কলকাতা, 17 জানুয়ারি: 'দিদির সুরক্ষা কবচ' কর্মসূচিতে 'দিদির দূত' হিসেবে যোগ দিয়ে মঙ্গলবার দুপুরে সিপিএম নেতা সুজন চক্রবর্তীর বাড়িতে যান সোনারপুর দক্ষিণ কেন্দ্রের তৃণমূল বিধায়ক লাভলী মৈত্র ৷ যদিও সে সময় দলীয় কাজে জেলার বাইরে ছিলেন সিপিএম পলিটব্যুরো সদস্য সুজন চক্রবর্তী । ফলে তাঁর সঙ্গে আর দেখা হয়নি লাভলীর ৷ ফোনে অবশ্য এই দুই নেতার মধ্যে কথা ও সৌজন্য বিনিময় হয় (Sujan Chakraborty And Lovely Maitra)৷
সুজন চক্রবর্তীর ভাই, দাদা-সহ পরিবারের অন্য সদস্যদের সঙ্গে এদিন কথা বলেছেন লাভলী মৈত্র ৷ রাস্তা ও পানীয় জল নিয়ে তাঁরা সমস্যার কথা জানালে তা সমাধানের আশ্বাসও দেন বিধায়ক ৷ এদিন দুপুরে যখন সুজন চক্রবর্তীর সোনারপুরের কালিকাপুর 1 গ্রাম পঞ্চায়েত এলাকার বাড়িতে যান লাভলী মৈত্র, সেসময় দলীয় কর্মসূচিতে যোগ দিতে পূর্ব মেদিনীপুরে ছিলেন এই সিপিএম নেতা ৷ ফলে দু'জনের মধ্যে ফোনে কথা হয় ৷ পরে সময় করে একদিন তাঁর বাড়িতে আসার আমন্ত্রণ লাভলী মৈত্রকে জানিয়েছেন সুজন চক্রবর্তী (Lovely Maitra is at Sujan Chakrabortys house) ৷
এদিন এই প্রসঙ্গে সুজন চক্রবর্তী বলেন, "লাভলী মৈত্র যখন আমার বাড়িতে গেলেন আমি তখন মেদিনীপুরে ছিলাম । হঠাৎ একটা ফোন আসে । একজন সাংবাদিক ফোন করেন ৷ জানতে পারি লাভলী মৈত্র আমার সঙ্গে কথা বলতে চান । আমার সঙ্গে তাঁর কথা হয়েছে ৷ চায়ের আমন্ত্রণও জানিয়েছি ৷ রাজনীতিতে এই সৌজন্য থাকা উচিত ৷ একজন জনপ্রতিনিধির সকলের বাড়ি যাওয়া উচিত ৷" তবে এদিন লাভলী যেভাবে সাংবাদিকদের খবর দিয়ে তাঁর সঙ্গে দেখা করতে এসেছিলেন, তা নিয়েও কটাক্ষ শোনা গিয়েছে সুজনের মুখে ৷
আরও পড়ুন: আজ থেকে তিনদিন আলিপুরদুয়ার সফরে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়
এই সিপিএম নেতার মতে, একজন জনপ্রতিনিধি, বিধায়ক বা সাংসদ তাঁর এলাকার বাসিন্দাদের কাছে যাবেন কথা বলবেন সেটাই স্বাভাবিক ৷ কিন্তু এভাবে সঙ্গে সাংবাদিকদের নিয়ে যাওয়ায় গোটা উদ্যোগে যেন কিছুটা চোনা পড়ে যায় ৷ মনে হয় প্রচারের জন্য এসব করা হচ্ছে ৷ যদিও লাভলী মৈত্র জানিয়েছেন, তিনি একদিন সময় করে সুজন চক্রবর্তীর বাড়িতে আবার এসে তাঁর সঙ্গে দেখা করে যাবেন ৷