হুগলি, 14 ফেব্রুয়ারি: চন্দননগর পৌরনিগমে ৩2টি ওয়ার্ডের মধ্যে ৩১টি ওয়ার্ডে জয় লাভ করেছে তৃণমূল (Indranil Sen Reaction On Chandannagar Victory) । 16 নম্বর ওয়ার্ডে জিতেছেন বামফ্রন্ট প্রার্থী অভিজিৎ সেন । প্রার্থীর প্রয়াণে একটি ওয়ার্ডে নির্বাচন হয়নি । বামেদের এই জয় নিয়ে কাটক্ষ করেন ইন্দ্রনীল সেন । তাঁর মতে, নজর যাতে না লাগে তার জন্যই একটি মাত্র ওয়ার্ড দেওয়া হয়েছে । আগে যেমন বাচ্চাদের নজর না লাগার জন্য কাজলের টিপ দিত । আমরাও একটি ওয়ার্ড দিয়েছি । তাছাড়া কিছু নেই ।
জয়ের পরেই খলিসানীতে তৃণমূল অফিসে মন্ত্রী ইন্দ্রনীল সেন জয়ী প্রার্থীদের নিয়ে সাংবাদিক বৈঠক করেন । সেখানেই তিনি বলেন, "এবার নির্বাচনে ২২ জনই ছিলেন নতুন মুখ । তারা জয়ী হয়েছেন । মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের যেসব প্রকল্প রাজ্যে চলছে তার সুবিধা মানুষ পাচ্ছেন।পাশাপাশি পৌরনিগমের পরিষেবাতেই মানুষ খুশি । তার ফল পাওয়া গেছে । বিরোধী বিজেপি শূন্য পেয়েছে আর সিপিএম একটা ওয়ার্ড পেয়েছে মানে কোনও কিছু ভালর জন্য একটা কালা টিকা । "
প্রসঙ্গত, ২০১৫ সালের পৌরমিগমের ভোটে ২১টি ওয়ার্ডে জয়ী হয়েছিল তৃণমূল । দু‘জন তৃণমূলে টিকিট না পেয়ে নির্দলে দাঁড়িয়ে জয়ী হয়েছিলেন । তারা পরে তৃণমূলে যোগ দেয় । সেই পুরবোর্ড আড়াই বছর পর ২০১৮ সালে ভেঙে যায় নিজেদের কোন্দলে । পুর প্রশাসক বসিয়ে এতদিন চন্দননগর পৌরনিগম চলেছে । এবার কি নিজেদের মধ্যে কোন ভুলবোঝাবুঝি হবে ? সাংবাদিকদের এই প্রশ্নে উত্তরে ,ইন্দ্রনীল সেন বলেন, "ভুল বোঝাবুঝি হতেই পারে কাজ করলে । সেটা সংশোধন করতে হবে । আমরা চন্দননগরের মানুষের জন্য একসাথে কাজ করেছি । আগামী দিনে ভদ্রেশ্বর পুরসভাতেও ২২ টি ওয়ার্ডের সবকটিতেই জয়লাভ করব ।’’
বিদায়ী পুরবোর্ডের মেয়র রাম চক্রবর্তী জয়ী হয়েছেন ৩০ নম্বর ওয়ার্ড থেকে । তিনি বলেন,"মুখ্যমন্ত্রীর প্রকল্প পৌরনিগমের মাধ্যমে আমরা রূপায়িত করেছি । তার সুবিধা মানুষ পেয়েছেন । চন্দননগরবাসীকে ধন্যবাদ তারা আবার আমাদের সেবার সু্যোগ দিয়েছেন।বেশ কিছু কাজ বাকি আছে সেগুলো আগামী দিনে বাস্তবায়িত করা হবে ।"