হুগলি, 25 মে: এগরাকাণ্ডের পর বেআইনি বাজি উদ্ধারে তৎপর হয়ে উঠেছে রাজ্য পুলিশ । বিভিন্ন জেলায় লক্ষ লক্ষ টাকার বাজি উদ্ধার করা হচ্ছে নিত্যদিনই । একাধিক ব্যক্তিকে গ্রেফতার করা হয় । হুগলি জেলায় পিছিয়ে নেই ধনিয়াখালি, চণ্ডীতলা ও সিঙ্গুর-সহ প্রচুর বাজি কারখানায় হানা দিয়ে বাজি উদ্ধার করা হয় । বৃহস্পতিবার চুঁচুড়ার কাপাসডাঙার একটি বাড়ি থেকে উদ্ধার 2 হাজার কেজি বাজি । গ্রেফতার করা হয় বাড়ির মালিক প্রণব দত্তকে ।
তিনি চুঁচুড়া 2 নং কাপাসডাঙায় নিজের বাড়িতে হাজার কিলো শব্দবাজি-সহ বেআইনি বাজি মজুত করে রেখেছিলেন বলে অভিযোগ । সূত্র মারফত খবর পেয়ে অভিযান চালায় পুলিশ । প্রণব দত্তের শ্যালকের চণ্ডীতলার বেগমপুরে বাজির কারখানা রয়েছে । ধরপাকড়ের ভয়ে জামাইবাবুর বাড়িতে পাঠিয়ে দেয় শব্দবাজি । কয়েকদিন আগেই চুঁচুড়ার কামারপাড়া এলাকা থেকে বাজি উদ্ধার করে পুলিশ ৷ গ্রেফতার হয় একজন ।
প্রণবের দাবি, "তার শ্যালক বাপ্পাদিত্য নাথ গাড়ি ভর্তি করে পেটিতে ভরে বাজি পাঠিয়েছে তাঁর কাছে রাখার জন্য । চণ্ডীতলা বেগমপুর এলাকায় প্রণব দত্তর শ্যালক বাপ্পাদিত্য নাথের একটি বাজি তৈরির কারখানা রয়েছে । সেখান থেকেই আজ সকালে গাড়ি করে বাজি নিয়ে আসা হয় চুঁচুড়া কাপাসডাঙায় । আমি জানতাম না এতো বারুদ পাঠিয়েছে । এর মধ্যে বেশিরভাগই রংমশাল । দেড় লক্ষ টাকার বাজি আছে । আমি বাজির পেটি দেখিনি, আমি বুঝতে পারিনি ।"
আরও পড়ুন : বেআইনি বাজি বিক্রির ফলেই একাধিক বিস্ফোরণ রাজ্যে, দাবি বাজি বিক্রেতা সংগঠনের কর্তার
স্থানীয় মানুষের বক্তব্য, এই বিপুল পরিমাণের বাজি মজুত রাখা হয়েছে । যে কোনও সময় দুর্ঘটনা ঘটতেই পারে । উনি কীভাবে এত বাজি মজুত রাখেন । প্রণববাবু বিভিন্ন সময় বাজির ব্যবসা করেন । হয়তো এই সময় বাজি মজুত করছেন । পরে ব্যবসা করবেন বলে । হুগলি গ্রামীণ পুলিশ এবং চন্দননগর পুলিশ কমিশনারেটের পক্ষ থেকেও শুরু হয় অভিযান । ইতিমধ্যেই হুগলি থেকে উদ্ধার হয়েছে এক হাজার কেজি বেআইনি বাজি ।