ETV Bharat / state

মেডিকেল অক্সিজেন পর্যাপ্ত, অভাব সিলিন্ডারের; বলছেন ব্যবসায়ীরা - করোনা

করোনা পরিস্থিতিতে রাজ্যে মেডিকেল অক্সিজেনের অভাব নেই ৷ শুধুমাত্র সিলিন্ডারের অভাবের কারণেই মেডিকেল অক্সিজেনের অভাব দেখা দিয়েছিল করোনার দ্বিতীয় ঢেউয়ের শুরুতে ৷ এমনটাই জানাচ্ছেন মেডিকেল অক্সিজেন সরবরাহকারী ডিলার ও প্লান্ট কর্তৃপক্ষ ৷

dont have any crisis of medical oxygen in west bengal crisis is only for cylinders
অভাব মেডিকেল অক্সিজেনের নয়, অভাব সিলিন্ডারের; বলছেন ব্যবসায়ীরা
author img

By

Published : Jun 4, 2021, 9:11 PM IST

হুগলি, 4 জুন : অক্সিজেন নয়, সিলিন্ডারের অভাবের কারণেই কালোবাজারি চলছে । সরকারি তরফে ইন্ডাস্ট্রিয়াল সিলেন্ডারকে মেডিকেল সিলিন্ডারে কনভার্ট করলেও অভাব থেকে যাচ্ছে । সেই কারণেই দ্বিগুণ পয়সা দিয়ে কিনতে হচ্ছে অক্সিজেন সিলিন্ডার । অক্সিজেন ডিলার এবং প্লান্ট মালিকদের দাবি, রাজ্যে সিলিন্ডার উৎপাদন না হওয়ার কারণেই কালোবাজারি হওয়ার সম্ভাবনা থেকে যাচ্ছে হুগলি সহ গোটা রাজ্যে ।

গোটা দেশে যখন মেডিকেল অক্সিজেনের অভাবে সাধারণ মানুষ জেরবার হয়ে গিয়েছিল । সেই সময় রাজ্যেও যখন শুরু হয়েছিল অক্সিজেনের কালোবাজারি । তবে তরল অক্সিজেন নিয়ে খুব একটা সমস্যায় পড়তে হয়নি হুগলি জেলাকে । শুধুমাত্র অভাব ছিল সিলিন্ডারের ৷ এই রাজ্যে অক্সিজেন সিলিন্ডার উৎপাদন হয় না । তার ফলে অনেকটাই অভাব দেখা দিয়েছিল রাজ্য সহ জেলাজুড়ে । চাহিদা মতো রিফিলিং সিলিন্ডার না পাওয়ায় কৃত্রিম কালোবাজারি শুরু হয়েছিল । সর্বনিম্ন যে সিলিন্ডার রিফিলিং করতে খরচ পড়ে 300 টাকা । সেই সময় সিলিন্ডার রিফিলিংয়ের জন্য খরচ হচ্ছিল 500 থেকে 600 টাকা । সেই সঙ্গে ডিলারের কাছে ডিপোজিট মানি রাখতে হতো 15 থেকে 18 হাজার টাকা মতো । আবার প্রতিদিন 5 টাকা করে অতিরিক্ত ভাড়া দিতে হতো রোগীর পরিবারকে । করোনা মতো অতিমারির সময়ে একপ্রকার অক্সিজেন নিয়ে অরাজকতা চলেছে সেই সময় । সেই সুযোগে একদল অসাধু ব্যবসায়ী মুনাফা কামিয়ে লাভবান হচ্ছিলেন ।

