হাওড়া, 12 জুন: তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের মতুয়া ঠাকুরবাড়ি যাওয়া নিয়ে তুমুল উত্তেজনার সৃষ্টি হয়েছিল রবিরার। তৃণমূল এবং বিজেপি কর্মী সমর্থকদের মধ্যে সংঘর্ষ থামাতে যায় পুলিশ। অভিযোগ, সে সময় পুলিশের হাতে আক্রান্ত হতে হয় কেন্দ্রীয় মন্ত্রী তথা মতুয়া মহাসঙ্ঘের সভাপতি শান্তনু ঠাকুরকে। মোদি মন্ত্রিসভার এই সদস্য আক্রান্ত হওয়ার ঘটনায় এবার সুর চড়ালেন বিধানসভার বিরোধী দলনতা শুভেন্দু অধিকারী। কার্যত হুমকির সুরে বিজেপি নেতা বলেন, "সাংসদের গায়ে হাত দিলে কী হয়, সেটা এবার আইপিএসরা বুঝতে পারবেন।"
হাওড়ার একটি দলীয় সভা থেকে শুভেন্দু বলেন, "ঠাকুরবাড়ি শান্তনু ঠাকুরের বাড়ির মন্দির । সেখানে বিনা অনুমতিতে প্রবেশ করাই অন্যায়।লোকসভার সাংসদের গায়ে হাত দিয়ে খুব বড় ভুল করে ফেলেছেন পুলিশ আধিকারিকরা । এবার লোকসভার অধ্যক্ষর ডেকে পাঠানোর জন্য ওই আধিকারিকদের অপেক্ষা করতে হবে। খুব শীঘ্রই ডাক আসবে।"
এদিনের সভা থেকে শাসক দলকে কটাক্ষ করতেও ছাড়েননি শুভেন্দু ৷ তিনি বলেন, "পুলিশ ছাড়া তৃণমূল কোথায় ? প্রথমে তৃণমূলের নেতারা নবজোয়ারের কথা বললেন। পরে তাঁরাই বললেন, জনজোয়ার । আর এখন বলছেন, চল তিহাড় ।" বিরোধী দলনেতার আরও দাবি, শাসক দলের এই কর্মসূচিতে প্রতিদিন পুলিশি বন্দোবস্তের জন্য রাজ্যের কোষাগার থেকে এক কোটি টাকা খরচ হচ্ছে।
ঠাকুরবাড়ি প্রসঙ্গেই তিনি শাসক দলের সমালোচনা করে বলেন, "ঠাকুরবাড়ি বিশ্ববন্দিত । সেখানে প্রধানমন্ত্রী থেকে শুরু করে দেশের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী-সহ জাতীয় স্তরের বহু নেতা অতীতে গিয়েছেন। তবে কেউই সেখানে দলীয় পতাকা নিয়ে যাননি । সেখানে দলীয় পতাকা নিয়ে ঠাকুর বাড়ি দখলের চেষ্টা করেছে শাসক দল।"
আরও পড়ুন: পঞ্চায়েত ভোট নিয়ে হাইকোর্টে দ্বারস্থ বিজেপিকে কটাক্ষ অভিষেকের, তোপ শান্তনু ঠাকুরকেও
অভিষেক বন্দোপাধ্যায়কে মিথ্যাবাদী বলে কটাক্ষ করে শুভেন্দু দাবি করেন, " রবিবার উনি শান্তনু ঠাকুরকে হারিয়ে দেবেন বলেছেন। এর আগে সৌমিত্র খাঁকে হারিয়ে দেবেন বলেছিলেন । অর্জুন সিং-এর ক্ষেত্রেও একই দাবিও করছিলেন। আর প্রতিটি ক্ষেত্রেই তিনি (অভিষেক) চ্যালেঞ্জ করে বলেছিলেন, না পারলে উনি রাজনীতি ছেড়ে দেবেন। শেষবার পিসিকে পাঠিয়েছিলেন, যিনি নিজেই হেরে বাড়ি ফিরে গিয়েছেন। আর বারবার চ্যালেঞ্জ হারার পরও অভিষেক রাজনীতি ছাড়েননি। "