ETV Bharat / state

CPIM Worker Died: চোপড়ায় মনোনয়নের দিন সংঘর্ষে জখম সিপিএম কর্মীর মৃত্যু

গত 15 জুন মনোনয়ন জমা দেওয়াকে কেন্দ্র করে সংঘর্ষে উত্তর দিনাজপুরের চোপড়ায় জখম হন মনসুর আলম নামে এক সিপিএম কর্মী ৷ ওই ব্যক্তির মৃত্যু হল বুধবার ৷ তিনি শিলিগুড়ির একটি নার্সিংহোমে চিকিৎসাধীন ছিলেন ৷

CPIM Worker Died
CPIM Worker Died
author img

By

Published : Jun 21, 2023, 1:38 PM IST

Updated : Jun 21, 2023, 3:04 PM IST

চোপড়ায় মনোনয়নের দিন সংঘর্ষে জখম সিপিএম কর্মীর মৃত্যু

শিলিগুড়ি, 21 জুন: উত্তর দিনাজপুরের চোপড়ায় মনোনয়ন জমার দিনের সংঘর্ষের ঘটনায় জখম সিপিএম কর্মী মনসুর আলমের মৃত্যু হল বুধবার । টানা ছ’দিন মৃত্যুর সঙ্গে পাঞ্জা লড়ার পর বুধবার সকালে মৃত্যু হয় তাঁর । আর তাঁর মৃত্যুর পরই চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে । তবে গুলিতে নয়, মাথায় আঘাতের কারণেই মৃত্যু হয়েছে তাঁর বলে জানা গিয়েছে ।

এ দিন সকালে শিলিগুড়ির খালপাড়ার এক নার্সিংহোমে মৃত্যু হয় মনসুরের । আর তাঁর মৃত্যুর খবর প্রকাশ্যে আসতেই ফের সরগরম রাজনৈতিক মহল । এ দিন নার্সিংহোমে মৃত্যুর পর তাঁর দেহ ময়নাতদন্তের জন্য উত্তরবঙ্গ মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালে পাঠানো হয় । মৃত্যুর পর নার্সিংহোমে তাঁর পরিবারের সঙ্গে দেখা করতে যান দার্জিলিং জেলা সিপিএমের সম্পাদক সমন পাঠক, বর্ষীয়ান সিপিএম নেতা অশোক ভট্টাচার্য-সহ অন্যান্যরা । অশোক ভট্টাচার্য জানান, মনসুর আলম গ্রামের অধিকার রক্ষার যে সংগ্রাম পশ্চিমবঙ্গে চলছে, তাতেই শহিদ হয়েছেন ৷ এর দায় তৃণমূল কংগ্রেসের নেতৃত্বকে নিতে হবে ৷

মনসুরের মামা মহম্মদ শাহাজাহান বলেন, "ভোরে মনসুরের মৃত্যু হয় । আরও বেশ কয়েকজন আহত হয়েছে । কিন্তু যাদের গ্রেফতার করা হয়েছে, তারা মূল অভিযুক্ত নয় ।" আরেক আত্মীয় আইনুল হক বলেন, "সেখানকার দুই তৃণমূল কংগ্রেসের নেতা মহম্মদ হামিদুল রহমান ও জিয়ারুল রহমানের নেতৃত্বে গোটা চোপড়ায় আগুন জ্বলছে । মনোনয়নের দিন মিছিলে হামলা চালানো হয় । আর ঘটনার পরেও প্রকাশ্যে তারা ঘুরে বেড়াচ্ছে । মনে হচ্ছে কোনও গণতন্ত্র নেই ।"

প্রসঙ্গত, গত 15 জুন চোপড়ায় বিডিও অফিসে মনোনয়ন দিতে যাওয়ার সময় ওই ঘটনা ঘটে । লালবাজার থেকে বিডিও অফিসে মিছিল করে মনোনয়ন দিতে যাচ্ছিলেন সিপিএম কংগ্রেসের প্রার্থী-সহ কর্মী ও সমর্থকরা । অভিযোগ, সেই সময় তৃণমূল কংগ্রেস আশ্রিত দুষ্কৃতিরা মিছিলের উপর হামলা করে । ছোড়া হয় গুলি বলেও অভিযোগ ওঠে । হামলার পরই মনসুর আলম ও তাঁর কাকা নৈমুল হককে গুরুতর আহত অবস্থায় শিলিগুড়িতে চিকিৎসার জন্য পাঠানো হয় । নৈমুল হক বর্তমানে উত্তরবঙ্গ মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালে চিকিৎসাধীন ।

আর চোপড়া গেন্দাগজের মনসুর আলমকে প্রথমে শক্তিগড়ের একটি নার্সিংহোমে ও পরে খালপাড়ার নার্সিংহোমে স্থানান্তরিত করা হয় । ছয় দিন লড়াইয়ের পর এদিন সকালে মৃত্যু হয় তাঁর । বিকেলে ময়নাতদন্তের পর তার দেহ পরিবারের হাতে তুলে দেওয়া হবে বলে জানা গিয়েছে । নার্সিংহোমের চিকিৎসক সুমিত কুমার খুটিয়া বলেন, "রোগীর মাথায় কোনও গুলির ক্ষত নেই । তবে ভারী ক্ষত ছিল । রোগীর অবস্থা অনেক আগে থেকেই খারাপ ছিল সেটা আমরা পরিবারের লোককেও জানিয়েছিলাম । এদিন ভোরে তাঁর মৃত্যু হয় ।"