তবে, করোনা সংক্রমণ এখন কিছুটা হলেও নিয়ন্ত্রণে এসেছে । তাতে অক্সিজেনের চাহিদা কিছুটা কমেছে ঠিকই । কিন্তু সিলিন্ডারের অভাব এখনও রয়ে গেছে ৷ রাজ্য সরকার সিলিন্ডারের অভাবের কথা মাথায় রেখে ইন্ডাস্ট্রিয়াল সিলিন্ডারগুলিকেও মেডিকেল সিলিন্ডার হিসেবে ব্যবহার করার নির্দেশ দিয়েছে । তা সত্ত্বেও ব্যবসায়ীদের দাবি, করোনা পরিস্থিতির মধ্যে বহু রোগীর পরিবার অক্সিজেনের সিলিন্ডার আটকে রেখে দিচ্ছে ৷ তার ফলে সিলিন্ডার নিয়ে যে সমস্যা ছিল, সেটা রয়েই গেছে । পরবর্তীকালে করোনার তৃতীয় ঢেউ রাজ্যে এলে আবারও অক্সিজেন নিয়ে সমস্যা হবে বলে মনে করছে ব্যবসায়ীরা ৷ সেই পরিপ্রেক্ষিতে পর্যাপ্ত সিলিন্ডার না থাকলে আবারও অক্সিজেন নিয়ে সমস্যায় পড়তে হবে সাধারণ মানুষকে । মূলত এই অক্সিজেন সিলিন্ডারগুলি উৎপাদন করে মহারাষ্ট্র, গুজরাতের মতো রাজ্যগুলি । আর সেখান থেকেই সাপ্লাই হয় পশ্চিমবঙ্গে ৷ কিন্তু করোনা পরিস্থিতির মধ্যে সিলিন্ডারের উৎপাদন কম ৷ সেই সঙ্গে ট্রান্সপোর্টের সমস্যার কারণে পর্যাপ্ত সিলিন্ডারের অভাবে তৈরি হয়েছে । আগামিদিনে সিলিন্ডারের সমস্যা না থাকলে এ রাজ্যে অক্সিজেনের অভাব হবে না বলে জানিয়েছেন ব্যবসায়ীরা ।

আরও পড়ুন : অভিযান হতেই বেআইনি মজুত ২০০টি অক্সিজেন সিলিন্ডার স্বাস্থ্য দফতরকে তুলে দিল কারখানা কর্তৃপক্ষ

অক্সিজেন প্ল্যান্ট থেকে 10.2 লিটারের সিলিন্ডার নিয়ে গেলে রিফিলিং বাবদ 300 টাকা ও তার সঙ্গে জিএসটি দিতে হয় । আর 46.5 লিটারের সিলিন্ডার রিফিলিং করতে 600 টাকা প্রতি সিলিন্ডার পড়ে । এক্ষেত্রে সিলিন্ডার এনে রিফিলিং করে নিয়ে যেতে হয় । রাজহাট পঞ্চায়েতের দিল্লি রোডের কাছে এই অক্সিজেন রিফিলিং প্লান্ট আছে । এই প্লান্ট থেকে হুগলি, হাওড়া, দক্ষিণ ও উত্তর 24 পরগনা ও বর্ধমান পর্যন্ত অক্সিজেন যায় । হুগলি জেলায় পর্যাপ্ত পরিমাণ অক্সিজেনর যোগান আছে । কিন্তু, যাঁরা অক্সিজেন ডিলারদের কাছে সিলিন্ডার নিয়ে যান, তাঁদের সিলিন্ডার সমেত ডিপোজিট মানি সহ রিফিলিংয়ের অনেক টাকা দিতে হচ্ছে । সেই কারণে করোনার সময় অনেক টাকা গুণতে হচ্ছে রোগীর পরিবারকে । সেখানেই মগরা ডিলারের বিরুদ্ধে বারবার অভিযোগ উঠেছে ডিপোজিট মানি ও রিফিলিং খরচ দ্বিগুণ নেওয়ার ৷

dont have any crisis of medical oxygen in west bengal crisis is only for cylinders
অক্সিজেন প্লান্ট

আরও পড়ুন : মেমারিতে অক্সিজেনের কালোবাজারি, উদ্ধার 47টি সিলিন্ডার

মগরা অক্সিজেন ডিলার বিধুভূষণ রায়ের দাবি, যে টাকা দিয়ে তাঁদের রিফিলিং করতে হয় প্লান্টে ৷ এখন তার দ্বিগুণ টাকা দিয়ে রিফিলিং করাতে হচ্ছে ৷ তারপর আলাদা করে ট্রান্সপোর্টের খরচ আছে । কল্যাণী থেকে তাঁদের অক্সিজেন নিয়ে আসতে সারাদিন লেগে যায় । তিনি আরও বলেন, ‘‘এখন অক্সিজেনের কোনও সমস্যা নেই । একমাত্র সিলিন্ডার না থাকার কারণেই রোগীদের অক্সিজেন পেতে সমস্যায় পড়তে হচ্ছে । এর উপর রোগীরা ঠিক সময় সিলিন্ডার ফেরত দিচ্ছেন না ।’’ এই অসুবিধার জন্য বেশ কিছু স্বেচ্ছাসেবী সংস্থার সঙ্গে কাজ করছেন তিনি । সিলিন্ডার অর্ডার দিয়েও পাওয়া যাচ্ছে না বলে অভিযোগ করেছেন বিধুভূষণ রায় । তাঁর অভিযোগ, প্লান্ট মালিকরা তাঁদের থেকে দ্বিগুণ টাকা নিচ্ছেন । করোনা পরিস্থিতিতে তাঁদের ব্যবসার খরচও বেড়েছে ।

অক্সিজেনের অভাব নয়, অভাব সিলিন্ডারের; এমনই মত ব্যবসায়ীদের

আরও পড়ুন : এবার 'দুয়ারে অক্সিজেন' বিষ্ণুপুর পৌরসভার

অক্সিজেন প্লান্টের মালিক দীপঙ্কর কুণ্ডুর দাবি, অক্সিজেনের কোন সমস্যা নেই । শুধুমাত্র সিলিন্ডারের সমস্যার কারণেই এত ভুগতে হচ্ছে মানুষকে । বাজারে কিছু অক্সিজেন ডিলার অসাধু ভাবে কাজ করছেন । মানুষকে বাঁচানোর আগে টাকা রোজগার করতে ব্যস্ত হয়ে পড়েছেন তাঁরা । যাঁরা খালি সিলিন্ডার বিক্রি করেন তাঁদের বক্তব্য, সরকারি নির্দেশ ছাড়া সিলিন্ডার সাপ্লাই দেওয়া যাবে না । এই সিলিন্ডারের উৎপাদন হয় গুজরাতের বরোদায় ও মুম্বইয়ে । পশ্চিমবঙ্গে এর কোনও কারখানা নেই । তার ফলে এই সমস্যা আরও বেড়েছে ৷ করোনার তৃতীয় ঢেউ যদি আসে । তা সামাল দিতে পর্যাপ্ত পরিমাণ সিলিন্ডার প্রয়োজন । আমাদের রাজ্যে তরল অক্সিজেন পর্যাপ্ত পরিমাণে আছে ।

হুগলি, 4 জুন : অক্সিজেন নয়, সিলিন্ডারের অভাবের কারণেই কালোবাজারি চলছে । সরকারি তরফে ইন্ডাস্ট্রিয়াল সিলেন্ডারকে মেডিকেল সিলিন্ডারে কনভার্ট করলেও অভাব থেকে যাচ্ছে । সেই কারণেই দ্বিগুণ পয়সা দিয়ে কিনতে হচ্ছে অক্সিজেন সিলিন্ডার । অক্সিজেন ডিলার এবং প্লান্ট মালিকদের দাবি, রাজ্যে সিলিন্ডার উৎপাদন না হওয়ার কারণেই কালোবাজারি হওয়ার সম্ভাবনা থেকে যাচ্ছে হুগলি সহ গোটা রাজ্যে ।

