কুলতলি, 24 জুন: মনোনয়নপত্র জমা দেওয়ার পর বিজেপি কর্মী সমর্থকদের বাড়িতে হামলা চালানোর অভিযোগ উঠল তৃণমূল আশ্রিত দুষ্কৃতীদের বিরুদ্ধে। আর তাদের পাশে দাঁড়াতে গিয়ে ফের একবার রাষ্ট্রপতি শাসনের পক্ষে সওয়াল করলেন সুকান্ত মজুমদার ৷ বিজেপি সমর্থকদের পরিবারের পাশে দাঁড়িয়ে বিজেপি রাজ্য সভাপতি সাফ জানান, রাষ্ট্রপতি শাসন ছাড়া রাজ্যে অবাধ ও সুষ্ঠু ভোট হওয়া অসম্ভব ৷
শনিবার দক্ষিণ 24 পরগনার কুলতলি বিধানসভার মেরিগঞ্জ দু'নম্বর গ্রামে পৌঁছন বিজেপি রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার। বিকেলে তিনি গ্রাম পঞ্চায়েতের বিজেপি কর্মী-সমর্থকের পাশাপাশি প্রার্থীদের সঙ্গে দেখা করেন ৷ পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে তিনি কথাও বলেন। একই সঙ্গে, সবরকম সাহায্যর আশ্বাস দেন বিজেপি রাজ্য সভাপতি ৷ বিজেপি প্রার্থীদের দাবি, পঞ্চায়েত নির্বাচনে বিজেপির দলের হয়ে মনোনয়নপত্র জমা দেওয়ার পর থেকেই শাসক দলের কর্মী-সমর্থকরা তাদের বাড়িতে হামলা চালায় ৷ এমনকী বিজেপি সমর্থকদের বাড়িতে লুটপাট চালানো হয় বলেও অভিযোগ করেন তাঁরা ৷
এদিন সেই সব বিজেপির পঞ্চায়েত প্রার্থীদের পাশে দাঁড়াতে গিয়ে সুকান্ত জানান, তাদের প্রার্থীদের আগ্নেয়াস্ত্র দেখিয়ে প্রাণে মারার রোজ হুমকি দিচ্ছে শাসকদলের দুষ্কৃতীরা। এই বিষয় নিয়ে বিজেপির রাজ্য কমিটির কাছে সাহায্যের জন্য দ্বারস্থ হয়েছিলেন বিজেপি প্রার্থীরা। এরপর বিজেপি কর্মী সমর্থক ও প্রার্থীদের বাড়িতে এদিন পৌঁছে যান খোদ বিজেপির রাজ্য সভাপতি। গ্রামবাসীদের সঙ্গে কথা বলেন সুকান্ত। এরপর তিনি বলেন, "নির্বাচন কমিশন বলে কিছু আছে বলে আমার মনে হচ্ছে না। এখন রাজ্যের নির্বাচন কমিশন মনে হচ্ছে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। রাজ্য সরকারের ভাণ্ডার শূন্য তাই কেন্দ্রের পাঠানো টাকায় রেল দুর্ঘটনায় ক্ষতিগ্রস্ত মানুষদের ক্ষতিপূরণ দিচ্ছে। কার্যত পরের ধনে পোদ্দারি করছে ৷" এর সঙ্গেই, রাষ্ট্রপতি শাসনের বিষয়টি আরও একবার উস্কে দিয়েছেন সুকান্ত ৷
আরও পড়ুন: আদ্রায় তৃণমূল নেতা খুনে অপরাধীদের ধরতে 48 ঘণ্টার সময়সীমা বেঁধে দিলেন রাজ্যপাল
বিজেপির দাবি, স্থানীয় পঞ্চায়েতের নেতারা কেন্দ্রের পাঠানো টাকায় বড়লোক হয়ে গিয়েছে ৷ সুকান্তর দাবি, রাজ্যে রাষ্ট্রপতি শাসন জারি হলে তবেই নিরপেক্ষ ভোট হতে পারে। কার্যত পুলিশ প্রশাসন বিজেপি প্রার্থীদের হুমকি দিচ্ছে বলেও অভিযোগ করেন তিনি ৷ বিজেপি রাজ্য সভাপতি বলেন, "এই কাজ করার জন্যই কি রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় রাজ্য পুলিশকে দায়িত্ব দিয়েছেন? সমস্ত বিষয় রাজ্যের নির্বাচন কমিশনকে জানাব ৷ রাজ্যের এই পুলিশ দিয়ে ভোট করাতে রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীর লজ্জা হয় না ?"