হাওড়া, 19 অগাস্ট : গত সপ্তাহে অন্ধ্রপ্রদেশের ওঙ্গোলের একটি হাসপাতাল চত্বরে পড়ে থাকা কোরোনায় আক্রান্ত বৃদ্ধের দেহ ইঁদুর, কুকুরের খুবলে খাওয়ার খবর সামনে আসে । এবার এমনই এক ঘটনার সাক্ষী থাকল হাওড়া জেলা হাসপাতাল । হাসপাতাল চত্বরে পড়ে থেকেই মৃত্যু হল এক বৃদ্ধের । ওই বৃদ্ধের পায়ের ক্ষত খুবলে খেল কাক ৷ এই সামনে আসার জেরে হাসপাতালের ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে ৷ ইতিমধ্যেই হাসপাতাল সুপারকে ঘটনার তদন্তের নির্দেশ দিয়েছেন জেলার মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিক ভবানী দাস।
হাওড়া হাসপাতালের রোগীর পরিজনদের দাবি, "কিছুদিন ধরে ওই বৃদ্ধকে হাসপাতাল চত্বরে অসুস্থ অবস্থায় ঘোরাফেরা করতে দেখা যাচ্ছিল । সোমবার হাসপাতাল চত্বরের একটি গাছের তলায় বসেছিলেন তিনি । দুপুরের দিকে ওয়ার্ড মাস্টারের ঘরের বাইরে অসুস্থ হয়ে মারা যান । বেশ কিছুক্ষণ সেখানেই পড়ে ছিলেন তিনি । তাঁর ডান পায়ে ক্ষত ছিল ।" প্রত্যক্ষদর্শীদের অভিযোগ, ওই বৃদ্ধের মৃতদেহ তখনই কেউ উদ্ধার করেনি ৷ হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের কাউকে মৃতদেহ উদ্ধার করতে দেখা যায়নি ৷ দেহ দীর্ঘক্ষণ পড়ে থাকায় মৃতের পায়ের ক্ষতস্থানে ঠোকরাচ্ছিল কাক । এই খবরটি জানাজানি হওয়ার পর দেহটি উদ্ধার করা হয় ৷ তা ময়নাতদন্তের জন্য পাঠানো হয় ।
কোরোনা আবহে রাজ্যের বিভিন্ন হাসপাতালের বিরুদ্ধেই রোগী ভরতি না নেওয়া, চিকিৎসায় গাফিলতি-সহ নানা অভিযোগ উঠছে । এরই মধ্যে চোখের সামনে এমন একটি ঘটনা ঘটায় প্রশ্নের মুখে পড়েছে হাওড়া জেলা হাসপাতালের কর্তৃপক্ষ । হাসপাতাল সূত্রে খবর, ওই ব্যক্তি হাসপাতালের রোগী ছিলেন না । তিনি এখানে-সেখানে ঘুরে বেড়াতেন । মাঝেমধ্যেই খাবারের সন্ধানে হাসপাতাল চত্বরে এসে বসে থাকতেন । খাওয়া-দাওয়ার পর চলে যেতেন । সেইদিনও উনি হাসপাতাল চত্বরেই বসে ছিলেন । খাওয়া-দাওয়া করছিলেন । সেখানেই তাঁর মৃত্যু হয় । খবর পাওয়ার পরই দেহ ময়নাতদন্তের জন্য পাঠানো হয় ।
তবে এভাবে একজন অসুস্থ ব্যক্তি হাসপাতাল চত্বরে ঘুরে বেড়ালেও কর্তৃপক্ষের নজরে বিষয়টি কেন আসেনি, তা খতিয়ে দেখার জন্য সুপারকে নির্দেশ দিয়েছেন জেলার মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিক ।