ETV Bharat / state

স্ত্রী'র কাছে আত্মগোপন করেও হল না শেষরক্ষা, গড়িয়ায় লিভ-ইন পার্টনারকে খুনের চেষ্টায় গ্রেফতার মূল অভিযুক্ত

Youth Arrested for Attempted Murder Case of live-in partner: গড়িয়ায় লিভ-ইন পার্টনারকে রাস্তায় ফেলে কোপানোর ভিডিয়ো ভাইরাল হয়েছিল গত মাসে ৷ সেই ঘটনায় আজ ভোরবেলা অভিযুক্ত যুবককে তাঁর বাড়ি থেকেই গ্রেফতার করল নরেন্দ্রপুর থানার পুলিশ ৷

ETV BHARAT
ETV BHARAT
author img

By ETV Bharat Bangla Team

Published : Dec 20, 2023, 5:58 PM IST

নরেন্দ্রপুর, 20 ডিসেম্বর: গড়িয়া স্টেশন এলাকায় লিভ-ইন পার্টনারকে খুনের চেষ্টার ঘটনায় অবশেষে গ্রেফতার অভিযুক্ত যুবক বাবু হালদারকে ৷ 26 দিন গা-ঢাকা দিয়ে থাকার পর অবশেষে নরেন্দ্রপুর থানার পুলিশের নাগালে এল অভিযুক্ত ৷ নরেন্দ্রপুরের দাসপাড়ায় তাঁর বাড়ি থেকেই অভিযুক্ত বাবুকে বুধবার ভোরে গ্রেফতার করে পুলিশ ৷ 16 দিন পর মোবাইল ফোন চালু করতেই পুলিশ তাঁকে ট্র্যাক করে ফেলে ৷ লোকেশন ধরে অভিযুক্তকে তাঁর বাড়ি থেকেই গ্রেফতার করা হয়েছে ৷

পুলিশ সূত্রে খবর, 24 নভেম্বর রাতে লিভ-ইন পার্টনার মিতা গায়েনকে রাস্তায় সবার সামনে কোপানোর পর নরেন্দ্রপুর ও সোনারপুরের বিভিন্ন জায়গায় লুকিয়ে থাকার চেষ্টা করছিল অভিযুক্ত ৷ মোবাইল ফোন বন্ধ থাকায়, বাবুকে ট্র্যাক করা যাচ্ছিল না ৷ কিন্তু, গতকাল রাতে মোবাইল ফোন কিছুক্ষণের জন্য অন করেন তিনি ৷ পুলিশি সার্ভিল্যান্সে তাঁর নম্বর বসানো থাকায়, তৎক্ষণাত সিগন্যাল পেয়ে যান তদন্তকারীরা ৷ এর পর মোবাইল লোকেশন ট্র্যাক করে বাড়ি থেকেই গ্রেফতার করা হয় অভিযুক্তকে ৷

সূত্রের খবর, মিতা গায়েনের উপর হামলা চালানোর পর, স্ত্রীর কাছেই গিয়েছিলেন বাবু ৷ তদন্তকারীরা মনে করছেন, স্ত্রী-র মদতেই আত্মগোপন করেছিলেন বাবু হালদার ৷ প্রয়োজনে বাবুর স্ত্রীকেও জিজ্ঞাসাবাদ করা হবে ৷ যদি, অভিযুক্তকে ইচ্ছাকৃত লুকিয়ে রাখার কোনও প্রমাণ পাওয়া যায়, তাহলে গ্রেফতার করা হতে পারে বাবুর স্ত্রীকেও ৷ উল্লেখ্য, গত 25 নভেম্বর সোশাল মিডিয়ায় একটি ভয়াবহ ভিডিয়ো ভাইরাল হয় ৷ যে ভিডিয়োতে দেখা যায়, যুবতীকে ধারালো কোনও অস্ত্র দিয়ে এক যুবক কোপাচ্ছেন ৷ আর রাস্তায় পড়ে ছটফট করতে থাকা যুবতী পথচলতি লোকজনের কাছে সাহায্যের জন্য আর্তনাদ করছেন ৷

