ETV Bharat / state

প্রচারেই আসেননি কেউ, কাঁটাতারের ওপারের গ্রামগুলিতে শুধুই হাহাকার

ভোট এলেই তাঁদের মনে আশা জাগে। এবারের ভোটে হয়ত জয়ী সাংসদ তাঁদের সমস্যা দূর করবেন। কিন্তু ভোটের আর কয়েকদিন বাকি থাকলেও এখনও পর্যন্ত কোনও প্রার্থী এই গ্রামগুলিতে প্রচারে এলেন না।

গ্রামগুলিতে নেই কোনও ভোটের প্রচার
author img

By

Published : Apr 13, 2019, 8:44 PM IST

Updated : Apr 13, 2019, 11:38 PM IST

হিলি, 13 এপ্রিল : হাতে আর মাত্র কয়েকদিন। তারপরেই লোকসভা নির্বাচন। বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের প্রার্থীরা দিনরাত প্রচারে ব্যস্ত। বেশি প্রচার করে একে অপরকে টেক্কা দিচ্ছেন প্রার্থীরা। দলীয় প্রার্থীর সমর্থনে হেভিওয়েট নেতা-মন্ত্রীরা প্রচারে আসছেন। জেলাজুড়ে রাজনীতির পারদ চরমে। এই পরিস্থিতিতে কাঁটাতারের ওপারের ভারতীয় ভূখণ্ডের গ্রামগুলিতে একেবারে ভিন্ন ছবি। এই গ্রামগুলিতে নেই কোনও ভোটের উত্তেজনা। প্রচারও তেমন নেই বললেই চলে। কাঁটাতারের ওপারের ভারতীয় ভূখণ্ডের 11টি গ্রাম। সেখানে এখনও পর্যন্ত কোনও দলের প্রার্থী পা রাখেননি।

ভিডিয়োয় শুনুন বক্তব্য

দক্ষিণ দিনাজপুর জেলার মধ্যে রয়েছে 252 কিলোমিটার ভারত-বাংলাদেশ সীমান্ত। এই সীমান্তের মধ্যে এখনও প্রায় 32 কিলোমিটার এলাকায় কোনও কাঁটাতার নেই। কোথাও বাঁশের বাতা আবার কোথাও সম্পূর্ণ উন্মুক্ত রয়েছে সীমান্ত। বাকি সীমান্ত ঘেরা আছে কাঁটাতারে। এদিকে, হিলি থানার মধ্যে কাঁটাতারের ওপারে হাড়িপুকুর, উজাল, উচা গোবিন্দপুর, শ্রীকৃষ্ণপুরসহ মোট 11টি ভারতীয় গ্রাম রয়েছে। এই গ্রামগুলিতে 10 হাজারের বেশি ভোটার আছে। 11টি গ্রামের একটি মাত্র বুথ শ্রীকৃষ্ণপুর। কাঁটাতারের ওপারে থাকায় এই গ্রামের বাসিন্দাদের নানা সমস্যা রয়েছে। কারণ আন্তর্জাতিক আইনি জটিলতা থাকায় প্রশাসন সব ক্ষেত্রে সমস্যা পূরণ করতে পারে না। ভোট এলেই তাঁদের মনে আশা জাগে। এবারের ভোটে হয়তো জয়ী সাংসদ তাঁদের সমস্যা দূর করবেন। কিন্তু ভোটের আর কয়েকদিন বাকি থাকলেও এখনও পর্যন্ত কোনও প্রার্থী এই গ্রামগুলিতে প্রচারে আসেননি। কর্মী-সমর্থকরা এলাকায় অল্প প্রচার করছেন। গ্রামে দু-একটা দেওয়াল লেখা হয়েছে। পড়েছে হাতে গোনা কয়েকটা ফ্লেক্স। তাঁদের খোঁজ নিতে প্রার্থীরা কখন আসেন সে দিকেই তাকিয়ে রয়েছেন গ্রামবাসীরা।

insert
এর মাধ্যমেই আলাদা করা হয় ভারত ও বাংলাদেশ

এবিষয়ে গ্রামবাসী রবিউল ইসলাম ও নির্মল কুমার সিংহ জানান, কয়েকজন কর্মী-সমর্থক প্রচার চালালেও দেখা নেই প্রার্থীর। প্রার্থীরা এলে তাঁরা নিজেদের সমস্যার কথা বলতে পারবেন। এলাকায় রাস্তা ও জলের সমস্যা রয়েছে। বিদ্যুতের সমস্যা ছিল তা কয়েক বছর আগে সমাধান হয়েছে। প্রার্থীরা না আসায় দেওয়াল লিখন বা ফ্লেক্স সেভাবে পড়েনি।

insert12
কিছু দেওয়াল লিখন হলেও নেই ভোটের চিহ্ন

অন্যদিকে বাম, BJP ও তৃণমূল কংগ্রেস প্রার্থীরা জানিয়েছেন, তাঁরা হাড়িপুকুরসহ কাঁটাতারের ওপারের ভারতীয় ভূখণ্ডের গ্রামগুলিতে প্রচারে যাবেন। শুনবেন গ্রামবাসীদের কথা।