গোটা দেশে যখন মেডিকেল অক্সিজেনের অভাবে সাধারণ মানুষ জেরবার হয়ে গিয়েছিল । সেই সময় রাজ্যেও যখন শুরু হয়েছিল অক্সিজেনের কালোবাজারি । তবে তরল অক্সিজেন নিয়ে খুব একটা সমস্যায় পড়তে হয়নি হুগলি জেলাকে । শুধুমাত্র অভাব ছিল সিলিন্ডারের ৷ এই রাজ্যে অক্সিজেন সিলিন্ডার উৎপাদন হয় না । তার ফলে অনেকটাই অভাব দেখা দিয়েছিল রাজ্য সহ জেলাজুড়ে । চাহিদা মতো রিফিলিং সিলিন্ডার না পাওয়ায় কৃত্রিম কালোবাজারি শুরু হয়েছিল । সর্বনিম্ন যে সিলিন্ডার রিফিলিং করতে খরচ পড়ে 300 টাকা । সেই সময় সিলিন্ডার রিফিলিংয়ের জন্য খরচ হচ্ছিল 500 থেকে 600 টাকা । সেই সঙ্গে ডিলারের কাছে ডিপোজিট মানি রাখতে হতো 15 থেকে 18 হাজার টাকা মতো । আবার প্রতিদিন 5 টাকা করে অতিরিক্ত ভাড়া দিতে হতো রোগীর পরিবারকে । করোনা মতো অতিমারির সময়ে একপ্রকার অক্সিজেন নিয়ে অরাজকতা চলেছে সেই সময় । সেই সুযোগে একদল অসাধু ব্যবসায়ী মুনাফা কামিয়ে লাভবান হচ্ছিলেন ।

তবে, করোনা সংক্রমণ এখন কিছুটা হলেও নিয়ন্ত্রণে এসেছে । তাতে অক্সিজেনের চাহিদা কিছুটা কমেছে ঠিকই । কিন্তু সিলিন্ডারের অভাব এখনও রয়ে গেছে ৷ রাজ্য সরকার সিলিন্ডারের অভাবের কথা মাথায় রেখে ইন্ডাস্ট্রিয়াল সিলিন্ডারগুলিকেও মেডিকেল সিলিন্ডার হিসেবে ব্যবহার করার নির্দেশ দিয়েছে । তা সত্ত্বেও ব্যবসায়ীদের দাবি, করোনা পরিস্থিতির মধ্যে বহু রোগীর পরিবার অক্সিজেনের সিলিন্ডার আটকে রেখে দিচ্ছে ৷ তার ফলে সিলিন্ডার নিয়ে যে সমস্যা ছিল, সেটা রয়েই গেছে । পরবর্তীকালে করোনার তৃতীয় ঢেউ রাজ্যে এলে আবারও অক্সিজেন নিয়ে সমস্যা হবে বলে মনে করছে ব্যবসায়ীরা ৷ সেই পরিপ্রেক্ষিতে পর্যাপ্ত সিলিন্ডার না থাকলে আবারও অক্সিজেন নিয়ে সমস্যায় পড়তে হবে সাধারণ মানুষকে । মূলত এই অক্সিজেন সিলিন্ডারগুলি উৎপাদন করে মহারাষ্ট্র, গুজরাতের মতো রাজ্যগুলি । আর সেখান থেকেই সাপ্লাই হয় পশ্চিমবঙ্গে ৷ কিন্তু করোনা পরিস্থিতির মধ্যে সিলিন্ডারের উৎপাদন কম ৷ সেই সঙ্গে ট্রান্সপোর্টের সমস্যার কারণে পর্যাপ্ত সিলিন্ডারের অভাবে তৈরি হয়েছে । আগামিদিনে সিলিন্ডারের সমস্যা না থাকলে এ রাজ্যে অক্সিজেনের অভাব হবে না বলে জানিয়েছেন ব্যবসায়ীরা ।

আরও পড়ুন : অভিযান হতেই বেআইনি মজুত ২০০টি অক্সিজেন সিলিন্ডার স্বাস্থ্য দফতরকে তুলে দিল কারখানা কর্তৃপক্ষ

অক্সিজেন প্ল্যান্ট থেকে 10.2 লিটারের সিলিন্ডার নিয়ে গেলে রিফিলিং বাবদ 300 টাকা ও তার সঙ্গে জিএসটি দিতে হয় । আর 46.5 লিটারের সিলিন্ডার রিফিলিং করতে 600 টাকা প্রতি সিলিন্ডার পড়ে । এক্ষেত্রে সিলিন্ডার এনে রিফিলিং করে নিয়ে যেতে হয় । রাজহাট পঞ্চায়েতের দিল্লি রোডের কাছে এই অক্সিজেন রিফিলিং প্লান্ট আছে । এই প্লান্ট থেকে হুগলি, হাওড়া, দক্ষিণ ও উত্তর 24 পরগনা ও বর্ধমান পর্যন্ত অক্সিজেন যায় । হুগলি জেলায় পর্যাপ্ত পরিমাণ অক্সিজেনর যোগান আছে । কিন্তু, যাঁরা অক্সিজেন ডিলারদের কাছে সিলিন্ডার নিয়ে যান, তাঁদের সিলিন্ডার সমেত ডিপোজিট মানি সহ রিফিলিংয়ের অনেক টাকা দিতে হচ্ছে । সেই কারণে করোনার সময় অনেক টাকা গুণতে হচ্ছে রোগীর পরিবারকে । সেখানেই মগরা ডিলারের বিরুদ্ধে বারবার অভিযোগ উঠেছে ডিপোজিট মানি ও রিফিলিং খরচ দ্বিগুণ নেওয়ার ৷