পরবর্তী সময়ে জানা যায়, রাজপুর-সোনারপুর পৌরসভার অস্থায়ী কর্মী ছিলেন বাবু হালদার ৷ কর্মক্ষেত্রে যাতায়াতের পথে গড়িয়ার বাসিন্দা মিতা গায়েনের সঙ্গে পরিচয় হয় বাবুর ৷ বাড়িতে স্ত্রী থাকা সত্ত্বেও মিতার সঙ্গে সম্পর্কে জড়ান তিনি ৷ এর পর দু’জনেই বাড়ি ও সংসার ছেড়ে গড়িয়া স্টেশন সংলগ্ন নতুনপাড়ায় বাড়িভাড়া নিয়ে থাকতে শুরু করেন ৷ সেখানে স্বামী-স্ত্রীর পরিচয় দিয়েছিলেন বাবু এবং মিতা ৷ কিন্তু, কয়েকদিনের মধ্যেই সম্পর্কে তিক্ততা চলে আসে ৷ দু’জনের মধ্যে প্রায় ঝগড়া-অশান্তি হত ৷ তাই মিতা সম্পর্ক থেকে বেরিয়ে আসার কথা জানান ৷ আর তাতেই গত 24 নভেম্বর মিতার উপর ধারালো অস্ত্র নিয়ে হামলা চালায় বাবু হালদার ৷

সেই ঘটনায় প্রতিবেশীদের সাহায্যে কোনও মতে প্রাণে বাঁচেন মিতা ৷ নরেন্দ্রপুর থানার পুলিশ সেদিন তাঁকে উদ্ধার করে প্রথমে সোনারপুর গ্রামীণ ও পরে এমআর বাঙুর হাসপাতালে ভরতি করে ৷ বর্তমানে বিপন্মুক্ত মিতা গায়েন ৷ বাবুকে আজ গ্রেফতারের পর জিজ্ঞাসাবাদ শুরু করেছে পুলিশ ৷ পুরো ঘটনায় এবার পুরোদমে তদন্ত শুরু হয়েছে ৷

আরও পড়ুন:

  1. ভরসন্ধ্যায় রাস্তায় লিভ-ইন পার্টনারকে কোপাচ্ছে যুবক, হাড়হিম করা ঘটনা গড়িয়ায়
  2. দিদা ও নাতিকে খুনের অভিযোগ নাতনি-নাতজামাইয়ের বিরুদ্ধে, সেপটিক ট্যাংকে মিলল জোড়া কঙ্কাল
  3. শখ পূরণে নাজেহাল, প্রেমিকাকে গুলি করে গ্রেফতার তৃণমূল কর্মী !

নরেন্দ্রপুর, 20 ডিসেম্বর: গড়িয়া স্টেশন এলাকায় লিভ-ইন পার্টনারকে খুনের চেষ্টার ঘটনায় অবশেষে গ্রেফতার অভিযুক্ত যুবক বাবু হালদারকে ৷ 26 দিন গা-ঢাকা দিয়ে থাকার পর অবশেষে নরেন্দ্রপুর থানার পুলিশের নাগালে এল অভিযুক্ত ৷ নরেন্দ্রপুরের দাসপাড়ায় তাঁর বাড়ি থেকেই অভিযুক্ত বাবুকে বুধবার ভোরে গ্রেফতার করে পুলিশ ৷ 16 দিন পর মোবাইল ফোন চালু করতেই পুলিশ তাঁকে ট্র্যাক করে ফেলে ৷ লোকেশন ধরে অভিযুক্তকে তাঁর বাড়ি থেকেই গ্রেফতার করা হয়েছে ৷

পুলিশ সূত্রে খবর, 24 নভেম্বর রাতে লিভ-ইন পার্টনার মিতা গায়েনকে রাস্তায় সবার সামনে কোপানোর পর নরেন্দ্রপুর ও সোনারপুরের বিভিন্ন জায়গায় লুকিয়ে থাকার চেষ্টা করছিল অভিযুক্ত ৷ মোবাইল ফোন বন্ধ থাকায়, বাবুকে ট্র্যাক করা যাচ্ছিল না ৷ কিন্তু, গতকাল রাতে মোবাইল ফোন কিছুক্ষণের জন্য অন করেন তিনি ৷ পুলিশি সার্ভিল্যান্সে তাঁর নম্বর বসানো থাকায়, তৎক্ষণাত সিগন্যাল পেয়ে যান তদন্তকারীরা ৷ এর পর মোবাইল লোকেশন ট্র্যাক করে বাড়ি থেকেই গ্রেফতার করা হয় অভিযুক্তকে ৷