হিলি, 13 এপ্রিল : হাতে আর মাত্র কয়েকদিন। তারপরেই লোকসভা নির্বাচন। বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের প্রার্থীরা দিনরাত প্রচারে ব্যস্ত। বেশি প্রচার করে একে অপরকে টেক্কা দিচ্ছেন প্রার্থীরা। দলীয় প্রার্থীর সমর্থনে হেভিওয়েট নেতা-মন্ত্রীরা প্রচারে আসছেন। জেলাজুড়ে রাজনীতির পারদ চরমে। এই পরিস্থিতিতে কাঁটাতারের ওপারের ভারতীয় ভূখণ্ডের গ্রামগুলিতে একেবারে ভিন্ন ছবি। এই গ্রামগুলিতে নেই কোনও ভোটের উত্তেজনা। প্রচারও তেমন নেই বললেই চলে। কাঁটাতারের ওপারের ভারতীয় ভূখণ্ডের 11টি গ্রাম। সেখানে এখনও পর্যন্ত কোনও দলের প্রার্থী পা রাখেননি।

ভিডিয়োয় শুনুন বক্তব্য

দক্ষিণ দিনাজপুর জেলার মধ্যে রয়েছে 252 কিলোমিটার ভারত-বাংলাদেশ সীমান্ত। এই সীমান্তের মধ্যে এখনও প্রায় 32 কিলোমিটার এলাকায় কোনও কাঁটাতার নেই। কোথাও বাঁশের বাতা আবার কোথাও সম্পূর্ণ উন্মুক্ত রয়েছে সীমান্ত। বাকি সীমান্ত ঘেরা আছে কাঁটাতারে। এদিকে, হিলি থানার মধ্যে কাঁটাতারের ওপারে হাড়িপুকুর, উজাল, উচা গোবিন্দপুর, শ্রীকৃষ্ণপুরসহ মোট 11টি ভারতীয় গ্রাম রয়েছে। এই গ্রামগুলিতে 10 হাজারের বেশি ভোটার আছে। 11টি গ্রামের একটি মাত্র বুথ শ্রীকৃষ্ণপুর। কাঁটাতারের ওপারে থাকায় এই গ্রামের বাসিন্দাদের নানা সমস্যা রয়েছে। কারণ আন্তর্জাতিক আইনি জটিলতা থাকায় প্রশাসন সব ক্ষেত্রে সমস্যা পূরণ করতে পারে না। ভোট এলেই তাঁদের মনে আশা জাগে। এবারের ভোটে হয়তো জয়ী সাংসদ তাঁদের সমস্যা দূর করবেন। কিন্তু ভোটের আর কয়েকদিন বাকি থাকলেও এখনও পর্যন্ত কোনও প্রার্থী এই গ্রামগুলিতে প্রচারে আসেননি। কর্মী-সমর্থকরা এলাকায় অল্প প্রচার করছেন। গ্রামে দু-একটা দেওয়াল লেখা হয়েছে। পড়েছে হাতে গোনা কয়েকটা ফ্লেক্স। তাঁদের খোঁজ নিতে প্রার্থীরা কখন আসেন সে দিকেই তাকিয়ে রয়েছেন গ্রামবাসীরা।

insert
এর মাধ্যমেই আলাদা করা হয় ভারত ও বাংলাদেশ

এবিষয়ে গ্রামবাসী রবিউল ইসলাম ও নির্মল কুমার সিংহ জানান, কয়েকজন কর্মী-সমর্থক প্রচার চালালেও দেখা নেই প্রার্থীর। প্রার্থীরা এলে তাঁরা নিজেদের সমস্যার কথা বলতে পারবেন। এলাকায় রাস্তা ও জলের সমস্যা রয়েছে। বিদ্যুতের সমস্যা ছিল তা কয়েক বছর আগে সমাধান হয়েছে। প্রার্থীরা না আসায় দেওয়াল লিখন বা ফ্লেক্স সেভাবে পড়েনি।

insert12
কিছু দেওয়াল লিখন হলেও নেই ভোটের চিহ্ন

অন্যদিকে বাম, BJP ও তৃণমূল কংগ্রেস প্রার্থীরা জানিয়েছেন, তাঁরা হাড়িপুকুরসহ কাঁটাতারের ওপারের ভারতীয় ভূখণ্ডের গ্রামগুলিতে প্রচারে যাবেন। শুনবেন গ্রামবাসীদের কথা।

