সিঙ্গুর, 9 মে : মদের দোকান খুলতেই 15 দফা নির্দেশিকা জারি করেছে আবগারি দপ্তর। তার মধ্যে রেড জ়োন এবং কনটেইনমেন্ট জ়োনে মদের দোকান খোলা একেবারে নিষিদ্ধ। নির্দেশিকা অনুযায়ী জেলার নানা এলাকায় খোলা হচ্ছে মদের দোকান। কিন্তু এতে উলটো বিপদ দেখা গেছে । যে এলাকাগুলিতে মদের দোকানে খোলা হয়েছে, পার্শ্ববর্তী রেড জ়োন এবং কনটেইনমেন্ট জ়োন থেকে লোকজন এসে ভিড় জমাচ্ছেন সেখানে । এই কয়েকদিনে এমনই চিত্র ধরা পড়েছে সিঙ্গুরে । সংক্রমণের আতঙ্কে শেষমেশ সিঙ্গুরের চণ্ডীতলার গঙ্গাধরপুরে মদের দোকানে তালা ঝুলিয়েছেন স্থানীয় বাসিন্দারা।
ইতিমধ্য়েই চন্দননগর, শ্রীরামপুর, উত্তরপাড়া, রিষড়া থেকে বহু মানুষ এসে সিঙ্গুরের মদের দোকানগুলির সামনে ভিড় জমাচ্ছেন । আর এর জেরে আতঙ্কে রয়েছেন স্থানীয়রা । তাঁদের অভিযোগ, পুলিশও এবিষয়ে কোনও পদক্ষেপ করছে না । তাঁদের প্রশ্ন কীভাবে কনটেইমেন্ট জ়োন থেকে পুলিশের নজর এড়িয়ে এইসব মানুষজন অন্য এলাকায় প্রবেশ করছেন । এবিষয়ে সিঙ্গুরের বাসিন্দা সঞ্জয় পান্ডে বলেন, "চন্দননগর,শ্রীরামপুর, উত্তরপাড়া সহ নানা এলাকা থেকে লোকজন মদ কেনার জন্য সিঙ্গুরে ঢুকছে। পুলিশ প্রশাসন কোনও ব্যবস্থা নিচ্ছে না। বিষয়টি নিয়ে সিঙ্গুর ব্লক আধিকারিককেও জানিয়েছি । কিন্তু এখনও পর্যন্ত কোনও ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি । একদিকে স্থানীয়রা বাজার করতে গেলে পুলিশ তাঁদের মারধর করছে । আর অন্যদিকে বাইরের লোক মদ কিনতে আসছে, কিন্তু সেদিকে কোনও নজর নেই পুলিশের ।"
স্থানীয় বাসিন্দা তপন মালিক বলেন, "বাইরে থেকে যাঁরা মদ কিনতে আসছেন, তাঁদের মদ দেওয়া বন্ধ করা উচিৎ। পরিচয় পত্র দেখে শুধু সিঙ্গুর এলাকার মানুষকে মদ বিক্রি করার ব্যবস্থা করুক প্রশাসন। তাহলে কিছুটা হলেও সংক্রমণ ঠেকানো যাবে ।"
এবিষয়ে পুলিশের তরফ থেকে জানানো হয়েছে, সিঙ্গুর যেহেতু কনটেইনমেন্ট জ়োন নয়, তাই সাধরণ মানুষের চলাফেরার ক্ষেত্রে তেমন কড়াকড়ি নেই । প্রয়োজনীয় দ্রব্য সংগ্রহ করার ক্ষেত্রেও কোনও নিষেধাজ্ঞা নেই। কিন্তু বাইরের কোনও কনটেইনমেন্ট জ়োন থেকে এই এলাকায় কখন কে আসছেন তা নজরাদারি করা বেশ মুশকিল । এক্ষেত্রে ওই কনটেইনমেন্ট জ়োনগুলির পুলিশ-প্রশাসনকে দায়িত্ব নিতে হবে।