জয়নগর, 20 সেপ্টেম্বর: বারুইপুর জেলা পুলিশের বড়সড় সাফল্য। অস্ত্র কারখানার হদিশ মিলল জয়নগরে। প্রচুর অস্ত্র-সহ গ্রেফতার করা হয়েছে রহমতুল্লা শেখ নামে এক ব্যক্তিকে। ওই কারখানা থেকে উদ্ধার হয়েছে আগ্নেয়াস্ত্র তৈরির সরঞ্জামও। ধৃত দীর্ঘদিন ধরেই আগ্নেয়াস্ত্র কেনাবেবেচার সঙ্গে যুক্ত বলে জানা গিয়েছে। ধৃতকে বুধবার বারুইপুর মহকুমা আদালতে পেশ করা হবে। ধৃতকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য নিজেদের হেফাজতে নিতে চায় পুলিশ।
বারুইপুর পুলিশ জেলার স্পেশাল অপারেশন গ্রুপ, জয়নগর থানা ও বকুলতলা থানার পুলিশ যৌথভাবে অভিযান চালায়। মূলত ক্রেতা সেজে যোগাযোগ করা হয় অস্ত্র ব্যবসায়ীর সঙ্গে। নির্দিষ্ট অর্থের বিনিময়ে মঙ্গলবার বিকেলে অস্ত্র ডেলিভারি করার কথা ছিল জয়নগরের ময়দা এলাকায় একটি নার্সিংহোমের সামনে। সন্ধে 6টা নাগাদ সময় দেওয়া হয়। প্রায় দেড় ঘণ্টা বিভিন্ন জায়গায় ঘোরানো হয়। পুলিশ কর্মীরা বাইক ও অটোতে ছিলেন। বিভিন্ন জায়গায় ঘোরার পর ময়দা এলাকা থেকেই অভিযুক্তকে ধরা হয়।
জানা গিয়েছে, ধৃতের বাড়ি জয়নগর থানা এলাকার কাশীপুর কামারিয়া এলাকায়। মূলত নির্জন এলাকায় দু'কামরার ঘর ও ছাউনি দেওয়া বাড়িতে চলছিল অস্ত্র তৈরির কারবার। বাড়ির পিছনেই রয়েছে পুকুর। যাতে কেউ কিছু বুঝতে না-পারে। পুকুরের ভিতরেও লুকনো ছিল অস্ত্র। অভিযুক্তের বাড়িতে তার সঙ্গে স্ত্রী ও ছেলেও থাকত। ধৃত বড়সড় অস্ত্রের কারবারি বলে জানা গিয়েছে। ঘটনাস্থল থেকে উদ্ধার হয়েছে অস্ত্র তৈরি করার পালিশ মেশিন, ড্রিল মেশিন, ডাইস, ফাইল, করাত, হ্যাক্সো, বাটালি, হাতুড়ি, লোহার পাত ও পাইপ। 8টি ওয়ান সাটার, 2টি লং মেশিনও উদ্ধার করা হয়েছে।
বুধবার সাংবাদিক বৈঠকে বারুইপুরের পুলিশ সুপার পলাশচন্দ্র ঢালি বলেন, "গোপন সূত্রে খবর পেয়ে এই অভিযানে বিভিন্ন প্রকার অস্ত্র বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে। আশ্চর্যের বিষয় হল, ছোট্ট একটা ঘরের মধ্যে আস্ত অস্ত্র কারখানা তৈরি করে রেখেছিল অভিযুক্ত।" তিনি আরও বলেন, "অনেক দিন ধরেই অভিযুক্তকে ট্র্যাক করছিলাম আমরা। এখনও পর্যন্ত ধৃতের সঙ্গে রাজনৈতিক কোনও সম্পর্ক রয়েছে কি না, জানা যায়নি। জিজ্ঞাসাবাদের পরেই তা পরিষ্কার হবে।"
আরও পড়ুন: বিএসএফের তৎপরতায় ভেস্তে গেল অস্ত্রপাচার, বাজেয়াপ্ত আগ্নেয়াস্ত্র