শিলিগুড়ি, 18 এপ্রিল : ফের শিলিগুড়িতে শাসকদলের অন্দরে গোষ্ঠীকোন্দল (Inner clash of TMC in Siliguri)। দলীয় কর্মীর হাতে আক্রান্ত কাউন্সিলর । 39 নম্বর ওয়ার্ডের পর এবার 47 নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলরকে মারধরের অভিযোগ উঠেছে ওয়ার্ডেরই সক্রিয় দলীয় কর্মীর বিরুদ্ধে (Councillor beaten by TMC party worker)।
47 নম্বর ওয়ার্ডের তৃণমূল কংগ্রেসের কাউন্সিলর অমর আনন্দ দাসকে কাউন্সিলর কার্যালয়ে ঢুকে মারধর করা ও খুনের হুমকি দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে ওই ওয়ার্ডেরই তৃণমূল কংগ্রেসের কর্মী রানা দে সরকারের বিরুদ্ধে । মারধর করা হয়েছে কাউন্সিলরের কার্যালয়ে কর্মরত এক মহিলা কর্মীকেও । স্থানীয় ও পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, এদিন সকালে ওয়ার্ডে নিকাশি নালা পরিষ্কারের কাজ চলছিল । নালার আবর্জনা রাস্তার পাশে রাখা হয়েছিল শুকানোর জন্য । যাতে পরে ওই আবর্জনা তুলে নিয়ে যাওয়া যায় ।
অভিযোগ, ওই আবর্জনা তোলা নিয়েই কাউন্সিলরের কার্যালয়ে যান রানা দে সরকার । কার্যালয়ে গিয়ে কাউন্সিলর অমর আনন্দ দাসকে অবিলম্বে ওই আবর্জনা পরিষ্কারের জন্য বলেন । কিন্তু কাউন্সিলর ওয়ার্ড মাস্টার ও ওয়ার্ড সুপারভাইজারকে বিষয়টি জানাবেন বলে আশ্বাস দেন । কিন্তু রানা দে সরকার তা মানতে রাজি হননি এবং কাউন্সিলরকেই অবিলম্বে ওই আবর্জনা পরিস্কারের জন্য বলেন বলে অভিযোগ ।
এরপরই বচসায় জড়ান কাউন্সিলর ও ওই কর্মী। বচসা শুনে ছুটে আসেন কার্যালয়ের কর্মীরা । অভিযোগ, আচমকা সেই সময় কাউন্সিলর অমর আনন্দ দাস ও তাঁর এক কর্মীকে মারধর করেন রানা দে সরকার । এমনকি প্রাণে মারার হুমকি দেন । এরপরই স্থানীয়রা প্রধাননগর থানায় বিক্ষোভ দেখায়।
অমর আনন্দ দাস বলেন, "এসব সুবিধাবাদি লোক । দলের কেউ না । আমাকে আর আমার কার্যালয়ের এক মহিলা কর্মীকে মারা হয়েছে । পুলিশের পাশাপাশি দলীয় নেতৃত্বকে বিষয়টি জানিয়েছি । " দার্জিলিং জেলা তৃণমূল কংগ্রেসের চেয়ারম্যান অলোক চক্রবর্তী বলেন, "যারা এই ঘটনা ঘটিয়েছে, তা খতিয়ে দেখা হবে । দলের হোক বা দলের বাইরের হোক, আইন হাতে তুলে নেওয়া উচিত নয় ।"
অভিযুক্তকে আটক করেছে শিলিগুড়ি পুলিশ কমিশনারেটের প্রধাননগর থানার পুলিশ । যদিও অভিযুক্ত শাসকদলের সঙ্গে জড়িত নয় বলে দাবি করেছেন কাউন্সিলর অমর আনন্দ দাস । অভিযুক্তকে ভোটের সময় তৃণমূলের হয়ে প্রচার করতে দেখা গিয়েছে বলে স্থানীয়দের দাবি ।