শিলিগুড়ি, 15 অক্টোবর : গান্ধিজির জন্মের সার্ধশতবর্ষ উপলক্ষে শিলিগুড়ির ঘুঘুমারি হাইস্কুলে এক প্রদর্শনীর আয়োজন করেছিল কেন্দ্র ৷ স্কুলের তরফে মৌখিক অনুমতিও ছিল ৷ অনুষ্ঠানের জন্য মঞ্চ তৈরি ছাড়াও আমন্ত্রণপত্রও বিলি হয় ৷ আজ প্রদর্শনীর উদ্বোধনী অনুষ্ঠানের কথা ছিল ৷ কিন্তু স্কুল কর্তৃপক্ষের তরফে জানানো হয়, অনুষ্ঠান করতে দেওয়া যাবে না ৷
BJP-র দার্জিলিং জেলা সভাপতি অভিজিৎ রায়চৌধুরি বলেন, "স্কুলে এখন ছুটি চলছে ৷ তাই স্কুল কর্তৃপক্ষের মৌখিক অনুমতি নিয়েই কেন্দ্রীয় তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রক থেকে প্রদর্শনীর আয়োজন করা হয়েছিল ৷ শীতাতপ নিয়ন্ত্রিত মঞ্চ বাঁধার কাজও দেখে গিয়েছেন প্রধান শিক্ষক অনুপ সাহা ৷ তিনি নিজেও এতে উৎসাহ প্রকাশ করেছিলেন ৷ মঞ্চ তৈরির কাজ চলাকালীন প্রধান শিক্ষক যে স্কুলে হাজির ছিলেন, তা স্কুলের CCTV ফুটেজ দেখলেও স্পষ্ট হবে ৷" অভিজিৎবাবু জানান, এটা সরকারি অনুষ্ঠান ছিল ৷ দিন তিনেক আগে কেন্দ্রীয় মন্ত্রকের তরফে মন্ত্রী গৌতম দেবকেও আমন্ত্রণ জানানো হয় ৷
আজ হঠাৎ স্কুল কর্তৃপক্ষ জানায়, লিখিত অনুমতি ছাড়া স্কুলের মাঠ দখল করে কেন্দ্রীয় সরকারের অনুষ্ঠানের মঞ্চ বানানো চলবে না ৷ করা যাবে না অনুষ্ঠান ৷ অভিজিৎবাবু বলেন, "গান্ধিজিকে নিয়ে এমন রাজনীতি কাঙ্খিত নয় ৷ লোকসভা নির্বাচনে ওরা উত্তরবঙ্গে প্রতিটি আসনেই হেরেছে ৷ এসব কারণেই মানুষ ওদের প্রত্যাখ্যান করছে ৷"
রাজনৈতিক চাপেই কি শেষমেশ মৌখিক অনুমতি বাতিল করা হয়েছে ? প্রধান শিক্ষক অনুপ সাহা বলেন, "এই নিয়ে মন্তব্য করব না ৷ স্কুল বন্ধ ছিল ৷ কারা মাঠ দখল করে মঞ্চ বানাচ্ছিল জানি না ৷ কেন্দ্রের অনুষ্ঠান কি না তাও জানি না ৷ এর বেশি প্রশ্ন করবেন না ৷" স্থানীয় তৃণমূল কাউন্সিলর রঞ্জন শীল শর্মা বলেন, "আমার কিছুই জানা নেই ৷ আমি অনুমতিও দিইনি ৷ আপত্তিও জানাইনি ৷"
যাবতীয় অভিযোগ অস্বীকার করেছেন মন্ত্রী গৌতম দেবও ৷ তিনি বলেন, "আমার কিছু জানা নেই ৷ যা বলার স্কুল কর্তৃপক্ষ বলতে পারবে ৷" অন্যদিকে জলপাইগুড়ির সাংসদ জয়ন্ত রায় বলেন, "গায়ের জোরে আজ অনুষ্ঠান করতে দেওয়া হল না ৷ গান্ধিজিকে নিয়ে এরা রাজনীতি করছে ৷ আমি মুখ্য অতিথি ছিলাম ৷ কার্ডও বিলি হয়ে গিয়েছিল ৷ মানুষ এদের বিচার করবে ৷"