দার্জিলিং, 26 মে : বৃহস্পতিবার জিটিএ নির্বাচনের বিরুদ্ধে বিমল গুরুংয়ের আমরণ অনশনের দ্বিতীয় দিন । অনশনে যোগ না-দিলেও জিটিএ নির্বাচনের পক্ষে থাকা অনেক রাজনৈতিক দলই তার অনশনকে স্বাগত জানিয়েছেন (Bimal Gurung hunger strike)। এমনকি তার পাশে থাকার আশ্বাস দিয়েছেন দার্জিলিংয়ের বিজেপি সাংসদ রাজু বিস্তাও । তিনি ছাড়াও অজয় এডওয়ার্ডয়ের হামরো পার্টি, এসপি শর্মার ভারতীয় গোর্খা সুরক্ষা পরিষদ বিমল গুরুংয়ের আমরণ অনশনকে নৈতিকভাবে সমর্থন জানিয়েছেন । যার ফলে রাজনৈতিকমহলের একাংশ মনে করছে, জিটিএ নির্বাচনের বিরোধীতা করে রাজ্য সরকারের বিরুদ্ধে গোর্খা জনমুক্তি মোর্চার ওই পদক্ষেপকে সামনে রেখে ফের একবার ধীরে ধীরে আঞ্চলিক রাজনৈতিক দলগুলি একত্রিত হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে ।
বৃহস্পতিবার সকালে বিমল গুরুংকে শুভেচ্ছা জানাতে গোর্খা জনমুক্তি মোর্চার সিংমারির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে যায় মোর্চার কালিম্পং শাখার মহিলা মোর্চার নেতা কর্মী ও সমর্থকরা । এমনকি নির্বাচনের আগে 2011 সালের জিটিএ চুক্তি লাগু না-করলে ভবিষ্যতে তারাও আমরণ অনশনে বসার হুমকি দিয়েছে ।
অন্যদিকে, বিমল গুরুংয়ের অনশনকে কেন্দ্র করে যাতে পাহাড়ে যাতে নতুন করে সন্ত্রাসের সৃষ্টি না-হয় সেই আবেদনও রেখেছেন রাজনৈতিকদলের নেতারা । কারণ পৃথক রাজ্য গোর্খাল্যান্ডয়ের দাবিতে টানা একশো দিনের বেশি পাহাড় বনধ এবং পরে করোনার দীর্ঘ দু'বছরের ধাক্কার সামলে সবেমাত্র পাহাড় স্বাভাবিক ছন্দে ফিরেছে । পাহাড়ে এই সময় প্রচুর পর্যটক রয়েছে । সেই জায়গায় যাতে পাহাড় ফের অশান্ত না-হয় সেই আবেদনই রেখেছেন প্রত্যেক রাজনৈতিক দলের নেতারা ।"
রাজু বিস্তা বলেন, "গোর্খা জাতির পক্ষে যে থাকবে সে আমার বন্ধু হোক বা শত্রু হোক আমি তার পাশে থাকব ৷ তবে কোনওভাবে যেন পাহাড়ে অশান্তির সৃষ্টি না-হয় ।" হামরো পার্টির সভাপতি অজয় এডওয়ার্ড বলেন, "বিমল গুরুংয়ের অনশনকে স্বাগত জানাই । তাঁকে শুভেচ্ছা । তিনি জিটিএ চুক্তি লাগু করার দাবি জানিয়েছেন যা যুক্তিযুক্ত ।"
আরও পড়ুন : জিটিএ নির্বাচনের বিরোধিতায় আমরণ অনশনে বসলেন বিমল গুরুং
এসপি শর্মার সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, "আমরাও নৈতিকভাবে বিমল গুরুংয়ের অনশনের পাশে আছি । আমরা সমর্থন জানাই।" ভারতীয় গোর্খা প্রজাতান্ত্রিক মোর্চার সাধারণ সম্পাদক অমর লামা অবশ্য বলেন, "অনশন করা প্রত্যেকের সাংবিধানিক অধিকার । তাতে আমাদের কিছু করার নেই । তবে আমরা প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছি ৷ যে যাই করুক না কেন, পাহাড়ে যেন নতুন করে হিংসার সৃষ্টি না হয় ।"
গোর্খা জনমুক্তি মোর্চার কালিম্পং শাখার মহিলা মোর্চার সভাপতি বন্দনা ইয়ংজং বলেন, "পাহাড়ে 18টি রাজনৈতিক দলের মধ্যে মাত্র তিনটে দল জিটিএ নির্বাচনের পক্ষে রয়েছে । বাকি কেউ নেই । তারপরেও জোর করে নির্বাচন করছে রাজ্য সরকার। কেন্দ্রীয় কমিটি নির্দেশ দিলে মহিলারাও এরপর আমরণ অনশনে বসবে ।"