দার্জিলিং, 2 সেপ্টেম্বর : এবার থেকে সূর্যোদয় দেখার জন্য টাইগার হিলে কাটতে হবে টোকেন । তীব্র যানজট কমাতেই এই নিয়ম চালু করল দার্জিলিং জেলা পুলিশ । গতকাল থেকেই এই ব্যবস্থা চালু হয়ে গেছে টাইগার হিলে ৷
প্রথম দিন অর্থাৎ রবিবার 24টি গাড়িকে টোকেন দেওয়া হয় । এর মধ্যে 23টি গাড়ি টাইগার হিলে যায় । টোকেনহীন 107টি গাড়িকে ফিরিয়ে দেওয়া হয় । অন্যদিকে সকাল সাতটা থেকে রাত সাতটা পর্যন্ত বড় গাড়িগুলিকে ঢুকতে দেওয়া হবে না বলেও জানিয়েছেন জেলা প্রশাসনের কর্তারা ।
এই বিষয়ে দার্জিলিং ট্র্যাফিক পুলিশের OC দর্জি শেরপা বলেন, " দার্জিলিং এর পথঘাট সংকীর্ণ । তার উপর যেখানে সেখানে যানবাহন পার্কিং ও গাড়ি আসার ফলে তীব্র যানজটের সৃষ্টি হচ্ছে । এর কারণে স্কুল পড়ুয়া থেকে শুরু করে রোগীরা সব থেকে বেশি ভুক্তভোগী হচ্ছে । জোড়বাংলো থেকে দার্জিলিং পৌঁছাতে অনেক সময় তিন থেকে চার ঘণ্টা লেগে যাচ্ছে । তাই দার্জিলিং জেলা ট্র্যাফিক পুলিশ এই নিয়ম চালু করেছে । নিয়ম অনুযায়ী টাইগার হিলে টোকেন ছাড়া পর্যটকদের গাড়ি ঢুকতে দেওয়া হচ্ছে না । দার্জিলিং ট্র্যাফিক পুলিশের সদর অফিস থেকেই পাওয়া যাচ্ছে টোকেন ৷ সূর্যোদয় দেখতে যাওয়ার একদিন আগে সেটি নিতে হবে ৷ সকাল দশটা থেকে পাঁচটার মধ্যে দেওয়া হবে টোকেন । টোকেনের জন্য কোনও টাকা লাগছে না ৷ তবে ড্রাইভিং লাইসেন্স ও গাড়ির কাগজপত্র (আর সি বুক) লাগছে । তবে ভোর তিনটে থেকে সকাল সাতটা পর্যন্ত টোকেন ছাড়া কোনও গাড়ি ঢুকতে দেওয়া হবে না ।
আরও পড়ুন : পাহাড়ে হাতিয়ার হোম স্টে, পর্যটনে নয়া উদ্যোগ রাজ্যের
কার্সিয়ং থেকেও টোকেন দেওয়ার পরিকল্পনা রয়েছে । বাতাসিয়া লুপে পর্যটকদের গাড়ি ঢোকার সময় বদল করা হয়েছে । এজন্য সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের সঙ্গে কথা বলেছে পুলিশ । টাইগার হিল থেকে বাতাসিয়া হয়ে গান্ধি রোড, INA বাইপাস, কাকঝোরা হয়ে দার্জিলিং ঢুকতে হবে । তবে দার্জিলিং চিড়িয়াখানার কাছে সব গাড়ি ঢুকতে দেওয়া হবে না । কিছু গাড়ি পর্যটকদের নামিয়ে চলে আসতে পারবে । এখানে কোনও পার্কিং থাকবে না । এছাড়া লেবংকার্ট রোড হয়ে PWD মোড়ে গাড়ি থেকে নেমে হেঁটে চিড়িয়াখানা যেতে পারবেন পর্যটকরা । "
এই উদ্যোগের ফলে শহরে যানজট অনেকটাই কমবে বলে মনে করছে পুলিশ-প্রশাসনের কর্তারা । তবে একটি পর্যটন সংস্থা এই সিদ্ধান্তের বিরোধিতা করে মুখ্যমন্ত্রীকে চিঠিও দিয়েছে,কিন্তু এই চাপের কাছে পিছু না হঠে জেলা পুলিশ টোকেন সিস্টেম কার্যকর করেছে । এই বিষয়ে জেলা পুলিশের এক কর্তা বলেন, " টাইগার হিলে পর্যটন মরশুমে 700 থেকে 800 গাড়ি যায় । ফলে গাড়ি রাখার জায়গার অভাবে তিন কিলোমিটার পর্যন্ত গাড়ির লম্বা লাইন পড়ে যায় । এইজন্য বনবিভাগের কাছে পার্কিংয়ের জন্য জায়গা চাওয়া হয়েছে । এই জায়গা মিললে আরও সুবিধা হবে ।"