সূত্রের খবর, মিতা গায়েনের উপর হামলা চালানোর পর, স্ত্রীর কাছেই গিয়েছিলেন বাবু ৷ তদন্তকারীরা মনে করছেন, স্ত্রী-র মদতেই আত্মগোপন করেছিলেন বাবু হালদার ৷ প্রয়োজনে বাবুর স্ত্রীকেও জিজ্ঞাসাবাদ করা হবে ৷ যদি, অভিযুক্তকে ইচ্ছাকৃত লুকিয়ে রাখার কোনও প্রমাণ পাওয়া যায়, তাহলে গ্রেফতার করা হতে পারে বাবুর স্ত্রীকেও ৷ উল্লেখ্য, গত 25 নভেম্বর সোশাল মিডিয়ায় একটি ভয়াবহ ভিডিয়ো ভাইরাল হয় ৷ যে ভিডিয়োতে দেখা যায়, যুবতীকে ধারালো কোনও অস্ত্র দিয়ে এক যুবক কোপাচ্ছেন ৷ আর রাস্তায় পড়ে ছটফট করতে থাকা যুবতী পথচলতি লোকজনের কাছে সাহায্যের জন্য আর্তনাদ করছেন ৷

পরবর্তী সময়ে জানা যায়, রাজপুর-সোনারপুর পৌরসভার অস্থায়ী কর্মী ছিলেন বাবু হালদার ৷ কর্মক্ষেত্রে যাতায়াতের পথে গড়িয়ার বাসিন্দা মিতা গায়েনের সঙ্গে পরিচয় হয় বাবুর ৷ বাড়িতে স্ত্রী থাকা সত্ত্বেও মিতার সঙ্গে সম্পর্কে জড়ান তিনি ৷ এর পর দু’জনেই বাড়ি ও সংসার ছেড়ে গড়িয়া স্টেশন সংলগ্ন নতুনপাড়ায় বাড়িভাড়া নিয়ে থাকতে শুরু করেন ৷ সেখানে স্বামী-স্ত্রীর পরিচয় দিয়েছিলেন বাবু এবং মিতা ৷ কিন্তু, কয়েকদিনের মধ্যেই সম্পর্কে তিক্ততা চলে আসে ৷ দু’জনের মধ্যে প্রায় ঝগড়া-অশান্তি হত ৷ তাই মিতা সম্পর্ক থেকে বেরিয়ে আসার কথা জানান ৷ আর তাতেই গত 24 নভেম্বর মিতার উপর ধারালো অস্ত্র নিয়ে হামলা চালায় বাবু হালদার ৷

সেই ঘটনায় প্রতিবেশীদের সাহায্যে কোনও মতে প্রাণে বাঁচেন মিতা ৷ নরেন্দ্রপুর থানার পুলিশ সেদিন তাঁকে উদ্ধার করে প্রথমে সোনারপুর গ্রামীণ ও পরে এমআর বাঙুর হাসপাতালে ভরতি করে ৷ বর্তমানে বিপন্মুক্ত মিতা গায়েন ৷ বাবুকে আজ গ্রেফতারের পর জিজ্ঞাসাবাদ শুরু করেছে পুলিশ ৷ পুরো ঘটনায় এবার পুরোদমে তদন্ত শুরু হয়েছে ৷

আরও পড়ুন:

  1. ভরসন্ধ্যায় রাস্তায় লিভ-ইন পার্টনারকে কোপাচ্ছে যুবক, হাড়হিম করা ঘটনা গড়িয়ায়
  2. দিদা ও নাতিকে খুনের অভিযোগ নাতনি-নাতজামাইয়ের বিরুদ্ধে, সেপটিক ট্যাংকে মিলল জোড়া কঙ্কাল
  3. শখ পূরণে নাজেহাল, প্রেমিকাকে গুলি করে গ্রেফতার তৃণমূল কর্মী !

For All Latest Updates

ETV Bharat Logo

Copyright © 2024 Ushodaya Enterprises Pvt. Ltd., All Rights Reserved.