ETV Bharat / state

Afghanistan : রেস্তরাঁয় মহিলাদের সার্ভ করতে দেখেছি, ওদের চরম বিপদ ; আফগানিস্তানের অভিজ্ঞতা শোনালেন হাওড়ার ইঞ্জিনিয়র - Taliban

আফগানিস্তানে তালিবান রাজ শুরু হতেই মেয়েদের উন্নতিতে ছেদ পড়ে গেল ৷ বলছেন, একসময়ে আফগানিস্তানে চাকরি করা হাওড়ার ইঞ্জিনিয়র ইন্দ্রজিৎ ভাদুড়ি ৷

Taliban returns
Taliban returns
author img

By

Published : Aug 17, 2021, 8:06 AM IST

মৌরিগ্রাম, 17 অগস্ট : ফিরে এসেছে তালিবান ৷ আতঙ্কে ভিটেমাটি ছাড়ছে আফগানরা ৷ তালিবানি শাসন থেকে নিজেদের বাঁচাতে বিমানের চাকায় বসে অন্য দেশে যাওয়ার মরিয়া চেষ্টা ৷ টিভির পর্দায়, খবরের কাগজে আফগানিস্তানের এই ভয়াবহ দৃশ্য দেখে আঁতকে উঠেছেন হাওড়ার মৌরিগ্রামের বাসিন্দা ইন্দ্রজিৎ ভাদুড়ি ৷ তাঁর মনে পড়ে যাচ্ছে বাগরাম এয়ারবেসের কথা ৷ মনে পড়ছে রেস্তরাঁয় খাবার সার্ভ করা সেই মিষ্টি আফগান মেয়েটির কথা...আরও কত কি ৷

কাজের সূত্রে আফগানিস্তানের কান্দাহারে তিনবছর থেকেছেন ইন্দ্রজিৎবাবু ৷ সেদেশ সম্পর্কে ভাল-মন্দ দু'রকম অভিজ্ঞতাই রয়েছে তাঁর ৷ তবে ভাল অভিজ্ঞতাটাই বেশি ৷ পেশায় ইঞ্জিনিয়র ইন্দ্রজিৎ ভাদুড়ি 2005 সালে একটি আমেরিকান কম্পানির হয়ে আফগানিস্তানে গিয়েছিলেন ৷ কাজ ছিল আমেরিকান বায়ুসেনার এয়ারবেস তৈরি করা ৷ কান্দাহার ও বাগরাম এয়ারবেস বাড়িয়ে সে দেশে সামরিক শক্তি বাড়িয়েছিল আমেরিকা । পাশাপাশি আফগান সেনাবাহিনীকে প্রশিক্ষণ দেওয়াও চলছিল ৷ যাতে হঠাৎ কোনও সঙ্কুল পরিস্থিতির মুখে পড়লে পাল্টা লড়াই দিতে পারে ৷

কিন্তু সেই প্রশিক্ষণ যে যথেষ্ট ছিল না তা প্রমাণিত হয়েছে হাতেনাতে ৷ আমেরিকা সেনা প্রত্যাহার করতেই 20 বছর পর ফের আফগানিস্তানের নিজেদের কব্জায় নিয়েছে তালিবানরা ৷ ইন্দ্রজিৎ ভাদুড়ি বলছেন, "হয় তালিবানরা নিজেদের ভীষণ উন্নত করেছে অথবা আফগান সেনাকে দেওয়া প্রশিক্ষণ যথেষ্ট ছিল না ৷ নাহলে একটি দেশে এভাবে রাতারাতি অন্যের দখলে চলে যায় !" টিভির পর্দায় দেখেছেন বাগরাম এয়ারবেসে হুড়হুড় করে ঢুকে যাচ্ছে তালিবানরা ৷ অথচ তিনি যখন আফগানিস্তানে ছিলেন মার্কিন সেনাদের বিরুদ্ধে দাঁত ফোটাতে পারেনি তালিবান জঙ্গিরা ৷ এয়ারবেসে হামলার চেষ্টা চালিয়েও সুবিধে করতে পারেনি ৷

আরও পড়ুন : Joe Biden : সেনা সরানোর সিদ্ধান্ত সঠিক, সংকটজনক পরিস্থিতি এত তাড়াতাড়ি আসবে ভাবেননি; স্বীকার বাইডেনের

রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের গল্পে পড়া 'কাবুলিওয়ালা'কে আমরা চিনি ৷ বাস্তবেও আফগানরা অত্যন্ত ভদ্র ও অতিথিপরায়ণ ৷ এবং ভারত তাঁদের খুব পছন্দের একটা দেশ ৷ বলছেন হাওড়ার ইঞ্জিনিয়র ৷ সেই মানুষগুলিই শয়ে শয়ে দেশ ছাড়ছেন ৷ শিকড়ের মায়া ত্যাগ করে অজানা ভবিষ্যতের উদ্দেশে পাড়ি দিয়েছেন ৷

ইন্দ্রজিৎ ভাদুড়ির মতে, আফগানিস্তানের নাগরিকরা সেদেশের সরকারের উপরে আস্থা হারিয়েছিল ৷ আমেরিকান এয়ারফোর্স তালিবান অধ্যুষিত এলাকায় বারবার এয়ারস্ট্রাইক করত ৷ আর এতে বহু সাধারণ, নিরীহ মানুষের প্রাণ যেত । ফলে সেদেশের মানুষ রাষ্ট্রশক্তির উপর আস্থা হারিয়েছিল ৷ এর পাশাপাশি আমেরিকাকে শত্রু মনে করেছিল তারা । যার ফলে আফগানিস্তান দখল করতে তালিবানদের সুবিধা হয়েছে ।

আফগানিস্তানে কি ফের অন্ধকার যুগ ফিরে আসবে ? ইন্দ্রজিৎবাবু বলছেন, ভয়ঙ্কর পরিস্থিতি তৈরি হবে ৷ সবচেয়ে বেশি বিপদ মহিলাদের ৷ একটা সময় ওদেশের মেয়েরা ব্যাঙ্কে, অফিসে কাজ করতেন ৷ মেয়েরা রেস্তরাঁয় খাবার সার্ভ করতেন ৷ পড়াশোনা, কম্পিউটার শিক্ষায় নিজেদের শিক্ষিত করে পুরুষদের কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে কাজ করতে শুরু করেছিলেন ৷ কিন্তু তালিবানরা ফিরে আসায় মেয়েদের উন্নতি থমকে গেল ৷ আফগানিস্তান ফিরে গেল সেই 20 বছর আগে ৷

আরও পড়ুন : Afghanistan : চারদিকে তালিবানের হুঙ্কার, প্রেসিডেন্ট পলাতক ; আতঙ্কপুরী আফগানিস্তান

মৌরিগ্রাম, 17 অগস্ট : ফিরে এসেছে তালিবান ৷ আতঙ্কে ভিটেমাটি ছাড়ছে আফগানরা ৷ তালিবানি শাসন থেকে নিজেদের বাঁচাতে বিমানের চাকায় বসে অন্য দেশে যাওয়ার মরিয়া চেষ্টা ৷ টিভির পর্দায়, খবরের কাগজে আফগানিস্তানের এই ভয়াবহ দৃশ্য দেখে আঁতকে উঠেছেন হাওড়ার মৌরিগ্রামের বাসিন্দা ইন্দ্রজিৎ ভাদুড়ি ৷ তাঁর মনে পড়ে যাচ্ছে বাগরাম এয়ারবেসের কথা ৷ মনে পড়ছে রেস্তরাঁয় খাবার সার্ভ করা সেই মিষ্টি আফগান মেয়েটির কথা...আরও কত কি ৷

কাজের সূত্রে আফগানিস্তানের কান্দাহারে তিনবছর থেকেছেন ইন্দ্রজিৎবাবু ৷ সেদেশ সম্পর্কে ভাল-মন্দ দু'রকম অভিজ্ঞতাই রয়েছে তাঁর ৷ তবে ভাল অভিজ্ঞতাটাই বেশি ৷ পেশায় ইঞ্জিনিয়র ইন্দ্রজিৎ ভাদুড়ি 2005 সালে একটি আমেরিকান কম্পানির হয়ে আফগানিস্তানে গিয়েছিলেন ৷ কাজ ছিল আমেরিকান বায়ুসেনার এয়ারবেস তৈরি করা ৷ কান্দাহার ও বাগরাম এয়ারবেস বাড়িয়ে সে দেশে সামরিক শক্তি বাড়িয়েছিল আমেরিকা । পাশাপাশি আফগান সেনাবাহিনীকে প্রশিক্ষণ দেওয়াও চলছিল ৷ যাতে হঠাৎ কোনও সঙ্কুল পরিস্থিতির মুখে পড়লে পাল্টা লড়াই দিতে পারে ৷

কিন্তু সেই প্রশিক্ষণ যে যথেষ্ট ছিল না তা প্রমাণিত হয়েছে হাতেনাতে ৷ আমেরিকা সেনা প্রত্যাহার করতেই 20 বছর পর ফের আফগানিস্তানের নিজেদের কব্জায় নিয়েছে তালিবানরা ৷ ইন্দ্রজিৎ ভাদুড়ি বলছেন, "হয় তালিবানরা নিজেদের ভীষণ উন্নত করেছে অথবা আফগান সেনাকে দেওয়া প্রশিক্ষণ যথেষ্ট ছিল না ৷ নাহলে একটি দেশে এভাবে রাতারাতি অন্যের দখলে চলে যায় !" টিভির পর্দায় দেখেছেন বাগরাম এয়ারবেসে হুড়হুড় করে ঢুকে যাচ্ছে তালিবানরা ৷ অথচ তিনি যখন আফগানিস্তানে ছিলেন মার্কিন সেনাদের বিরুদ্ধে দাঁত ফোটাতে পারেনি তালিবান জঙ্গিরা ৷ এয়ারবেসে হামলার চেষ্টা চালিয়েও সুবিধে করতে পারেনি ৷

আরও পড়ুন : Joe Biden : সেনা সরানোর সিদ্ধান্ত সঠিক, সংকটজনক পরিস্থিতি এত তাড়াতাড়ি আসবে ভাবেননি; স্বীকার বাইডেনের

রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের গল্পে পড়া 'কাবুলিওয়ালা'কে আমরা চিনি ৷ বাস্তবেও আফগানরা অত্যন্ত ভদ্র ও অতিথিপরায়ণ ৷ এবং ভারত তাঁদের খুব পছন্দের একটা দেশ ৷ বলছেন হাওড়ার ইঞ্জিনিয়র ৷ সেই মানুষগুলিই শয়ে শয়ে দেশ ছাড়ছেন ৷ শিকড়ের মায়া ত্যাগ করে অজানা ভবিষ্যতের উদ্দেশে পাড়ি দিয়েছেন ৷

ইন্দ্রজিৎ ভাদুড়ির মতে, আফগানিস্তানের নাগরিকরা সেদেশের সরকারের উপরে আস্থা হারিয়েছিল ৷ আমেরিকান এয়ারফোর্স তালিবান অধ্যুষিত এলাকায় বারবার এয়ারস্ট্রাইক করত ৷ আর এতে বহু সাধারণ, নিরীহ মানুষের প্রাণ যেত । ফলে সেদেশের মানুষ রাষ্ট্রশক্তির উপর আস্থা হারিয়েছিল ৷ এর পাশাপাশি আমেরিকাকে শত্রু মনে করেছিল তারা । যার ফলে আফগানিস্তান দখল করতে তালিবানদের সুবিধা হয়েছে ।

আফগানিস্তানে কি ফের অন্ধকার যুগ ফিরে আসবে ? ইন্দ্রজিৎবাবু বলছেন, ভয়ঙ্কর পরিস্থিতি তৈরি হবে ৷ সবচেয়ে বেশি বিপদ মহিলাদের ৷ একটা সময় ওদেশের মেয়েরা ব্যাঙ্কে, অফিসে কাজ করতেন ৷ মেয়েরা রেস্তরাঁয় খাবার সার্ভ করতেন ৷ পড়াশোনা, কম্পিউটার শিক্ষায় নিজেদের শিক্ষিত করে পুরুষদের কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে কাজ করতে শুরু করেছিলেন ৷ কিন্তু তালিবানরা ফিরে আসায় মেয়েদের উন্নতি থমকে গেল ৷ আফগানিস্তান ফিরে গেল সেই 20 বছর আগে ৷

আরও পড়ুন : Afghanistan : চারদিকে তালিবানের হুঙ্কার, প্রেসিডেন্ট পলাতক ; আতঙ্কপুরী আফগানিস্তান

ETV Bharat Logo

Copyright © 2024 Ushodaya Enterprises Pvt. Ltd., All Rights Reserved.