জগাছা, 18 ফেব্রুয়ারি : রাস্তার ধারে জঙ্গলে পড়ে রয়েছে বছর তিরিশের এক যুবকের নিথর দেহ ৷ দেহের পাশে পড়ে একটি পাথর ৷ তাতে জমাট বাঁধা রক্তের দাগ ৷ শুকিয়ে চিপটে গিয়েছে ৷
যুবকের মুখের একটি দিক পাথরের আঘাতে থেঁতলে গিয়েছে ৷ পাথরের আঘাতটা এতটাই জোরাল ছিল যে ঘাড়ের হাড় ভেঙে মাটির মধ্যে মাথার বেশ কিছুটা অংশ ঢুকে রয়েছে ৷ মুখের অপর পাশের গালে বাসা করেছে পোকা ৷ দেহে পচন প্রক্রিয়া যে শুরু হয়ে গিয়েছে তা বোঝাই যাচ্ছে ৷
হাওড়ার জগাছার মৌরিগ্রাম স্টেশনের অদূরে মৌরি দক্ষিণপাড়া ৷ রাস্তার ধারে একটি ঝোপের মধ্যে থেকে আজ সকালে উদ্ধার হয় অজ্ঞাতপরিচয় ওই যুবকের দেহ ৷
প্রতিদিনের মতই আজ সকালেও প্রাতঃক্রিয়া সারতে রাস্তার ওপাশে জঙ্গলে গিয়েছিলেন এলাকার কয়েকজন ৷ তখনই নাকে আসে একটা বোঁটকা গন্ধ ৷ গন্ধের উৎস খুঁজতেই চোখে পড়ে দেহটা ৷ তারপরই ঘটনার জানাজানি হতেই জড়ো হন গ্রামের লোকেরা ৷ খবর দেওয়া হয় জগাছা থানায় ৷ কিছুক্ষণের মধ্যেই ঘটনাস্থানে পৌঁছায় পুলিশ ৷ দেহটি উদ্ধার করে পাঠানো হয়েছে ময়নাতদন্তে ।
প্রাথমিক ভাবে পুলিশের অনুমান, খুনটি করা হয়েছে কয়েকদিন আগেই ৷ তবে কখন-কীভাবে, তা জানতেই শুরু হয়েছে ,তদন্ত ৷ দেহের পাশে পরে থাকা পাথর ফরেনসিক পরীক্ষার জন্য পাঠানো হয়েছে ৷ পুলিশের অনুমান, দেহটির মুখ বিকৃত করতেই পাথর দিয়ে আঘাত করা হয়েছিল ৷ আবার, পাথরের আঘাতেই ওই যুবকের মৃত্যু হয়েছে কি না, তা নিয়েও ধন্দে পুলিশ ৷ খুনটা কোথায় করা হয়েছে, তা নিয়েও সন্দেহ রয়েছে পুলিশের মনে ৷ অন্য কোথাও খুন করে ফেলে দেওয়া হয়েছে, না ওই জায়গাতেই খুন করা হয়েছে, তাও জানার চেষ্টা করছে জগাছা থানার পুলিশ ৷
মৃত যুবকের পরিচয় জানার চেষ্টা করছে পুলিশ৷ এলাকার CCTV খতিয়ে দেখা হচ্ছে ।
হাওড়ায় কী ফিরল স্টোরম্যান আতঙ্ক? সেই আতঙ্ক মাথাচাড়া দিচ্ছে ৷ হাওড়া পুলিশের ডেপুটি কমিশনার (সাউথ ) জোবি থমাস কে জানিয়েছেন, তদন্ত শুরু হয়েছে ৷ দেহ ময়নাতদন্তের পরই কিছু বলা সম্ভব ৷