ETV Bharat / state

জয়প্রকাশের গোপন ডেরা থেকে উদ্ধার এক কেজি সোনা, ওয়াকি টকি, মার্সিডিজ়

author img

By

Published : Jun 4, 2020, 1:44 PM IST

জয়প্রকাশকে জেরা করে তার গোপন ডেরার হদিস পেল বালুরঘাট পুলিশ । গোপন ডেরা থেকে উদ্ধার সোনা, গাড়ি, সোয়াব মেশিন ইত্যাদি ।

balurghat
balurghat

বালুরঘাট, 4 জুন : পতিরাম এলাকার জয়প্রকাশ সরকারের মন্দিরের ট্রাস্টের গোপন ডেরায় তল্লাশি চালিয়ে এক কেজিরও বেশি সোনা বাজেয়াপ্ত করল পুলিশ । পাশাপাশি ব্যাঙ্কের চেক, পাস বই, ওয়াকি টকি, সোয়াব মেশিন, মার্সিডিস গাড়ি এবং এক লাখ নগদ টাকাসহ একাধিক গুরুত্বপূর্ণ নথি বাজেয়াপ্ত করে পুলিশ । ঋণের টাকা দেওয়ার নামে অপহরণ করার অভিযোগে গ্রেপ্তার হয়েছিল জয়প্রকাশ । নতুন করে জয়প্রকাশের বিরুদ্ধে দুটি মামলা দায়ের হয়েছে । একটি ধর্ষণ ও একটি অপহরণের । গত বিকেলে সাংবাদিক বৈঠকে এই বিষয় জানালেন দক্ষিণ দিনাজপুর জেলা পুলিশ সুপার দেবর্ষি দত্ত ।

সাংবাদিক বৈঠকে পুলিশ সুপার ছাড়াও হাজির ছিলেন অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মহঃ নাসিব, DSP হেড কোয়ার্টার ধীমান মিত্র এবং বালুরঘাট থানার IC জয়ন্ত রায় । ঘটনায় তদন্ত শুরু হয়েছে । সম্পূর্ণ ঘটনা খতিয়ে দেখা হচ্ছে বলে জানিয়েছেন পুলিশ সুপার ।

পতিরাম এলাকার বাসিন্দা জয়প্রকাশ । 125 কোটি টাকা ধার দেবে বলে বিহারের এক মদ ব্যবসায়ীকে ডাকে । ওই রাতে বিহার থেকে মদ কম্পানির মালিকসহ চারজন এবং দিল্লি ও কলকাতা থেকে দু'জন মধ্যস্থতাকারী(দালাল) পতিরামে আসেন । স্থানীয় একটি আবাসনে তাঁদের রাখা হয় । বিহারের মদ ব্যবসায়ীকে 125 কোটি টাকা ঋণ দেওয়ার কথা ছিল জয়প্রকাশ সরকারের । ঋণ দেওয়ার বিষয়ে আলোচনাও শুরু হয় । কিছুক্ষণ পরেই ওই মদ ব্যবসায়ী আবাসনের বাইরে যেতে বাকি তিনজনকে বেধড়ক মারধর করার অভিযোগ ওঠে জয়প্রকাশসহ তার তিন সঙ্গীর বিরুদ্ধে । এদিকে বিষয়টি জানতে পেরে ওই মদ ব্যবসায়ী খবর দেন বালুরঘাট থানায় । সোমবার বালুরঘাট থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন । সোমবার রাতেই মূল অভিযুক্ত জয়প্রকাশ সরকার সহ বাকি তিনজনকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ । অপহরণের অভিযোগে মূল অভিযুক্ত জয়প্রকাশ সরকার, কলকাতা নিবাসী মনিশ পাণ্ডে, দিল্লির রবীন্দ্র সিং বেদি এবং স্থানীয় হাতুড়ে চিকিৎসক বিকাশ সরকারকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ । এদের মূল পাণ্ডা জয়প্রকাশ সরকার । যে নিজের সাংবাদিক পরিচয় দিয়ে লোকের কাছ থেকে টাকা তোলে বলেও অভিযোগ ।