dont have any crisis of medical oxygen in west bengal crisis is only for cylinders
অক্সিজেন প্লান্ট

আরও পড়ুন : মেমারিতে অক্সিজেনের কালোবাজারি, উদ্ধার 47টি সিলিন্ডার

মগরা অক্সিজেন ডিলার বিধুভূষণ রায়ের দাবি, যে টাকা দিয়ে তাঁদের রিফিলিং করতে হয় প্লান্টে ৷ এখন তার দ্বিগুণ টাকা দিয়ে রিফিলিং করাতে হচ্ছে ৷ তারপর আলাদা করে ট্রান্সপোর্টের খরচ আছে । কল্যাণী থেকে তাঁদের অক্সিজেন নিয়ে আসতে সারাদিন লেগে যায় । তিনি আরও বলেন, ‘‘এখন অক্সিজেনের কোনও সমস্যা নেই । একমাত্র সিলিন্ডার না থাকার কারণেই রোগীদের অক্সিজেন পেতে সমস্যায় পড়তে হচ্ছে । এর উপর রোগীরা ঠিক সময় সিলিন্ডার ফেরত দিচ্ছেন না ।’’ এই অসুবিধার জন্য বেশ কিছু স্বেচ্ছাসেবী সংস্থার সঙ্গে কাজ করছেন তিনি । সিলিন্ডার অর্ডার দিয়েও পাওয়া যাচ্ছে না বলে অভিযোগ করেছেন বিধুভূষণ রায় । তাঁর অভিযোগ, প্লান্ট মালিকরা তাঁদের থেকে দ্বিগুণ টাকা নিচ্ছেন । করোনা পরিস্থিতিতে তাঁদের ব্যবসার খরচও বেড়েছে ।

অক্সিজেনের অভাব নয়, অভাব সিলিন্ডারের; এমনই মত ব্যবসায়ীদের

আরও পড়ুন : এবার 'দুয়ারে অক্সিজেন' বিষ্ণুপুর পৌরসভার

অক্সিজেন প্লান্টের মালিক দীপঙ্কর কুণ্ডুর দাবি, অক্সিজেনের কোন সমস্যা নেই । শুধুমাত্র সিলিন্ডারের সমস্যার কারণেই এত ভুগতে হচ্ছে মানুষকে । বাজারে কিছু অক্সিজেন ডিলার অসাধু ভাবে কাজ করছেন । মানুষকে বাঁচানোর আগে টাকা রোজগার করতে ব্যস্ত হয়ে পড়েছেন তাঁরা । যাঁরা খালি সিলিন্ডার বিক্রি করেন তাঁদের বক্তব্য, সরকারি নির্দেশ ছাড়া সিলিন্ডার সাপ্লাই দেওয়া যাবে না । এই সিলিন্ডারের উৎপাদন হয় গুজরাতের বরোদায় ও মুম্বইয়ে । পশ্চিমবঙ্গে এর কোনও কারখানা নেই । তার ফলে এই সমস্যা আরও বেড়েছে ৷ করোনার তৃতীয় ঢেউ যদি আসে । তা সামাল দিতে পর্যাপ্ত পরিমাণ সিলিন্ডার প্রয়োজন । আমাদের রাজ্যে তরল অক্সিজেন পর্যাপ্ত পরিমাণে আছে ।

ETV Bharat Logo

Copyright © 2024 Ushodaya Enterprises Pvt. Ltd., All Rights Reserved.