পাণ্ডুয়া, 29 মে: মদের আসর বসেছিল ৷ তখনই বিয়ারের বোতল দিয়ে খুনের অভিযোগ উঠল দোকান মালিকের বিরুদ্ধে। তাতেই মৃত্যু কর্মচারীর।গ্রেফতার অভিযুক্ত। মৃতের নাম বাবুলাল মাণ্ডি (40)। বাড়ি বৈঁচিগ্রামে মানসমারি। গতকাল, বৈঁচিগ্রামের জিটি রোডের পাশে একটি হার্ডওয়ারের দোকান মদ্যপান করছিলেন দোকান মালিক, কর্মচারী-সহ বেশ কয়েকজন। সেই আসরে বচসা হয় বাবুলালের সঙ্গে। তারপরই তাঁর মাথায় বোতল ভাঙা হয় বলে অভিযোগ। রক্তাক্ত অবস্থায় আহত হয়ে পড়ে থাকেন ওই ব্যক্তি। এরপরই অভিযুক্তরা সেখান থেকে পালিয়ে যায়।
বাবুলালের খোঁজখুঁজি শুরু করে পরিবার। জানতে পারে হার্ডওয়ার্সের গোডাউনের ভিতর থেকে দীর্ঘক্ষণ পড়েছিলেন। তাঁকে উদ্ধার করে প্রথমে পাণ্ডুয়া হাসপাতাল পরে চুঁচুড়া ইমামবাড়া হাসপাতালে স্থানান্তরিত করা হয়। কিছুক্ষণের মধ্যে মৃত্যু হয় বাবুলালের। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে যায় পাণ্ডুয়া থানার পুলিশ। তদন্তে নেমে পুলিশ দোকান মালিক সুভাষ চট্টোপাধ্যায়কে গ্রেফতার করেছে। স্থানীয় সূত্রে খবর, বাবুলাল ওই হার্ডওয়ার দোকানে কাজ করেন। দোকান মালিক সুভাষ তার ড্রাইভার-সহ চারজন মিলে গোডাউনে বসে বিয়ার পান করছিল।
বাড়ি থেকে ডেকে নিয়ে আসে বাবুলালকে। দুপুর থেকে দোকানে বসে মদের আসর। নিজেদের মধ্যে বচসা হয়। তারপরই বাবুলালের মাথায় বোতল দিয়ে আঘাত করা হয়। রক্তাক্ত বাবুলালকে ফেলে দোকান মালিক ফোন দেখছিল। এদিকে বাবুলাল দীর্ঘক্ষণ বাড়ি না-ফেরায় খোঁজাখুঁজি শুরু হয়।স্থানীয় লোকের কাছে শুনে দোকানে যায় পরিবার। দোকানে গিয়ে দেখতে পায় ভিতরে গিয়ে দেখে রক্তাক্ত অবস্থায় পড়েছিল বাবুলাল। আহত অবস্থায় পড়ে থাকলেও কোনওভাবেই হাসপাতালে নিয়ে যাওয়ার ব্যবস্থা করেনি সুভাষ। পরিবারের লোকজন এসে হাসপাতালে নিয়ে যান।
আরও পড়ুন: বাড়িতে ঢুকে জমি বব্যসায়ী-সহ দু’জনকে কুপিয়ে খুন দুষ্কৃতীদের, তদন্তে সিট
বাবুলালের স্ত্রী সোমবারি মান্ডি বলেন, "সুভাষ ওকে মেরে দিয়েছে। মেঝেতে রক্ত পরেছিল। কী দিয়ে মেরেছে বলতে পারব না। আমাদের সদস্য ওখানে ছিল। উনি বলল এখানে ঝামেলা হয়েছে। আমার স্বামীর গায়ে অসংখ্য আঘাতের চিহ্ন ছিল। সুভাষ মদ খেলেই যাকে তাকে মারধর করে। আমার স্বামীকেও মেরে দিয়েছে ৷ ওর শাস্তি চাই। যেন যাবজ্জীবন জেল হয় সুভাষের।"