ETV Bharat / state

Kabul to Darjeeling : কাবুল থেকে নিজের বাড়ি লেবংয়ে, পুনর্জন্মের অনুভূতি প্রেমরাজের

কাবুলে কর্মরত ছিলেন তিনি, তাও মার্কিন দূতাবাসের নিরাপত্তারক্ষী হিসেবে ৷ গত ক'দিনে সামনে থেকে দেখেছেন তালিবানদের হত্যাকাণ্ড ৷ বন্দুক নিয়ে ঘুরে বেড়াচ্ছে তারা ৷ বাড়ি ফিরতে পারবেন, ভাবতে পারেননি ৷ কিন্তু শেষমেশ এখন স্ত্রী-মেয়ের কাছে তিনি ৷

মেয়ের সঙ্গে প্রেমরাজ রানা
মেয়ের সঙ্গে প্রেমরাজ রানা
author img

By

Published : Aug 21, 2021, 2:10 PM IST

দার্জিলিং, 21 অগস্ট : "ভাবতেই পারিনি যে বাড়ি ফিরতে পারব । বাড়ি ফিরে যেন পুনর্জন্ম পেলাম", স্বস্তির গলায় বললেন প্রেমরাজ রানা ৷ তালিবানের আফগানিস্তান থেকে দার্জিলিংয়ের লেবংয়ে নিজের বাড়ি ফিরে আসতে পেরেছেন তিনি ।

আফগানিস্তানে কেন ?

24 বছর সেনাবাহিনীতে কর্মরত ছিলেন । সেনা থেকে অবসরের পর আফগানিস্তানের কাবুলে মার্কিন দূতাবাসে নিরাপত্তারক্ষীর কাজে যোগ দেন তিনি । সেখানে সাড়ে 4 বছর ধরে কাজ করছিলেন ।

তাঁর চোখে বর্তমান কাবুল

সারাজীবন সেনাতে কাজ করলেও আফগানিস্তানের এই অমানবিক বর্বরতা কখনও দেখেননি প্রেমরাজ ৷ যে দৃশ্য সবাই সংবাদমাধ্যম, সোশ্যাল মিডিয়ায় দেখেছেন ঘরে বসে ৷ গত কয়েকদিনে সেই তালিবানি-কাবুল দেখেছেন তিনি চোখের সামনে ৷ কাবুলে এখন তালিবানরা বন্দুক নিয়ে রাস্তায় ঘুরে বেড়াচ্ছে ৷ দৌরাত্ম্য চালাচ্ছে । সেখান থেকে প্রাণে বেঁচে বাড়ি ফিরতে পারবেন, সেটা স্বপ্নেও কল্পনা করতে পারেননি তিনি । তাঁর মতে, বরাত জোরে ফের মেয়ে ও স্ত্রীর কাছে এসেছেন তিনি ৷ এখন শান্তি রানার পরিবারে ৷

আরও পড়ুন : Taliban : অপহরণ ! কাবুল বিমানবন্দরে অপেক্ষারত ভারতীয়দের তুলে নিয়ে গেল তালিবান : সূত্র

তবে বাড়ি এসেও আতঙ্কের ঘোর কাটেনি । কাবুলের প্রসঙ্গে একটু থেমে থেমে প্রেমরাজ রানা বললেন, "যেন নতুন জন্ম পেলাম । কাবুলের ভয়ঙ্কর দৃশ্যের কথা ভাবলে এখনও শিউরে উঠি । খুব খারাপ অবস্থা ওখানকার মানুষের।" প্রতিদিন পরিবারের লোকদের সঙ্গে ফোনে কথা হত । আর মেয়ে, বউ কাঁদত, কবে ফিরবেন প্রেমরাজ । তিনি বললেন, "আমি নিজেও এতটাই আতঙ্কে ছিলাম যে, কী করব বুঝেই উঠতে পারছিলাম না ।"

তালিবানরা আফগানিস্তান দখল করতেই খালি হতে শুরু করে মার্কিন দূতাবাস । কাবুল বিমানবন্দরের কাছে নিজেকে ঘরবন্দি করে রেখেছিলেন তিনি । জানলা খুললে গুলির শব্দ । এরপর 15 অগস্ট মার্কিন সেনার সহযোগিতায় কাবুল থেকে বিমানে কাতার পৌঁছান । সেখান থেকে কুয়েত । কুয়েত থেকে নেপালের কাঠমান্ডুতে নামেন । আর নেপাল থেকে সড়ক পথে দার্জিলিংয়ে নিজের বাড়িতে ৷

