দার্জিলিং, 24 মে : গোর্খা জনমুক্তি মোর্চার নেতা বিমল গুরুংয়ের গলায় জিটিএ নিয়ে উলটো সুর । জিটিএ নির্বাচনের বিরুদ্ধে বুধবার সকাল 11টা থেকে অনশনে বসতে চলেছেন মোর্চা সুপ্রিমো বিমল গুরুং (Bimal Gurung will sat on hunger strike against GTA Election) । আর তাঁর ওই সিদ্ধান্তের পরেই পাহাড়ের রাজনীতিতে নয়া বিতর্ক ও জল্পনার সৃষ্টি হয়েছে । মঙ্গলবার জিটিএ নির্বাচনের জন্য সর্বদলীয় বৈঠক করেন জিটিএ নির্বাচনের দায়িত্বে থাকা বিশেষ পর্যবেক্ষক তথা জলপাইগুড়ি ডিভিশনাল কমিশনার অজিত রঞ্জন বর্ধন । সর্বদলীয় বৈঠকের পর সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে তিনি স্পষ্ট জানিয়ে দেন 26 শে জুন হতে চলেছে জিটিএ নির্বাচন ।
এদিনের সর্বদলীয় বৈঠকের অংশগ্রহণ করেছিল গোর্খা জনমুক্তি মোর্চার প্রতিনিধিরা । সর্বদলীয় বৈঠক থেকে বেরিয়েই তড়িঘড়ি জিটিএ নির্বাচন নিয়ে দার্জিলিংয়ের সিংমারিতে অবস্থিত দলীয় কার্যালয়ে বৈঠকে বসেন গোর্খা জনমুক্তি মোর্চার কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্যরা । সেখানেই রিলে অনশন করছে গোর্খা জনমুক্তি মোর্চার যুব শাখার সদস্যরা । বৈঠকের পর সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে বিমল গুরুং সাফ জানিয়ে দেন, বুধবার থেকে জিটিএ নির্বাচনের বিরোধিতা করে অনশনে বসতে চলেছেন তিনি । এদিন কেন্দ্রীয় কমিটির বৈঠকে তাঁর অনশনে বসার বিষয়টি সিদ্ধান্ত নেওয়া হয় ।
আরও পড়ুন : 11 বছর পর, 26 জুন জিটিএ নির্বাচন
এদিন সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে বিমল গুরুং বলেন, "জিটিএ নির্বাচনের বিরোধিতা এবং পাহাড় তরাই ডুয়ার্সের 396টি মৌজাকে জিটিএর অন্তর্ভুক্ত করা আমাদের প্রথম দাবি ছিল । পাশাপাশি এগারোটি গোর্খা জনজাতিকে তপশিলি উপজাতির স্বীকৃতি দেওয়া, রাজ্য সরকারের বিভিন্ন দফতরগুলি জিটিএ'কে হস্তান্তর করা-সহ জিটিএ চুক্তিতে উল্লেখ থাকা সমস্ত দাবি আগে মানতে হবে ।" প্রসঙ্গত, বিজেপি এবং তাদের জোটসঙ্গী জিএনএলএফ, সিপিআরএম-সহ বেশ কয়েকটি রাজনৈতিক দল জিটিএ নির্বাচনে অংশগ্রহণ করবে না বলে স্পষ্ট জানিয়ে দিয়েছে । শুধু তাই নয়, রাজ্য সরকার যাতে জোর করে জিটিএ নির্বাচন না করতে পারে সে জন্য আইনি লড়াইয়ের কথাও সাফ জানিয়ে দিয়েছেন দার্জিলিংয়ের সাংসদ রাজু বিস্তা । কিন্তু রাজ্যের শাসক দল তৃণমূল কংগ্রেসের জোট সঙ্গী হয়েও রাজ্যের এই ভোট সিদ্ধান্তের বিরোধিতায় সম্মুখ সমরে নেমে ফের একবার পাহাড়বাসীর মন জয় করার চেষ্টা করছেন বিমল গুরুং বলে মনে করছে রাজনৈতিক মহলের একাংশ ।