বালি, 1 মার্চ : কিভ কিংবা খারকিভের মতো ইউক্রেনের টার্নোপিল শহরে রুশ সেনা এখনও সেভাবে তাদের আগ্রাসন দেখায়নি ৷ কিন্তু যুদ্ধের আবহে সেই শহরেও আতঙ্ক কিছু কম ছিল না ৷ রাত নামলেই আলো নিভিয়ে ঘর অন্ধকার করে দেওয়ার নির্দেশ আসত প্রশাসনের তরফে ৷ এই বুঝি সাইরেন বেজে ওঠে, কান খাঁড়া থাকত সবসময় ৷ যুদ্ধ বিধ্বস্ত ইউক্রেন থেকে ঘরে ফিরে এলেও রোমহর্ষক সব স্মৃতি বারে বারে ফিরে আসছে বালির মেডিক্যাল পড়ুয়া অন্বেষা দাসের (Anwesha Das back to Bali from Ukraine with horrible experiences) ৷
ইটিভি ভারত-কে দেওয়া প্রতিক্রিয়ায় অন্বেষা জানান, রাশিয়া আক্রমণ শুরু করার পর থেকেই ভয়ে ভয়ে দিন কাটতো ৷ প্রশাসনের নির্দেশে সন্ধে নামলেই ঘরের সব আলো নিভিয়ে রাখার পরামর্শ ছিল। প্রত্যেকটা রাতে সঙ্গী ছিল উদ্বেগ আর ভয় ৷ এই বুঝি সাইরেন বেজে ওঠে। আর সাইরেন বাজলেই অন্ধকারেই ছুটে যেতে হবে বাঙ্কারে । ইউক্রেনের অভিজ্ঞতা শেয়ার করতে গিয়ে গড়গড় করে সব বলে যাচ্ছিলেন অন্বেষা (Coming back to Bali Anwesha recalls her experiences of Ukraine) ৷
এরপর একদিন কেন্দ্রীয় সরকারের ঘোষণা ও ইউক্রেনে ভারতীয় দূতাবাসের সক্রিয়তার খবর সংবাদমাধ্যমে পেয়ে মনে আশা জাগে অন্বেষা ও তাঁর সহপাঠীদের। উদ্বেগের মধ্যেও দেশে ফেরার কথা ভেবে মনে মনে আনন্দও হচ্ছিল বলে জানিয়েছেন ইউক্রেনে মেডিক্যাল পড়তে যাওয়া বাংলার পড়ুয়া ৷ অন্বেষা জানান, যুদ্ধের শুরু হওয়ার পরই বন্ধ হয়েছিল ইউক্রেন মেস। তখন ভারতীয় মেসই ছিল একমাত্র ভরসা। যদিও সেখানে একবেলা খাবার জুটছিল। যুদ্ধ পরিস্থিতি ভয়াল হতে পারে ভেবে আগে থেকে শুকনো খাবার সংগ্রহ করে রাখতে শুরু করেছিলেন তারা।
আরও পড়ুন : Indians Stranded in Ukraine : ভারতীয় পড়ুয়াদের ফেরাতে ইউক্রেনের পথে মোদির মন্ত্রী
যাইহোক, উৎকন্ঠা মেয়ে ফিরে আসায় স্বস্তি বালির বাড়িতে । অন্বেষার মা-ও খুশি মেয়েকে ফিরে পেয়ে ৷ কেন্দ্রীয় সরকারকে ধন্যবাদ জানাচ্ছে পড়ুয়ার পরিবার ৷