হাওড়া, 10 অগস্ট: নবান্নের জারি করা নির্দেশিকা অনুযায়ী সাঁকরাইল ব্লকের পাঁচপাড়া গ্রাম পঞ্চায়েতের বোর্ড গঠনের প্রস্তুতি ছিল বৃহস্পতিবার। সেই মতো বিজয়ী প্রার্থীরা তাঁদের কাগজপত্র নিয়ে পঞ্চায়েত অফিসের সামনে উপস্থিত হয়। এই বোর্ড গঠনকে আটকাতে শাসকদলের পক্ষ থেকে দুষ্কৃতী দিয়ে জয়ী প্রার্থীদের কাগজ কেড়ে নেওয়ার চেষ্টা করা হয় বলেই অভিযোগ। বিষয়টিকে কেন্দ্র করে পঞ্চায়েত অফিসের সামনেই শাসকদলেরই দুই গোষ্ঠীর মধ্যে ধুন্ধুমার পরিস্থিতি তৈরি হয়। এরপরই অশান্তির অভিযোগে ওই পঞ্চায়েতের এক জয়ী সদস্যকে এক দুষ্কৃতী তুলে নিয়ে যায় ৷ যাতে তিনি বোর্ড গঠনে না-থাকতে পারে ৷
স্থানীয় সূত্রের খবর, এই পঞ্চায়েতে কারা বোর্ড গঠন করবে তাই নিয়ে শাসকদলেরই দুই গোষ্ঠীর মধ্যে উত্তেজনা ছিল। পাঁচপাড়া পঞ্চায়েতের মোট আসন সংখ্যা 21 ৷ সেখানে তৃণমূল 15টি আসনে জয় লাভ করে। এছাড়াও বিজেপি 2টি আসনে, সিপিএম 2টি, কংগ্রেস 1টি ও 1টি নির্দল। অভিযোগ, গতবারের পঞ্চায়েত প্রধান মিনু মমতাজকে এইবারে দলের পক্ষ থেকে প্রধান না-করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। আর দলীয় সিদ্ধান্ত প্রকাশ্যে আসতেই শুরু হয় গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব। বর্তমান পরিস্থিতি অনুযায়ী তৃণমূলের দু'টিপক্ষর মধ্যে প্রাক্তন প্রধানের দিকে তৃণমূলের 10 জন সদস্য রয়েছেন। পরে কংগ্রেস ও নির্দল এই 2 প্রার্থীও যুক্ত হন।
আরও পড়ুন: বিজেপির হাত ধরে পঞ্চায়েত সমিতিতে বোর্ড গঠনের পথে তৃণমূল, চাঞ্চল্য মালদায়
সেক্ষেত্রে 21 আসনের পঞ্চায়েতে 12 জন জয়ী সদস্য প্রাক্তন প্রধানের পক্ষে থাকায় তারা পঞ্চায়েতে বোর্ড গঠনের মুখ্য দাবিদার হয়ে ওঠেন। আরও অভিযোগ, পুলিশের প্রত্যক্ষ মদতেই জয়ী এক সদস্যের ফাইল কেড়ে নিয়ে পালাবার চেষ্টা করে দুষ্কৃতীরা। এছাড়াও তাদের সদস্য সংখ্যা কমানোর উদ্দেশ্যে ইচ্ছাকৃতভাবে একজন জয়ী সদস্যকে দুষ্কৃতী তুলে নিয়ে যায় ৷ জয়ী প্রার্থী হাবিব শেখ ফিরে এসে জানান, ঘটনার জন্য দক্ষিণ হাওড়া বিধানসভা কেন্দ্রের বিধায়ক নন্দিতা চৌধুরীকেই দায়ী করে অভিযোগ তোলে তৃণমূলের প্রাক্তন প্রধানের গোষ্ঠী। ওই পঞ্চায়েতের প্রাক্তন প্রধান ও প্রার্থী শেখ মুমতাজ বলেন, "আমাদেরকে ঢুকতে দিচ্ছে না, অথচ আরেক পক্ষকে ভিতরে ঢুকিয়ে দিয়েছে। এখানে পুলিশ ও প্রশাসন সঠিক কাজ করছে না। আমাদের গোষ্ঠীর সংখ্যা কমাতেই দুষ্কৃতীরা এই কাজ করছে।"
আরও পড়ুন: চালতাবেড়িয়া পঞ্চায়েতের বোর্ড গঠন, শান্তিশৃঙ্খলা বজায় রাখতে মোতায়েন পুলিশ