোতিষচন্দ্র রায় বলেন, "একজন শিশু মারা গিয়েছে । আগের থেকে অবস্থা ভাল আছে । আমরা প্রত্যেক ব্লকে টিম পাঠিয়েছি । দেখা হচ্ছে ওই এলাকায় কী সমস্যা আছে । কোচবিহার জেলা থেকেই সদর হাসপাতালের বেশি শিশু এসেছে এখানে । এদিকে জলপাইগুড়ির মালবাজার সুপার স্পেশালিটি হাসপাতালেও 83 জন শিশু চিকিৎসাধীন রয়েছে ।"

একই সঙ্গে জলপাইগুড়ি সদর হাসপাতাল ভারপ্রাপ্ত সুপার রাহুল ভৌমিক বলেন, "পরিস্থিতি আগের থেকে অনেক ভাল । 29 জনকে ছুটি দেওয়া হয়েছে । যাবতীয় পরীক্ষা-নিরীক্ষা করা হচ্ছে ৷ চিকুনগুনিয়া, ডেঙ্গি পরীক্ষাও করা হচ্ছে । সব রকম পরিস্থিতির জন্য ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে । এখনও পর্যন্ত 98 জন ভর্তি রয়েছে । যে শিশু মারা গিয়েছে, তাকে মেখলিগঞ্জ থেকে রেফার করা হয়েছিল । খারাপ অবস্থায় এসেছিল শিশুটি ৷ বুকে জল জমেছিল ৷ পাশাপাশি নিউমোনিয়াও ছিল ৷ আজ ভোরে বাচ্চাটি মারা যায় । আমরা সব ধরনের পরিষেবা দেওয়ার জন্য তৈরি আছি ।"

এদিন উত্তরবঙ্গ মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালে আরও এক শিশুর মৃত্যু হয়েছে ৷ তার জ্বর না থাকলেও শ্বাসকষ্টজনিত সমস্যা ছিল ৷ এদিকে জলপাইগুড়ি জেলা সদর হাসপাতাল থেকে এখানে চার শিশুকে রেফার করা হয়েছে ৷ তাদের অবস্থা স্থিতিশীল বলেই হাসপাতাল সূত্রে জানা যাচ্ছে ৷

আরও পড়ুন : Fever in Children : জলপাইগুড়িতে জ্বরে আক্রান্ত 130 শিশু, চিকিৎসাধীন সদর হাসপাতালে

Last Updated : Sep 14, 2021, 7:33 PM IST
ETV Bharat Logo

Copyright © 2024 Ushodaya Enterprises Pvt. Ltd., All Rights Reserved.