ETV Bharat / state

আমফানের জেরে ক্ষতিগ্রস্ত হুগলির কৃষকরা

author img

By

Published : May 22, 2020, 6:40 AM IST

আমফানের দাপটে হুগলির কৃষিতে যে ক্ষতি হয়েছে, সবজি বিক্রির ক্ষেত্রে তার প্রভাব পড়তে পারে বলে মনে করছে জেলা কৃষি দপ্তর ৷

Agricultural sector has been effected as cyclone amphan
ক্ষতিগ্রস্ত চাষাবাদ

চূঁচূড়া, 21 মে : কোরোনা ভাইরাস ও লকডাউনে আগেই অনেক ক্ষতি হয়ে গিয়েছে চাষিদের ৷ এবার আমফান এসে যেন কফিনের শেষ পেরেক পুঁতে দিল ৷ ব্যপকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে চাষাবাদ ৷ হুগলির ধান, আম, কলা চাষিদের মাথায় হাত পড়েছে ৷ বিঘার পর বিঘা জমির ফসল নষ্ট হয়ে গিয়েছে ৷ সরকারি সাহায্যের দিকে তাকিয়ে চাষিরা ৷

আমফান তাণ্ডবে বিধ্বস্ত দক্ষিণবঙ্গ ৷ ঘূর্ণিঝড়ের প্রভাবে কয়েকশো কোটি টাকার ক্ষতির মুখে পড়তে হতে পারে বলে আশঙ্কা প্রকাশ করেছে জেলার কৃষি দপ্তর ৷ গতকাল কলকাতা, হাওড়া ও হুগলির উপর দিয়ে 120-125 কিলোমিটার বেগে ঝড় বয়ে যায় ৷ ঝড়ের দাপটে বহু আম বাগান, কলা বাগানে গাছ উপড়ে পড়েছে ৷ কোরোনার জেরে আগেই আম চাষিরা ক্ষতির মুখে পড়েছিলেন ৷ গাছ থেকে নামানোর পর আমে পচন ধরছিল ৷ এর উপর ঝড় হওয়ায় লাভের মুখ দেখবেন না বলে আশঙ্কা করছেন চাষিরা ৷

রাহুল সাঁতরা নামে এক আম চাষি বলেন, ‘‘সাড়ে পাঁচ লাখ টাকার আম চাষ করেছিলাম ৷ ঝড়ে সব আম ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে ৷ মাত্র এক হাজার টাকার আম বিক্রি করতে পেরেছি ৷ অন্যের বাগানে আম চাষ করি ৷ সরকার যদি সাহায্য করে তাহলে ভালো হয় ৷’’ বাপন দাস নামে আরেক আম চাষি জানান, ‘‘এত গাছ ভেঙে গেছে যে, সাধারণ মানুষের মাথায় হাত পড়েছে ৷ আমে পোকা ধরছে ৷ এবছর লাভ করতে পারব না ৷’’ সুশীল দাস নামে এক কলা চাষি বলেন, ‘‘দু’বিঘা কাঁচকলার বাগান ছিল ৷ ঝড়ে পুরো বাগান নষ্ট হয়ে গিয়েছে ৷ সংসার চালাব কী করে বুঝতে পারছি না ৷’’

জেলা কৃষি দপ্তর তরফে অশোক তরফদার বলেন, ‘‘আমফানের জেরে হুগলি জেলায় শস্যের ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে । বোরো ধান চাষ হয়েছিল । তার মধ্যে 80 শতাংশ উঠে গেলেও 20 শতাংশ মাঠেই ছিল ৷ সেটা পুরোপুরি নষ্ট হয়ে গেছে । বাদাম, মুগ, সবজি, কলা ও পেঁপের বিশাল ক্ষতি হবে । মাচার সবজি নেই বললেই চলে ।’’ গতকালের ঝড়-বৃষ্টির পর এখনও বেশিরভাগ জমিতে জল জমে আছে । কোনও কোনও জায়গায় 118 মিলিমিটার থেকে 150 মিলিমিটার পর্যন্ত বৃষ্টি হয়েছে । এসব মিলিয়ে আগামী দিনে হিসাব করা হবে বলে জানান কৃষি দপ্তরের অধিকর্তা । যাদের বিমা করা আছে তাঁদের রিপোর্ট পাঠানো হবে বলে তিনি জানান । সরকারের তরফে বুলবুলের সময় যেভাবে ক্ষতিপূরণ দেওয়া হয়েছিল, সেভাবে এবারও ক্ষতিপূরণ দেওয়া হবে ৷ গোটা বিষয়টি সরকারি তরফে চিন্তা-ভাবনা করে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে বলে জানিয়েছে কৃষি দপ্তর ।

হগুলিতে ক্ষতিগ্রস্ত চাষিরা

চাষাবাদ করেই সংসার চলে ৷ ছেলে-মেয়ের মুখে দু’টো ভাত তুলে দেন ৷ জীবনের উপর দিয়ে বহু ঝড় বয়ে গিয়েছে ৷ কিন্তু আমফান যেন সর্বনাশা ৷ একে কোরোনা ভাইরাসের জেরে আর্থিক ক্ষতির মুখে পড়েছেন চাষিরা ৷ যেটুকু আশা বেঁচে ছিল, তাও শেষ হয়ে গিয়েছে আমফানের তাণ্ডবে ৷ এই সময় সরকার যদি পাশে না দাঁড়ায় তাহলে বড়সড় ক্ষতির মুখে পরবেন বলে আশঙ্কা চাষিদের ৷

