দার্জিলিং, 26 অক্টোবর : পাহাড়ের করোনা পরিস্থিতি স্বাভাবিক হলে নতুন ভোটার তালিকা তৈরি করবে রাজ্য সরকার ৷ সেই অনুযায়ী জিটিএ নির্বাচনের উদ্যোগ নেবে রাজ্য সরকার ৷ পাশাপাশি সমগ্র রাজ্যের মতো পাহাড়েও যাতে ত্রিস্তরীয় পঞ্চায়েত ব্যবস্থা থাকে, সেই বিষয়টিও লাগু করার উদ্যোগ নেওয়ার কথা জানালেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ৷ এই মুহূর্তে পাহাড়ে দ্বিস্তর পঞ্চায়েত ব্যবস্থা লাগু রয়েছে ৷
মঙ্গলবার কার্শিয়াংয়ের টাউনহলে দার্জিলিং এবং কালিম্পং জেলার প্রশাসনিক বৈঠক করেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ৷ 2011 সালে গোর্খাল্যান্ড টেরিটোরিয়াল অ্যাডমিনিস্ট্রেশন তৈরি হওয়ার পরে শুধুমাত্র একবার জিটিএ নির্বাচন হয়েছিল ৷ সেই সময় জিটিএ চেয়ারম্যান হিসেবে নির্বাচিত হয়েছিলেন গোর্খা জনমুক্তি মোর্চার সুপ্রিমো বিমল গুরুং ৷ কিন্তু, তার পর থেকে আর জিটিএ নির্বাচন হয়নি পাহাড়ে ৷ পৃথক গোর্খাল্যান্ডের দাবিতে পাহাড়ে বিমল গুরুং এবং তাঁর সমর্থকদের সন্ত্রাসে সেই প্রক্রিয়া বিঘ্নিত হয় ৷ অভিযোগ ওঠে জিটিএ-তে দুর্নীতি করেছিল গুরুংয়ের নেতৃত্বাধীন বোর্ড ৷ সে নিয়ে রাজ্য সরকার অডিট করতে চাইলে, অশান্ত হয়ে ওঠে পাহাড় ৷ পরবর্তী সময়ে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি হলে পাহাড় থেকে বিমল গুরুং দার্জিলিং ছেড়ে পালালে, জিটিএ চেয়ারম্যান হন বিনয় তামাং ৷
আরও পড়ুন : Mamata Banerjee : যুবকদের ভিনরাজ্যে যাওয়া আটকাতে রাজ্যে স্বনির্ভর গোষ্ঠী গড়ার ঘোষণা মমতার
সেই থেকে আজও জিটিএ নির্বাচন হয়নি ৷ বর্তমানে অনীত থাপাকে প্রশাসক করে জিটিএ’র কাজকর্ম সামাল দেওয়া হচ্ছিল ৷ ছট পুজোর পর পাহাড়ের করোনা পরিস্থিতি যাচাই করে নতুন ভোটার তালিকা তৈরি করা হবে বলে আজ জানিয়েছেন মুখ্য়মন্ত্রী ৷ সেই মতো জিটিএ নির্বাচনের আয়োজন করা হবে ৷ আর উৎসবের মরশুম গেলেই পাহাড়ের দ্বিস্তরীয় পঞ্চায়েতকে ত্রিস্তরীয় পঞ্চায়েত ব্যবস্থায় নিয়ে আসা হবে বল জানিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী ৷ এদিন প্রশাসনিক বৈঠকে মুখ্যমন্ত্রীর কাছে জিটিএ ও পঞ্চায়েত নির্বাচনের দাবি জানিয়েছেন গোর্খা জনমুক্তি মোর্চার নেতা রোশন গিরি, পাহাড়ের আরেক নেতা অনীত থাপা এবং কালিম্পংয়ের বিধায়ক রুদেন লেপচা ৷
আরও পড়ুন : Mamata Banerjee: বিএসএফের ক্ষমতার পরিসর বৃদ্ধি নিয়ে ক্ষুব্ধ মুখ্যমন্ত্রী