বংশীহারি, 21 মার্চ : নাক-কান কাটা ৷ গলায় পুরু কালসিটের দাগ ৷ দেহের সর্বত্র আঘাতের ছাপ স্পষ্ট ৷ জায়গায় জায়গায় রক্ত জমাট বেঁধে নীল হয়ে গিয়েছে ৷ বিছানায় পড়ে মহিলার নিথর দেহ ৷ ঘরে ঢুকে শিউরে উঠল পড়শিরা ৷ চমকে ওঠার তখনও কিছুটা বাকি ছিল ৷ পাশের ঘরের দরজা ঠেলে ঢুকতেই মহিলার স্বামীর ঝুলন্ত দেহ ৷ চিল চিৎকারে কেঁদে চলেছে দুটি বাচ্চা ৷ একটার বয়স 10 বছর ৷ অন্যটার 4 ৷
দক্ষিণ দিনাজপুর জেলার বংশীহারি ব্লকের 3 নং এলাহাবাদ গ্রাম পঞ্চায়েতের পাঁচরাই এলাকার ঘটনা ৷ স্থানীয়দের দাবি, নিত্যদিন ঝামেলা লেগেই থাকতো হাফিজুর ও মামুদা খাতুনের ৷ মৃত হাফিজুর রহমান (45) পেশায় চাষী ৷ স্ত্রী মামুদা (35) গৃহবধু ৷ 20 বছর বিয়ে হয়ে গেলেও কোনও সন্তান ছিল না তাদের ৷ মামুদা খাতুনের বোনের দুটি বাচ্চা থকতো তাদের কাছে ৷ হাফিজুর জুয়াখেলায় আসক্ত ছিলেন ৷ আর ঠিক সে-কারণেই নিত্যদিন তাদের মধ্যে ঝামেলা লেগেই থাকতো ৷ অনেকক্ষণ ধরে শিশুর কান্নার আওয়াজ পেয়ে ঘরে ঢুকতেই পড়শিদের নজরে আসে ঘটনাটি ৷ সঙ্গে সঙ্গে পুলিশে খবর দেয় এলকাবাসী ৷ ঘটনাস্থানে আসে বংশীহারি থানার পুলিশ ৷ দেহ দুটি উদ্ধার করে পুলিশ ময়নাতদন্তের জন্য নিয়ে যায় ৷
এই বিষয়ে মৃতের এক আত্মীয় নুর আলম মণ্ডল জানান, "আমার বাড়ি তপন থানা এলাকায় । সকালে আমার কাছে ফোন যায় ৷ জানতে পারি আমার সম্বন্ধী এবং তার বউ মারা গিয়েছে । "
আরও পড়ুন :মামার থাপ্পড়ে ভাগ্নের মৃত্যু
পুলিশ সূত্রে খবর, প্রথমে ব্যক্তিটি তার স্ত্রীকে খুন করে ৷ পরে সে নিজে আত্মঘাতী হয় ৷ ময়নাতদন্তের রিপোর্ট এলেই পুরো বিষয়টি সামনে আসবে ৷