জিরাট, 12 জুলাই: ভাঙনের সংস্কার হওয়ার পরও ঝুঁকি নিয়ে চলছে ক্লাস । জিরাট গ্রাম পঞ্চায়েত এলাকায় চর খয়রামারী প্রাথমিক বিদ্যালয় ছাত্রছাত্রীরা নিজেদের জীবনের ঝুঁকি নিয়ে দোতলার ঘরে ক্লাস করছে (Jirat River Erosion)। চর খয়রামারী প্রাথমিক বিদ্যালয় দীর্ঘ আড়াই বছরের বেশি সময় হয়ে গেলেও নতুন স্কুল বিল্ডিং তৈরি করার তৎপরতা নেই প্রশাসনের । 10 বছরের বেশি সময় ধরে ওই পঞ্চায়েতের দুর্লভপুর, রানিনগর ও গৌরনগর এলাকায় ভাঙন চলছে । তার মধ্যে গৌরনগর মৌজার কোনও অস্তিত্বই নেই ৷
দুর্লভপুর মৌজার দুই গ্রাম চর খয়রামারী ও খাসের চর ভাঙনের মুখে । তারমধ্যে এই স্কুলও রয়েছে । এরই মাঝে ভাঙনের ফলে দীর্ঘদিন স্কুল বন্ধ ছিল । করোনা এবং লকডাউনে প্রাইমারি স্কুলের পাশে থাকা অঙ্গনওয়ারি সেন্টারও ভাঙনের কবলে । খাসের চরের ফ্লাড সেন্টার গঙ্গার জলে তলিয়ে গিয়েছে । সরকারিভাবে লক্ষ লক্ষ টাকা খরচ করে বালির বস্তা ও পাইলিং করে স্কুলটাকে বাঁচানোর চেষ্টা করা হয়েছে । স্থানীয় মানুষের আশঙ্কা এর আগে বহুবার নদী ভাঙনের রোধ করা চেষ্টা হয়েছিল । 1949 সালে চর খয়রামারী প্রাথমিক স্কুল তৈরি হওয়ার সময় দূরত্ব ছিল 2 মিটার । এটা দূরত্ব এখন 2 ফুটের কম । এই প্রাথমিক স্কুলে 62 জনের বেশি ছাত্রছাত্রী পড়াশোনা করত । সেই পড়ুয়ার সংখ্যা হয়েছে 50 জন । অধিকাংশ পড়ুয়ারা আতঙ্কে অন্য স্কুলে ভর্তি হচ্ছে ।
আরও পড়ুন : ফুলহরের ভাঙনে বসে গেল বাঁধ, আতঙ্কের প্রহর শুরু
স্কুলের প্রধান শিক্ষক প্রদীপ কুমার মণ্ডল বলেন, "দু'বছর স্কুল বন্ধ ছিল । চলতি বছরে ফ্রেব্রুরারি মাস থেকে স্কুল চালু হয়েছে । ছাত্রছাত্রীদের নিরাপত্তার কথা ভেবে দোতলার ঘরে ক্লাস নিচ্ছি । সামনে গঙ্গার জন্য আতঙ্কে আছি । মিডে-ডে মিল চালু রয়েছে । স্কুলের জন্য নতুন দু'বছর আগে বিকল্প জমি খুঁজে দেওয়া হয়েছে । নতুন স্কুল হলে আর কোনও সমস্যা থাকবে না ।
বলাগরের সমষ্টি উন্নয়ন আধিকারিক নীলাদ্রি সরকার বলেন, "ওই স্কুল নতুন করে তৈরি করার প্রক্রিয়া চলছে । টেন্ডার হয়ে গিয়েছে আগামী 10 দিনের মধ্যে কাজ শুরু হবে ।"