ভাঙড়, 7 সেপ্টেম্বর: অভিযোগ আসছিল গত কয়েকদিন ধরেই ৷ এবার দক্ষিণ 24 পরগনার ভাঙড় অঞ্চলে তদন্তে নামলেন বিদ্যুৎ দফতরের আধিকারিকরা ৷ পুরাতন চাকা লাগানো মিটার বদলে নতুন ডিজিট্যাল মিটার লাগানোর ব্যবস্থা করেছে বিদ্যুৎ দফতর । সম্পূর্ণ বিনামূল্যে গ্রাহককে এই নতুন মিটার প্রদান করার কথা বিদ্যুৎ বণ্টন সংস্থার । কেন্দ্রের দীনদয়াল উপাধ্যায় যোজনার মাধ্যমে তার ব্যবস্থা করেছে বিদ্যুৎ বণ্টন সংস্থা । তবে অনেকক্ষেত্রেই স্থানীয় বাসিন্দাদের ভুল বোঝানোর অভিযোগ উঠেছে ৷
অভিযোগ, ঠিকাদার সংস্থার কর্মীরা বিনামূল্যে মিটার প্রদান না করে গ্রাহককে ভয়ভীতি দেখিয়ে বা কারচুপি করার কথা বলে মোটা অঙ্কের টাকা নিচ্ছেন । এই বিষয়ে ভাঙড় বিদ্যুৎ দফতরের বেশ কিছু অভিযোগ জমা পড়েছে। সেই ঘটনার তদন্তে নেমে এদিন বিদ্যুৎ বণ্টন সংস্থার আধিকারিকরা কাশীপুর গ্রামের বিভিন্ন জায়গায় গিয়ে গ্রাহকদের সঙ্গে কথা বলেন । গ্রাহকরা এই বিষয়ে তাঁদের ক্ষোভ উগরে দেন দফতরের আধিকারিকদের কাছে ।
আরও পড়ুন: নামখানার সৈকতে ভেসে এল বিশালাকার তিমির মৃতদেহ
এই বিষয়ে কাশীপুর ভট্টাচার্য পাড়ার বাসিন্দা দেবরাজ ভট্টাচার্য বলেন, "আমাকে ভুল বুঝিয়ে তিনশো টাকা নিয়ে গিয়েছে ঠিকাদার সংস্থার কর্মীরা । যারা মিটার বদলে দিচ্ছে তারা ঠগ, প্রতারক । ওদের কড়া শাস্তির দাবি করছি ।" ক্যান্সার আক্রান্ত আনন্দমোহন ঘোষের থেকেও তিনশো টাকা ভুল বুঝিয়ে নেওয়া হয়েছে বলে অভিযোগ উঠেছে । আনন্দবাবুর স্ত্রী কল্যাণী ঘোষ এদিন বিদ্যুৎ আধিকারিক ঋত্বিক দেবের সামনে বলেন, "আমাদের বাড়িতে একজন ক্যান্সার আক্রান্ত মরণাপন্ন রোগী আছেন। আমি নিজেও বিছানায় শয্যাশায়ী। তারপরেও ছেলেগুলি বলেন তিনশো টাকা না দিলে মিটার পাল্টাবো না । মিটার না পাল্টালে এমন রিপোর্ট করব অফিসে যাতে আপনাদের অসুবিধায় পড়তে হয়।" রাজ্য বিদ্যুৎ বণ্টন সংস্থার অধীন ভাঙড় গ্রাহক পরিষেবা কেন্দ্রের অধীনে 19টি গ্রাম পঞ্চায়েত এলাকাতেই এভাবে কয়েক লক্ষ টাকা বেআইনিভাবে সংগ্রহ করা হয়েছে বলে অভিযোগ এলাকাবাসীর ।