বাড়ি আসতেই স্ত্রী আর মেয়েকে দেখে চোখে জল চলে আসে তাঁর । কাবুলে আর যেতে চান না প্রেম । ওখানকার নিরীহ মানুষের কথা ভেবে মন খারাপ হয়ে যার তাঁর, জানালেন প্রেম । মেয়ে প্রিয়াঙ্কা রানা বললেন, "খুব ভাল লাগছে বাবাকে পেয়ে । বাবাকে আর যেতে দেব না ।"

দার্জিলিং, 21 অগস্ট : "ভাবতেই পারিনি যে বাড়ি ফিরতে পারব । বাড়ি ফিরে যেন পুনর্জন্ম পেলাম", স্বস্তির গলায় বললেন প্রেমরাজ রানা ৷ তালিবানের আফগানিস্তান থেকে দার্জিলিংয়ের লেবংয়ে নিজের বাড়ি ফিরে আসতে পেরেছেন তিনি ।

আফগানিস্তানে কেন ?

24 বছর সেনাবাহিনীতে কর্মরত ছিলেন । সেনা থেকে অবসরের পর আফগানিস্তানের কাবুলে মার্কিন দূতাবাসে নিরাপত্তারক্ষীর কাজে যোগ দেন তিনি । সেখানে সাড়ে 4 বছর ধরে কাজ করছিলেন ।

তাঁর চোখে বর্তমান কাবুল

সারাজীবন সেনাতে কাজ করলেও আফগানিস্তানের এই অমানবিক বর্বরতা কখনও দেখেননি প্রেমরাজ ৷ যে দৃশ্য সবাই সংবাদমাধ্যম, সোশ্যাল মিডিয়ায় দেখেছেন ঘরে বসে ৷ গত কয়েকদিনে সেই তালিবানি-কাবুল দেখেছেন তিনি চোখের সামনে ৷ কাবুলে এখন তালিবানরা বন্দুক নিয়ে রাস্তায় ঘুরে বেড়াচ্ছে ৷ দৌরাত্ম্য চালাচ্ছে । সেখান থেকে প্রাণে বেঁচে বাড়ি ফিরতে পারবেন, সেটা স্বপ্নেও কল্পনা করতে পারেননি তিনি । তাঁর মতে, বরাত জোরে ফের মেয়ে ও স্ত্রীর কাছে এসেছেন তিনি ৷ এখন শান্তি রানার পরিবারে ৷

আরও পড়ুন : Taliban : অপহরণ ! কাবুল বিমানবন্দরে অপেক্ষারত ভারতীয়দের তুলে নিয়ে গেল তালিবান : সূত্র

তবে বাড়ি এসেও আতঙ্কের ঘোর কাটেনি । কাবুলের প্রসঙ্গে একটু থেমে থেমে প্রেমরাজ রানা বললেন, "যেন নতুন জন্ম পেলাম । কাবুলের ভয়ঙ্কর দৃশ্যের কথা ভাবলে এখনও শিউরে উঠি । খুব খারাপ অবস্থা ওখানকার মানুষের।" প্রতিদিন পরিবারের লোকদের সঙ্গে ফোনে কথা হত । আর মেয়ে, বউ কাঁদত, কবে ফিরবেন প্রেমরাজ । তিনি বললেন, "আমি নিজেও এতটাই আতঙ্কে ছিলাম যে, কী করব বুঝেই উঠতে পারছিলাম না ।"

তালিবানরা আফগানিস্তান দখল করতেই খালি হতে শুরু করে মার্কিন দূতাবাস । কাবুল বিমানবন্দরের কাছে নিজেকে ঘরবন্দি করে রেখেছিলেন তিনি । জানলা খুললে গুলির শব্দ । এরপর 15 অগস্ট মার্কিন সেনার সহযোগিতায় কাবুল থেকে বিমানে কাতার পৌঁছান । সেখান থেকে কুয়েত । কুয়েত থেকে নেপালের কাঠমান্ডুতে নামেন । আর নেপাল থেকে সড়ক পথে দার্জিলিংয়ে নিজের বাড়িতে ৷

বাড়ি আসতেই স্ত্রী আর মেয়েকে দেখে চোখে জল চলে আসে তাঁর । কাবুলে আর যেতে চান না প্রেম । ওখানকার নিরীহ মানুষের কথা ভেবে মন খারাপ হয়ে যার তাঁর, জানালেন প্রেম । মেয়ে প্রিয়াঙ্কা রানা বললেন, "খুব ভাল লাগছে বাবাকে পেয়ে । বাবাকে আর যেতে দেব না ।"

ETV Bharat Logo

Copyright © 2024 Ushodaya Enterprises Pvt. Ltd., All Rights Reserved.