কোদালিয়া, 14 অক্টোবর : রাস্তা তৈরির বোর্ড লাগলেও রাস্তা হয়নি । প্রকাশ্যে সেই অভিযোগ উঠল প্রাক্তন তৃণমূল পঞ্চায়েত প্রধানের বিরুদ্ধে ৷ অভিযোগ তুললেন বর্তমান তৃণমূল পঞ্চায়েত প্রধান । এক প্রকার রাস্তা চুরির অভিযোগ আনছে এলাকার মানুষজন । হুগলি পালপাড়ার ঘটনা । কোদালিয়া-2 গ্রাম পঞ্চায়েতের কানাগড় পালপাড়ায় একটি রাস্তায় 2017-18 সালে কাজ হয়েছে বলে বোর্ড লাগানো হয় । সেই সময় রাস্তা তৈরির খরচ হয়েছিল 87 হাজার 479 টাকা । অথচ সেই রাস্তায় কোনও কাজ হয়নি বলে অভিযোগ স্থানীয় বাসিন্দাদের ।
চুঁচুড়ার বিধায়ক ও প্রধান ওই এলাকায় পথশ্রী প্রকল্পের রাস্তা উদ্বোধনে গেলে বাসিন্দারা অভিযোগ করে, এখনও কাঁচা রাস্তা দিয়েই যাতায়াত করতে হচ্ছে তাদের । বারে বারে প্রাক্তন তৃণমূল পঞ্চায়েত প্রধান কৃষ্ণা দাসকে জানিয়েও সুফল মেলেনি ৷ পঞ্চায়েতের বর্তমান প্রধান বিদ্যুৎ বিশ্বাস বলেন, "একটি পথশ্রী রাস্তার উদ্বোধনে গিয়ে মানুষের ক্ষোভের মুখে পড়ি । চুঁচুড়ার বিধায়কও সেখানে ছিল । সেখানে দেখি আগের বোর্ডে এই রাস্তার সংস্কার ও মজবুতিকরণের নামে টাকা খরচ করার কথা লেখা রয়েছে । কিন্তু সেই কাজ হয়নি সেটা এলাকায় গিয়ে জানতে পারি । কিভাবে টাকা খরচ হল, সেটা আমরা খোঁজ নিয়ে দেখছি ।" রাস্তা হল না কেন সেটা তদন্ত করে দেখা হবে বলে জানান প্রধান ।
এবিষয়ে স্থানীয় এক বাসিন্দা নিতাই নাথ বলেন, "আগের প্রধানের আমলে রাস্তা বোর্ড লাগলেও কাজ হয়নি । যা রাবিশ ফেলা হয়েছে তা আমরা নিজের খরচে এই রাস্তা করেছি । আমরা পঞ্চায়েতের ট্যাক্স দিয়েছি । কিন্তু রাস্তা হয়নি । এতো টাকার রাস্তা সে সবই প্রধান কৃষ্ণা দাস জানেন ৷ তখন 400 টাকার রশিদ দিয়ে 3000 টাকা নেওয়া হয়েছে ।"
পঞ্চায়েতের তৎকালীন প্রধান কৃষ্ণা দাসের দাবি, "মজবুতিকরণের জন্য পঞ্চায়েতের সহায়ক মারফৎ কাজ হয়েছে । পঞ্চায়েত প্রধান ছাড়াও অনেকে আছে । বিদ্যুৎ বিশ্বাসও তখন পূর্ত বিভাগের দায়িত্বে ছিলেন । একটি প্রজেক্ট করার জন্য ওই রাস্তা করা হয় । ঢালাই রাস্তা করার টাকা ছিল না । তাই উন্নয়নের জন্য রাস্তা করা হয়েছে । পরের বছর আবার করা হবে । রাস্তা করতে গেলে NS ও পঞ্চায়েতের সচিব সই করে, তারপর প্রধান সই করে । এটা শুধু শুধু আমাকে বদনাম করা হচ্ছে । বিদ্যুৎ বিশ্বাস সাজানো কথা বলছে ।"