কার্শিয়ং, 6 জুলাই : ফের একবার রাজ্য রাজনীতির বিতর্কে উঠে এল পাহাড়ের নাম । জিটিএ নির্বাচন কোনওদিনই বিজেপির অ্যাজেন্ডায় ছিল না । বিজেপি জিটিএ নির্বাচনের পক্ষে নয়, এবং জিটিএ নির্বাচনে বিজেপি অংশগ্রহণ করবে না । সোমবার সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে সাফ একথা জানিয়ে দিলেন দার্জিলিংয়ের বিজেপি সাংসদ রাজু বিস্তা । তাঁর এই মন্তব্যের পর রাজনৈতিকমহলে বিতর্কের ঝড় উঠেছে । শুধু তাই নয়, দার্জিলিং এবং কালিম্পংকে নিয়ে লোকসভা নির্বাচনের আগে বিজেপির 'সংকল্প পত্রে' করা আশ্বাস অনুযায়ী পাহাড়ের স্থায়ী রাজনৈতিক সমাধানে পাহাড়কে নিয়ে পৃথক রাজ্য অথবা কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলের বিষয়েও গতকাল ইঙ্গিত দিয়েছেন সাংসদ । পাশাপাশি, তাঁর বিরুদ্ধে পাহাড়ে পোস্টার পড়ার বিষয়ে অখিল ভারতীয় গোর্খা লিগের বিরুদ্ধে ক্ষোভ উগরে দেন রাজু বিস্তা ।
সোমবার কার্শিয়াঙে কার্শিয়াং লাইব্রেরিতে একটি দলীয় কর্মসূচিতে যোগ দিতে যান দার্জিলিংয়ের সাংসদ রাজু বিস্তা । বিজেপির সাংগঠনিক এই আলোচনায় দলীয় কর্মী-নেতৃত্বের পাশাপাশি উপস্থিত থাকতে দেখা গিয়েছিল জোটসঙ্গী জিএনএলএফের নেতাদেরও । মূলত রাজ্যে বিধানসভা নির্বাচনে বিজেপির ভরাডুবি হলেও উত্তরবঙ্গের পাশাপাশি দার্জিলিং জেলায় বিজেপি খুব ভাল ফল করেছে । 2024 লোকসভা নির্বাচনের আগে পাহাড়ের সাংগঠনিক শক্তি এবং লোকসভার পর বিধানসভা নির্বাচনের ফলকেও ধরে রাখতে চাইছে গেরুয়া শিবির । এদিন সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে সাংসদ রাজু বিস্তা স্পষ্টভাবে বলেন, "পাহাড়ের পুরসভা এবং গ্রাম পঞ্চায়েতের নির্বাচন হলে আমরা অবশ্যই অংশগ্রহণ করব । কারণ এটা সংবিধান স্বীকৃত । নির্বাচনের জন্য আমরা রাজনৈতিক দল হিসেবে সবসময় প্রস্তুত রয়েছি । কিন্তু গোর্খাল্যান্ড টেরিটোরিয়াল অ্যাডমিনিস্ট্রেশন গোর্খাদের জন্য কলঙ্ক । এই নির্বাচনের পক্ষে আমরা নই । পাশাপাশি তিনি বলেন, "প্রধানমন্ত্রী এবং স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী পাহাড়ের সমস্যার সমাধানে যেসব আশ্বাস দিয়েছেন তা খুব দ্রুতই নিরসন হবে । কারণ কেন্দ্রীয় সরকার পাহাড়ের পরিস্থিতি খুব গুরুত্ব দিয়ে বিবেচনা করছে ।"
আরও পড়ুন: জাতীয় সড়ক কর্তৃপক্ষের গাছ কাটা রুখল বন দফতর
রাজু বিস্তার এই মন্তব্যের পর পাহাড়ের রাজনীতিতে শুরু হয়েছে অন্য সমীকরণ । এখন দেখার বিজেপি কি সত্যিই এই সিদ্ধান্তে অটল থাকে নাকি জিটিএ নির্বাচনে অংশগ্রহণ না করে অন্য কোনও পথ অনুসরণ করে । সেদিকেই তাকিয়ে রয়েছে পাহাড়ের রাজনৈতিক মহলের একাংশ ।