Intro:ভয় ভীতি দূর করতে কেন্দ্রীয় বাহিনীর রুট, স্পটেই অভিযোগ জানাতে পারবেন সাধারণ মানুষ।।

বালুরঘাট, ১৩ এপ্রিল: আগামী ২৩ এপ্রিল তৃতীয় দফায় ভোট হবে বালুরঘাট কেন্দ্রে। প্রথম দফার ভোট পর্ব মিটতেই জেলায় আসতে শুরু করেছে কেন্দ্রীয় বাহিনী। শুক্রবার গভীর রাতে দক্ষিণ দিনাজপুরে এক কোম্পানি কেন্দ্রীয় বাহিনী এসেছে। জেলায় প্রবেশের পরই এদিন জেলার আটটি থানা এলাকায় রুট মার্চ করে কেন্দ্রীয় বাহিনীর জওয়ানরা। এছাড়াও জেলার দুটি জায়গায় কেন্দ্রীয় বাহিনীর জওয়ানরা নাকা চেকিং করছে। এদিন হরিরামপুর, কুশমণ্ডি, গঙ্গারামপুর, হিলি, কুমারগঞ্জ, তপন, বংশীহারী ও বালুরঘাট সর্বত্র রুট মার্চ করে কেন্দ্রীয় বাহিনীর জওয়ানরা।

আসন্ন লোকসভা নির্বাচনকে সুষ্ঠু ভাবে করতে তৎপর জেলা নির্বাচন কমিশন। ভোটারদের প্রভাবিত বা ভয় দেখাতে যাতে না পারে জন্য জেলা পুলিশ ও প্রশাসনিক আধিকারিকরা এক যোগে বেরিয়ে সাধারণ মানুষদের আশ্বস্ত করছিলেন। জেলার বিভিন্ন এলাকায় গিয়ে সাধারণ মানুষ ভোটারদের দিয়ে কথা বলছেন আধিকারিকরা। কোথাও কোন রাজনৈতিক দলের পক্ষ থেকে ভোটারদের প্রভাবিত করা হচ্ছে কিনা তাও খতিয়ে দেখেন তারা। গতকাল গভীর রাতে কেন্দ্রীয় বাহিনী প্রবেশের পরই আজ জেলা জুড়ে রুট মার্চ করে জওয়ানরা। আপাতত এক কোম্পানি কেন্দ্রীয় বাহিনী আসায় একটি থানায় দিনে চার ঘন্টা করে রুট মার্চ করছে। সকালে চারটি থানা ও বিকেলে চারটি থানার বিভিন্ন এলাকায় রুট মার্চ করছে। পাশাপাশি দুটি কেন্দ্রীয় বাহিনীর টিম জেলার বিভিন্ন জায়গায় নাকা চেকিং করছে। মূলত সাধারণ মানুষের মধ্য থেকে ভয় ভীতি দূর করে আত্মবিশ্বাস ফেরাতেই মূলত রুট মার্চ।

এবিষয়ে জেলা পুলিশ সুপার নগেন্দ্রনাথ ত্রিপাঠি জানান, গতকাল মধ্য রাতে এক কোম্পানি কেন্দ্রীয় বাহিনী এসেছে। আজ থেকে সকালে চারটে ও বিকেলে চারটে থানার বিভিন্ন এলাকায় রুট মার্চ করছে। মূলত সাধারণ মানুষদের মধ্যে আত্মবিশাস বাড়ানো ও ভয় ভীতি দূর করতেই কেন্দ্রীয় বাহিনীর রুট মার্চ। রুট মার্চের পাশাপাশি জেলার বিভিন্ন এলাকায় নাকা চেকিং করছে। পাশাপাশি সাধারণ মানুষের কোন অভিযোগ থাকলে রুট মার্চ চলাকালীন করতে পারবেন বলেও পুলিশ সুপার জানিয়েছেন।     


Body:Balurghat


Conclusion:Balurghat
Last Updated : Apr 13, 2019, 11:38 PM IST
ETV Bharat Logo

Copyright © 2024 Ushodaya Enterprises Pvt. Ltd., All Rights Reserved.