শ্রীরামপুর, 9 অক্টোবর: "দুর্গাপুজো কার্নিভাল (Durga Puja Carnival) আসলে রাজনৈতিক অনুষ্ঠান ৷ সরকারি টাকায় মোচ্ছব করা হচ্ছে । কোন বিজেপি বিধায়ক বা সাংসদকে আমন্ত্রন জানানো হয়নি কার্নিভালে । এই কার্নিভালে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের (Mamata Banerjee) নাম বেশিবার না বলায় জেলা শাসক ও পুলিশ সুপারকে ধমকেছেন তৃণমূল নেতারা ।" এভাবেই শাসকদলকে আক্রমণ করলেন বিজেপি রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার (Sukanta Majumdar) ।
মালবাজার ও রায়গঞ্জের দুর্ঘটনা নিয়েও মুখ খোলেন সুকান্ত ৷ এই বিষয়ে মমতাকে লক্ষ্য করে তোপ দাগতে ছাড়লেন না তিনি ৷ সুকান্ত বলেন, "মালবাজার এবং রায়গঞ্জে প্রশাসনিক উদাসীনতার জন্যই মানুষ মারা গিয়েছে । খেলা-মেলা করে মানুষকে ভোলানো চেষ্টা করছে তৃণমূল । রাজ্যের প্রশাসন ভেঙে পড়েছে । হরিদেবপুর থেকে শুরু করে হুগলির মর্মান্তিক ঘটনা তারই প্রমাণ । বাংলার জনগণকে বারবার বিপদের মুখে ফেলে দিচ্ছে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সরকার । মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের হাত-মুখ রক্তে ভরে গিয়েছে ।"
সুকান্তকে এদিন গরুপাচার মামলায় অনুব্রত ও সায়গলের গ্রেফতারি নিয়ে প্রশ্ন করা হয় ৷ তিনি বলেন, "অনুব্রত মণ্ডল ও সায়গল হোসেনরা বোরে । তাঁদের পিছনে বড় মাথা । রাজা আছে, রানি আছে । সিবিআই কানগুলো টানলেই মাথারা চলে আসবে । আর মাথারা চলে এলে আর টেকার সম্ভাবনা নেই ।" পঞ্চায়েত ভোটের আগেই সেটা হবে কি না সে প্রশ্নে বিজেপি সভাপতি বলেন, " ক্রমশ প্রকাশ্য । হীরক রাজার এই কাণ্ড দেখা ছাড়া তো আমাদের আর উপায় নাই । তার পথে চলছে হীরক রানি ।"
আরও পড়ুন: দুর্গাপুজোকে কেন্দ্র করে ঘুরে দাঁড়াবে রাজ্যের পর্যটন, দাবি ফিরহাদের
শ্রীরামপুর সাংগঠনিক জেলার কার্যালয়ে বিজয়া সম্মিলনীতে যোগ দিতে এসে এদিন সুকান্ত মজুমদার বলেন, "চাকরি নেই বলেই তো উৎসব উৎসব করে দান ধ্যান মেলা-খেলা করে মানুষকে ভুলিয়ে রাখা হচ্ছে । সমাজবিদরা অনেকদিন আগেই বলে গিয়েছেন, চাকরি বেকারত্ব থেকে নজর ঘোরাতে এসব করতে হয় । যারা নিজেদের স্বার্থ ছাড়া অন্য কিছু বোঝেন না, তারা বছরের পর বছর ধরে এই ধরনের কাজ করছেন ।"