কলকাতা, 18 মার্চ: বৈধ রেশন কার্ড রয়েছে, তার সঙ্গে আধার কার্ডের যুক্তও রয়েছে। কিন্তু, ই-পস (ইলেকট্রনিক পয়েন্ট অফ সেল) মেশিনে আঙুলের ছাপ নিচ্ছে না। এর ফলে বহু গ্রাহক রেশন থেকে বঞ্চিত হচ্ছেন। এই অভিযোগ দীর্ঘদিনের। নিরুপায় রেশন ডিলাররা। কারণ, গ্রাহকের আঙুলের ছাপ না-মিললে তাঁরাও রেশন সামগ্রী পাবেন না। আগামী মাস থেকে সেই সমস্যার সমাধান হতে চলেছে। আঙুলের ছাপ না-মিললেও গ্রাহকদের বঞ্চিত করতে নারাজ রাজ্য খাদ্য দফতর। তার জন্য রেশন দোকানে রেটিনা স্ক্যানার পাঠানো হচ্ছে (WB Govt Takes New Initiatives)। চোখের মণি মিললেই রেশন পাবেন গ্রাহকরা। তার জন্য আর আঙুলের ছাপের প্রয়োজন নেই।
রাজ্যের খাদ্যমন্ত্রী রথীন ঘোষ সাক্ষাৎকারে ইটিভি ভারতকে বলেন, "আঙুলের ছাপ নিচ্ছে না ইলেকট্রনিক পয়েন্ট অফ সেল। চিন্তা নেই এবার চোখের মণি মিললেই রেশন পাবেন গ্রাহকরা। তার জন্য প্রত্যেকটি রেশন দোকানে রেটিনা স্ক্যানার মেশিন দেওয়া হবে। ইতিমধ্যে, প্রত্যেকটি জেলার পাঁচটি করে দোকানে এই মেশিন দেওয়া হয়েছে পরীক্ষামূলকভাবে। আগামী এপ্রিল মাসে প্রত্যেকটি রেশন ডিলাররা এই মেশিন পাবেন। যাদের আঙুলের ছাপ মিলবে না, তাঁদের রেটিনা স্ক্যান করে বরাদ্দ রেশন প্রদান করা হবে।"
জাতীয় খাদ্য সুরক্ষা যোজনা বা এনএফএসএম চালুর আগে মূলত তিন ধরনের রেশন কার্ড ছিল। কিন্তু, ই-পস (ইলেকট্রনিক পয়েন্ট অফ সেল) চালু হওয়ার পর 5 ধরনের রেশন কার্ড করা হয়। প্রায়োরিটি হাউসহোল্ড (পিএইচএইচ), সুপার প্রায়োরিটি হাউসহোল্ড (এসপিএইচএইচ)ও অন্ত্যোদয় অন্ন-যোজনা (এএওয়াই)। আর রাজ্যের খাদ্য সুরক্ষা যোজনা অর্থাৎ 'খাদ্যসাথী' প্রকল্পের আওতায় নতুন দু'ধরনের কার্ড দেওয়া হয়। রাজ্য খাদ্য সুরক্ষা যোজনা 1 ও আরকেএসওয়াই 2।
মোট এই পাঁচ ধরনের রেশন কার্ড মিলিয়ে রাজ্যে মোট গ্রাহকের সংখ্যা প্রায় 9 কোটির বেশি। যদিও তার আগে এই রেশন গ্রাহকের সংখ্যা আরও বেশি ছিল। 2021 সালের জুলাই মাসের পরিসংখ্যান অনুযায়ী রাজ্যে মোট রেশন গ্রাহকের সংখ্যা ছিল প্রায় 10 কোটি 45 লক্ষ। 2022 সালের অগস্ট মাসে তা কমে হয়েছে 9 কোটি 13 লক্ষ। এই বিপুল সংখ্যা গ্রাহকের যাদের আঙুলের ছাপ মিলবে না বা আঙুলের ছাপ মেশিন নেবে না তাঁদের চোখের মণি মিলিয়ে রেশন দেওয়া হবে।