হরিরামপুর, 15 ডিসেম্বর : নাগরিকত্ব (সংশোধনী) আইন ও জাতীয় নাগরিকপঞ্জির প্রতিবাদে উত্তপ্ত দক্ষিণ দিনাজপুরের হরিরামপুর । হরিরামপুরে BJP-র দলীয় কার্যালয়ে ভাঙচুর চালায় বিক্ষোভকারীরা । পরে কার্যালয়ের দরজা খুলে এনে তাতে আগুন ধরিয়ে দেয় । পাশপাশি BJP-র দলীয় পতাকা ও ফেস্টুনেও আগুন লাগিয়ে দেয় তারা । লাঠি হাতে এলাকার সব দোকানপাট বন্ধ করার হুমকি চলে । ঘটনাস্থানে পৌঁছায় হরিরামপুর থানার পুলিশ ।
CAA-র প্রতিবাদে রাজ্যের বিভিন্ন জায়গায় বিক্ষোভ চলছে । ট্রেন ও রাস্তা অবরোধ করে বিক্ষোভ দেখাচ্ছে বিক্ষোভকারীরা । আগুন লাগিয়ে দেওয়া হচ্ছে ট্রেন, সরকারি বাসে । এদিকে, NRC-র প্রতিবাদে রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় প্রত্যেক ব্লকে ব্লকে প্রতিবাদ মিছিল করার নির্দেশ দিয়েছেন । সেই নির্দেশ মোতাবেক আজ বিকেলে দক্ষিণ দিনাজপুর জেলার আটটি ব্লকেই প্রতিবাদ মিছিল বের হয় । অভিযোগ, হরিরামপুরে তৃণমূলের মিছিল থেকে BJP-র দলীয় কার্যালয় ভাঙচুর করা হয় । এমন কী BJP কার্যালয়ের দরজা খুলে এনে আগুন জ্বালিয়ে দেওয়া হয় । ভাঙচুর চালানো হয় যুব মোর্চার নেতা বিধান রায়ের বাড়িতে । হরিরামপুর বাজার এলাকায় থাকা BJP-র বিভিন্ন ফেস্টুন, পতাকা খুলে ফেলে তাতে আগুন লাগিয়ে দেয় তারা । ঘটনায় পরিস্থিতি উত্তেজনা বাড়তে থাকে হরিরামপুরে। খবর পেয়ে ঘটনাস্থানে পুলিশ বাহিনী নিয়ে পৌঁছেছে হরিরামপুর থানার IC সঞ্জয় বিশ্বাস ।
এবিষয়ে বালুরঘাটের BJP সাংসদ সুকান্ত মজুমদার বলেন, জায়গায় জায়গায় তৃণমূলের জেহাদি বাহিনী তাণ্ডব চালাচ্ছে । আজ হরিরামপুরেও তাণ্ডব চালিয়েছে । দলীয় কার্যালয়, বাড়ি ভাঙচুরের সঙ্গে আগুন লাগিয়ে দেওয়া হয় । তাঁদের এক BJP কর্মীকে মেরে ফেলা হবে বলে পরিবারকে হুমকিও দেওয়া হয়েছে । পুলিশ এই ব্যাপারে সক্রিয় ভূমিকা না নিলে তাঁরা নিজেদের মতো করে প্রতিবাদ সংগঠিত করবে বলে হুঁশিয়ারি দিয়েছেন তিনি ।
অন্য দিকে এবিষয়ে জেলা তৃণমূল সভাপতি অর্পিতা ঘোষ বলেন, "এই ঘটনার সঙ্গে তৃণমূলের কোনও যোগ নেই । BJP এমন অভিযোগ করতেই পারে । তাই বলে তৃণমূল করেছে এমটা বলার কিছু নেই । তৃণমূলের অনেক কাজ থাকে । BJP-র পার্টি অফিস ভাঙচুর বা কাগজপত্র ছেঁড়াছেঁড়িতে তৃণমূল থাকে না । ওটা নিজেদের গোষ্ঠী কোন্দল ৷ চাপা দিতেই আমাদের নামে বদনাম করা হচ্ছে ।"