হাওড়া, 24 এপ্রিল : রবিবার হাওড়ায় দলীয় এক কর্মী সম্মেলনে যোগদান করে রাজ্যপালকে 'দাদু' বলে সম্বোধন করেন মন্ত্রী ফিরহাদ হাকিম ৷ তিনি বলেন, "দাদু-র জন্যই আটকে আছে হাওড়ার পৌরভোট। তবে তৃণমূল বোর্ড যা কাজ করেছে তাতে নির্বাচন হলে তৃণমূল হাসতে হাসতে জিতে যাবে (Firhad hakim Criticises Governor Jagdeep Dhankhar on HMC election) ।"
এছাড়াও তিনি জগদীপ ধনকড়কে বিদ্রুপ করে বলেন, "এখন আমাকে বারবার ডাকছেন উনি। দলনেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের অনুমতি নিয়ে আমি শীঘ্রই কয়েকদিনের মধ্যেই ওঁর সঙ্গে কথা বলতে যাব।" তাঁর দাবি, "এবার দেখা করতে গেলেই রাজ্যপাল হাওড়া-বালি পৃথকীকরণ বিলে সই করে দেবেন।"
মন্ত্রীর অভিযোগ, রাজ্যপাল আটকে রেখেছেন এই বিলটি ৷ তবে হাওড়া পৌরনিগমের নির্বাচন খুব শীঘ্রই হবে বলে তিনি আশাবাদী। এর পাশাপাশি এদিন তিনি দলীয় মঞ্চ থেকে 2024-এর লোকসভা ভোটের জন্য দলীয় কর্মীদের প্রস্তুতি নেওয়ার নির্দেশ দেন।
আরও পড়ুন : একবার গেলে সিবিআইকে ছেড়ে আসতেই চাইবেন না, অনুব্রতকে কটাক্ষ সুকান্তর
তিনি বলেন, "নেতাজি স্বাধীনতা সংগ্রামের জন্য দেশের মানুষকে দিল্লি চলো বলে ডাক দিয়েছিলেন। ঠিক তেমনই আগামী লোকসভা ভোটে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে দিল্লি চলো-র ডাক দিয়ে এগিয়ে যেতে হবে। 2018-র লোকসভা নির্বাচনে বিজেপি যে 18টি আসনে জয়ী হয়েছিল। সেই সব আসনে তাদের হারিয়ে বাংলা থেকে শূন্য করতে হবে। সবকটি আসনে তৃণমূল কংগ্রেসের প্রার্থীকে জয়ী করে আনতে হবে।"
অন্যদিকে রাজ্যপালকে মন্ত্রীর দাদু সম্বোধনকে যথার্থ বলে দাবি করেন বিজেপির রাজ্য নেতা উমেশ রাই। তিনি বলেন, "মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে ফিরহাদ মা বলে সম্বোধন করেন, তাহলে রাজ্যের সাংবিধানিক প্রধান ওঁর দাদুই হবেন। এদিন উনি সম্মেলনে বালিকে ফের পৃথক করার প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন। অন্যদিকে বালির উন্নয়ন চাইছেন ৷" তাঁর মতে, মন্ত্রী 'তুঘলকি' আচরণ করেছেন ৷
আরও পড়ুন : রাজ্যসভায় আজ মেয়াদ শেষ রূপা গঙ্গোপাধ্যায় ও স্বপন দাশগুপ্তের
উল্লেখ্য, রাজ্যপালের পক্ষ থেকে বারংবার হাওড়া-বালি পৃথকীকরণ বিলের প্রসঙ্গে বেশ কয়েকটি প্রশ্ন তুলে ব্যাখ্যা চাওয়া হয় রাজ্য সরকারের থেকে। সেই ব্যাখ্যা না পাওয়ার দরুণ রাজ্যপাল এখনও সেই বিলে সই করেননি বলেই রাজভবন সূত্রে খবর। রাজ্যপাল ও রাজ্য সরকারের টানাপোড়েনে হাওড়া পৌরনিগমের নির্বাচন এখনও অনিশ্চিত।