চূঁচূড়া, 21 মে : কোরোনা ভাইরাস ও লকডাউনে আগেই অনেক ক্ষতি হয়ে গিয়েছে চাষিদের ৷ এবার আমফান এসে যেন কফিনের শেষ পেরেক পুঁতে দিল ৷ ব্যপকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে চাষাবাদ ৷ হুগলির ধান, আম, কলা চাষিদের মাথায় হাত পড়েছে ৷ বিঘার পর বিঘা জমির ফসল নষ্ট হয়ে গিয়েছে ৷ সরকারি সাহায্যের দিকে তাকিয়ে চাষিরা ৷

আমফান তাণ্ডবে বিধ্বস্ত দক্ষিণবঙ্গ ৷ ঘূর্ণিঝড়ের প্রভাবে কয়েকশো কোটি টাকার ক্ষতির মুখে পড়তে হতে পারে বলে আশঙ্কা প্রকাশ করেছে জেলার কৃষি দপ্তর ৷ গতকাল কলকাতা, হাওড়া ও হুগলির উপর দিয়ে 120-125 কিলোমিটার বেগে ঝড় বয়ে যায় ৷ ঝড়ের দাপটে বহু আম বাগান, কলা বাগানে গাছ উপড়ে পড়েছে ৷ কোরোনার জেরে আগেই আম চাষিরা ক্ষতির মুখে পড়েছিলেন ৷ গাছ থেকে নামানোর পর আমে পচন ধরছিল ৷ এর উপর ঝড় হওয়ায় লাভের মুখ দেখবেন না বলে আশঙ্কা করছেন চাষিরা ৷

রাহুল সাঁতরা নামে এক আম চাষি বলেন, ‘‘সাড়ে পাঁচ লাখ টাকার আম চাষ করেছিলাম ৷ ঝড়ে সব আম ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে ৷ মাত্র এক হাজার টাকার আম বিক্রি করতে পেরেছি ৷ অন্যের বাগানে আম চাষ করি ৷ সরকার যদি সাহায্য করে তাহলে ভালো হয় ৷’’ বাপন দাস নামে আরেক আম চাষি জানান, ‘‘এত গাছ ভেঙে গেছে যে, সাধারণ মানুষের মাথায় হাত পড়েছে ৷ আমে পোকা ধরছে ৷ এবছর লাভ করতে পারব না ৷’’ সুশীল দাস নামে এক কলা চাষি বলেন, ‘‘দু’বিঘা কাঁচকলার বাগান ছিল ৷ ঝড়ে পুরো বাগান নষ্ট হয়ে গিয়েছে ৷ সংসার চালাব কী করে বুঝতে পারছি না ৷’’

জেলা কৃষি দপ্তর তরফে অশোক তরফদার বলেন, ‘‘আমফানের জেরে হুগলি জেলায় শস্যের ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে । বোরো ধান চাষ হয়েছিল । তার মধ্যে 80 শতাংশ উঠে গেলেও 20 শতাংশ মাঠেই ছিল ৷ সেটা পুরোপুরি নষ্ট হয়ে গেছে । বাদাম, মুগ, সবজি, কলা ও পেঁপের বিশাল ক্ষতি হবে । মাচার সবজি নেই বললেই চলে ।’’ গতকালের ঝড়-বৃষ্টির পর এখনও বেশিরভাগ জমিতে জল জমে আছে । কোনও কোনও জায়গায় 118 মিলিমিটার থেকে 150 মিলিমিটার পর্যন্ত বৃষ্টি হয়েছে । এসব মিলিয়ে আগামী দিনে হিসাব করা হবে বলে জানান কৃষি দপ্তরের অধিকর্তা । যাদের বিমা করা আছে তাঁদের রিপোর্ট পাঠানো হবে বলে তিনি জানান । সরকারের তরফে বুলবুলের সময় যেভাবে ক্ষতিপূরণ দেওয়া হয়েছিল, সেভাবে এবারও ক্ষতিপূরণ দেওয়া হবে ৷ গোটা বিষয়টি সরকারি তরফে চিন্তা-ভাবনা করে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে বলে জানিয়েছে কৃষি দপ্তর ।

হগুলিতে ক্ষতিগ্রস্ত চাষিরা

চাষাবাদ করেই সংসার চলে ৷ ছেলে-মেয়ের মুখে দু’টো ভাত তুলে দেন ৷ জীবনের উপর দিয়ে বহু ঝড় বয়ে গিয়েছে ৷ কিন্তু আমফান যেন সর্বনাশা ৷ একে কোরোনা ভাইরাসের জেরে আর্থিক ক্ষতির মুখে পড়েছেন চাষিরা ৷ যেটুকু আশা বেঁচে ছিল, তাও শেষ হয়ে গিয়েছে আমফানের তাণ্ডবে ৷ এই সময় সরকার যদি পাশে না দাঁড়ায় তাহলে বড়সড় ক্ষতির মুখে পরবেন বলে আশঙ্কা চাষিদের ৷

ETV Bharat Logo

Copyright © 2024 Ushodaya Enterprises Pvt. Ltd., All Rights Reserved.