মঙ্গলবার ধৃতদের বালুরঘাট জেলা আদালতে তোলা হয় । সাত দিনের পুলিশ হেপাজতের নির্দেশ দেন বিচারক । এরপর অভিযুক্তদের জিজ্ঞাসাবাদের পর আজ জয়প্রকাশের ডেরায় হানা দিয়ে গোপন জায়গা থেকে এক কেজির বেশি সোনা বাজেয়াপ্ত হয় । এছাড়াও ব্যাঙ্কের বিভিন্ন নথিপত্র উদ্ধার করে পুলিশ । এইদিকে মূল অভিযুক্ত জয়প্রকাশের বিরুদ্ধে অফিসের এক মহিলা কর্মী ধর্ষণের অভিযোগ দায়ের করেন । পাশাপাশি ঝাড়খণ্ডের আরও এক ব্যবসায়ী প্রতারণার অভিযোগ দায়ের করেন । পুরো ঘটনা খতিয়ে দেখছে বালুরঘাট থানার পুলিশ ।

এই বিষয়ে জেলা পুলিশ সুপার দেবর্ষি দত্ত জানান, ভিন রাজ্য থেকে আসা চারজনকে আটকে রেখে মুক্তিপণ চাওয়ার দাবি জানানোর ঘটনায় চার অভিযুক্তকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে । এদের মধ্যে মূল অভিযুক্ত জয়প্রকাশ সরকার । আজ পুলিশ মূল অভিযুক্তের ডেরায় হানা দিয়ে এক কেজির বেশি সোনা, ব্যাঙ্কে চেক , পাস বই, ওয়াকি টকি, সোয়াব মেশিন, মার্সিডিস গাড়ি, এক লাখ টাকা সহ অন্যান্য নথি উদ্ধার করেছে । এছাড়াও নতুন করে দুটি মামলা দায়ের হয়েছে মূল অভিযুক্ত জয়প্রকাশের বিরুদ্ধে । একটি ধর্ষণ আর একটি অপহরণ ও প্রত্যারণার । পুরো ঘটনা খতিয়ে দেখা হচ্ছে । বিগত দিনেও অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে কোনও অভিযোগ রয়েছে কি না তাও দেখা হচ্ছে ।

বালুরঘাট, 4 জুন : পতিরাম এলাকার জয়প্রকাশ সরকারের মন্দিরের ট্রাস্টের গোপন ডেরায় তল্লাশি চালিয়ে এক কেজিরও বেশি সোনা বাজেয়াপ্ত করল পুলিশ । পাশাপাশি ব্যাঙ্কের চেক, পাস বই, ওয়াকি টকি, সোয়াব মেশিন, মার্সিডিস গাড়ি এবং এক লাখ নগদ টাকাসহ একাধিক গুরুত্বপূর্ণ নথি বাজেয়াপ্ত করে পুলিশ । ঋণের টাকা দেওয়ার নামে অপহরণ করার অভিযোগে গ্রেপ্তার হয়েছিল জয়প্রকাশ । নতুন করে জয়প্রকাশের বিরুদ্ধে দুটি মামলা দায়ের হয়েছে । একটি ধর্ষণ ও একটি অপহরণের । গত বিকেলে সাংবাদিক বৈঠকে এই বিষয় জানালেন দক্ষিণ দিনাজপুর জেলা পুলিশ সুপার দেবর্ষি দত্ত ।

সাংবাদিক বৈঠকে পুলিশ সুপার ছাড়াও হাজির ছিলেন অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মহঃ নাসিব, DSP হেড কোয়ার্টার ধীমান মিত্র এবং বালুরঘাট থানার IC জয়ন্ত রায় । ঘটনায় তদন্ত শুরু হয়েছে । সম্পূর্ণ ঘটনা খতিয়ে দেখা হচ্ছে বলে জানিয়েছেন পুলিশ সুপার ।

পতিরাম এলাকার বাসিন্দা জয়প্রকাশ । 125 কোটি টাকা ধার দেবে বলে বিহারের এক মদ ব্যবসায়ীকে ডাকে । ওই রাতে বিহার থেকে মদ কম্পানির মালিকসহ চারজন এবং দিল্লি ও কলকাতা থেকে দু'জন মধ্যস্থতাকারী(দালাল) পতিরামে আসেন । স্থানীয় একটি আবাসনে তাঁদের রাখা হয় । বিহারের মদ ব্যবসায়ীকে 125 কোটি টাকা ঋণ দেওয়ার কথা ছিল জয়প্রকাশ সরকারের । ঋণ দেওয়ার বিষয়ে আলোচনাও শুরু হয় । কিছুক্ষণ পরেই ওই মদ ব্যবসায়ী আবাসনের বাইরে যেতে বাকি তিনজনকে বেধড়ক মারধর করার অভিযোগ ওঠে জয়প্রকাশসহ তার তিন সঙ্গীর বিরুদ্ধে । এদিকে বিষয়টি জানতে পেরে ওই মদ ব্যবসায়ী খবর দেন বালুরঘাট থানায় । সোমবার বালুরঘাট থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন । সোমবার রাতেই মূল অভিযুক্ত জয়প্রকাশ সরকার সহ বাকি তিনজনকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ । অপহরণের অভিযোগে মূল অভিযুক্ত জয়প্রকাশ সরকার, কলকাতা নিবাসী মনিশ পাণ্ডে, দিল্লির রবীন্দ্র সিং বেদি এবং স্থানীয় হাতুড়ে চিকিৎসক বিকাশ সরকারকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ । এদের মূল পাণ্ডা জয়প্রকাশ সরকার । যে নিজের সাংবাদিক পরিচয় দিয়ে লোকের কাছ থেকে টাকা তোলে বলেও অভিযোগ ।

মঙ্গলবার ধৃতদের বালুরঘাট জেলা আদালতে তোলা হয় । সাত দিনের পুলিশ হেপাজতের নির্দেশ দেন বিচারক । এরপর অভিযুক্তদের জিজ্ঞাসাবাদের পর আজ জয়প্রকাশের ডেরায় হানা দিয়ে গোপন জায়গা থেকে এক কেজির বেশি সোনা বাজেয়াপ্ত হয় । এছাড়াও ব্যাঙ্কের বিভিন্ন নথিপত্র উদ্ধার করে পুলিশ । এইদিকে মূল অভিযুক্ত জয়প্রকাশের বিরুদ্ধে অফিসের এক মহিলা কর্মী ধর্ষণের অভিযোগ দায়ের করেন । পাশাপাশি ঝাড়খণ্ডের আরও এক ব্যবসায়ী প্রতারণার অভিযোগ দায়ের করেন । পুরো ঘটনা খতিয়ে দেখছে বালুরঘাট থানার পুলিশ ।

এই বিষয়ে জেলা পুলিশ সুপার দেবর্ষি দত্ত জানান, ভিন রাজ্য থেকে আসা চারজনকে আটকে রেখে মুক্তিপণ চাওয়ার দাবি জানানোর ঘটনায় চার অভিযুক্তকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে । এদের মধ্যে মূল অভিযুক্ত জয়প্রকাশ সরকার । আজ পুলিশ মূল অভিযুক্তের ডেরায় হানা দিয়ে এক কেজির বেশি সোনা, ব্যাঙ্কে চেক , পাস বই, ওয়াকি টকি, সোয়াব মেশিন, মার্সিডিস গাড়ি, এক লাখ টাকা সহ অন্যান্য নথি উদ্ধার করেছে । এছাড়াও নতুন করে দুটি মামলা দায়ের হয়েছে মূল অভিযুক্ত জয়প্রকাশের বিরুদ্ধে । একটি ধর্ষণ আর একটি অপহরণ ও প্রত্যারণার । পুরো ঘটনা খতিয়ে দেখা হচ্ছে । বিগত দিনেও অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে কোনও অভিযোগ রয়েছে কি না তাও দেখা হচ্ছে ।

ETV Bharat Logo

Copyright © 2024 Ushodaya Enterprises Pvt. Ltd., All Rights Reserved.