আরও পড়ুন: মনোনয়নের শেষ দিনেও ঝরল রক্ত, চোপড়ায় গুলিবিদ্ধ হয়ে মৃত বাম ও কংগ্রেস কর্মী

চোপড়ায় মনোনয়নের দিন সংঘর্ষে জখম সিপিএম কর্মীর মৃত্যু

শিলিগুড়ি, 21 জুন: উত্তর দিনাজপুরের চোপড়ায় মনোনয়ন জমার দিনের সংঘর্ষের ঘটনায় জখম সিপিএম কর্মী মনসুর আলমের মৃত্যু হল বুধবার । টানা ছ’দিন মৃত্যুর সঙ্গে পাঞ্জা লড়ার পর বুধবার সকালে মৃত্যু হয় তাঁর । আর তাঁর মৃত্যুর পরই চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে । তবে গুলিতে নয়, মাথায় আঘাতের কারণেই মৃত্যু হয়েছে তাঁর বলে জানা গিয়েছে ।

এ দিন সকালে শিলিগুড়ির খালপাড়ার এক নার্সিংহোমে মৃত্যু হয় মনসুরের । আর তাঁর মৃত্যুর খবর প্রকাশ্যে আসতেই ফের সরগরম রাজনৈতিক মহল । এ দিন নার্সিংহোমে মৃত্যুর পর তাঁর দেহ ময়নাতদন্তের জন্য উত্তরবঙ্গ মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালে পাঠানো হয় । মৃত্যুর পর নার্সিংহোমে তাঁর পরিবারের সঙ্গে দেখা করতে যান দার্জিলিং জেলা সিপিএমের সম্পাদক সমন পাঠক, বর্ষীয়ান সিপিএম নেতা অশোক ভট্টাচার্য-সহ অন্যান্যরা । অশোক ভট্টাচার্য জানান, মনসুর আলম গ্রামের অধিকার রক্ষার যে সংগ্রাম পশ্চিমবঙ্গে চলছে, তাতেই শহিদ হয়েছেন ৷ এর দায় তৃণমূল কংগ্রেসের নেতৃত্বকে নিতে হবে ৷

মনসুরের মামা মহম্মদ শাহাজাহান বলেন, "ভোরে মনসুরের মৃত্যু হয় । আরও বেশ কয়েকজন আহত হয়েছে । কিন্তু যাদের গ্রেফতার করা হয়েছে, তারা মূল অভিযুক্ত নয় ।" আরেক আত্মীয় আইনুল হক বলেন, "সেখানকার দুই তৃণমূল কংগ্রেসের নেতা মহম্মদ হামিদুল রহমান ও জিয়ারুল রহমানের নেতৃত্বে গোটা চোপড়ায় আগুন জ্বলছে । মনোনয়নের দিন মিছিলে হামলা চালানো হয় । আর ঘটনার পরেও প্রকাশ্যে তারা ঘুরে বেড়াচ্ছে । মনে হচ্ছে কোনও গণতন্ত্র নেই ।"

প্রসঙ্গত, গত 15 জুন চোপড়ায় বিডিও অফিসে মনোনয়ন দিতে যাওয়ার সময় ওই ঘটনা ঘটে । লালবাজার থেকে বিডিও অফিসে মিছিল করে মনোনয়ন দিতে যাচ্ছিলেন সিপিএম কংগ্রেসের প্রার্থী-সহ কর্মী ও সমর্থকরা । অভিযোগ, সেই সময় তৃণমূল কংগ্রেস আশ্রিত দুষ্কৃতিরা মিছিলের উপর হামলা করে । ছোড়া হয় গুলি বলেও অভিযোগ ওঠে । হামলার পরই মনসুর আলম ও তাঁর কাকা নৈমুল হককে গুরুতর আহত অবস্থায় শিলিগুড়িতে চিকিৎসার জন্য পাঠানো হয় । নৈমুল হক বর্তমানে উত্তরবঙ্গ মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালে চিকিৎসাধীন ।

আর চোপড়া গেন্দাগজের মনসুর আলমকে প্রথমে শক্তিগড়ের একটি নার্সিংহোমে ও পরে খালপাড়ার নার্সিংহোমে স্থানান্তরিত করা হয় । ছয় দিন লড়াইয়ের পর এদিন সকালে মৃত্যু হয় তাঁর । বিকেলে ময়নাতদন্তের পর তার দেহ পরিবারের হাতে তুলে দেওয়া হবে বলে জানা গিয়েছে । নার্সিংহোমের চিকিৎসক সুমিত কুমার খুটিয়া বলেন, "রোগীর মাথায় কোনও গুলির ক্ষত নেই । তবে ভারী ক্ষত ছিল । রোগীর অবস্থা অনেক আগে থেকেই খারাপ ছিল সেটা আমরা পরিবারের লোককেও জানিয়েছিলাম । এদিন ভোরে তাঁর মৃত্যু হয় ।"

আরও পড়ুন: মনোনয়নের শেষ দিনেও ঝরল রক্ত, চোপড়ায় গুলিবিদ্ধ হয়ে মৃত বাম ও কংগ্রেস কর্মী

Last Updated : Jun 21, 2023, 3:04 PM IST
ETV Bharat Logo

Copyright © 2024 Ushodaya Enterprises Pvt. Ltd., All Rights Reserved.