গঙ্গাসাগর, 10 জানুয়ারি: মকর সংক্রান্তির আগে গঙ্গাসাগর পরিদর্শনে গেলেন রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোস ৷ বুধবার বেলা 12টা নাগাদ গঙ্গাসাগরের পাঁচ নম্বর রাস্তার অস্থায়ী হেলিপ্যাডে নামেন তিনি ৷ এরপর সপরিবারে গঙ্গাসাগরে গিয়ে কপিলমুনি মন্দিরে পুজো দেন রাজ্যপাল ৷ পাশাপাশি খতিয়ে দেখেন মেলার প্রস্তুতি ।
এছাড়াও গঙ্গাসাগরের মন্দির চত্বর সংলগ্ন যে সকল ব্যবসায়ীরা রয়েছেন তাঁদের সঙ্গে কথা বলেন রাজ্যপাল ৷ পুজো দেওয়ার পাশাপাশি কপিলমুনি মন্দিরের মহন্তদের সঙ্গে সাক্ষাৎ করে কথা বলেন তিনি । সাংবাদিকদের সামনে তিনি বলেন, "গঙ্গাসাগর মেলা রাজ্যের বৃহত্তম মেলা । এই মেলাকে কেন্দ্র করে লক্ষ লক্ষ তীর্থযাত্রী একত্রিত হন । গঙ্গাসাগর মেলা হল মিলন মেলা । গঙ্গা আমাদের দেশের একতার প্রতীক ৷ আমরা গর্বিত এর জন্য ৷ জিস দেশ মে গঙ্গা বেহেতি হ্যায় ৷"
এদিন তিনি আরও বলেন,"ভারতের দীর্ঘতম নদী হল গঙ্গা । গঙ্গা শুধু নদী নয়, গঙ্গা আমাদের মা । আর এই ভারতের মা গঙ্গা যেখানে এসে বঙ্গোপসাগরে মিশেছে সেটাই ভারতের মানুষের জন্য পুণ্যতীর্থ গঙ্গাসাগর । ভারতবর্ষের আর পাঁচটা নদীর মতো গঙ্গা হিমালয় থেকে উৎপত্তি হয়ে গঙ্গাসাগরের এসে বঙ্গোপসাগরে মিশেছে । গঙ্গার নদীর উপর নির্ভর করে থাকে বহু পরিবার । আমরা সপরিবারে গঙ্গাসাগরে এসে কপিলমুনি মন্দিরে পুজো দিয়েছি ৷ আমাদের খুবই ভালো লেগেছে ।"
মেলা উদ্বোধন হয়েছে সোমবার ৷ বুধবার সকালে স্নান সেরে পুজো দেন দিলীপ ঘোষ ৷ এদিনই বেলা 12টা নাগাদ রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোস আসেন ৷ তিনিও মেলা চত্বরের নিরাপত্তা ব্যবস্থা খতিয়ে দেখেন ৷ আজই আসার কথা রয়েছে বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদারের ৷
ইতিমধ্যে গঙ্গাসাগর মেলাকে কেন্দ্র করে দেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে লক্ষ লক্ষ পুণ্যার্থী গঙ্গাসাগরে এসে পৌঁছেছেন । আরও আসবেন ৷ এবার রেকর্ড ভিড় হবে বলে আশা করছে প্রশাসন ৷ গঙ্গাসাগরে আসা তীর্থযাত্রীদের যাতে কোনওরকম অসুবিধা না হয় তার জন্য রাজ্য সরকারের পক্ষ থেকে একাধিক ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে ।
আরও পড়ুন :
- 'সাধুদের রং গেরুয়া, অপব্যবহার যেন না-হয়'; গঙ্গাসাগর মেলার উদ্বোধনে বললেন মমতা
- কুম্ভমেলা সবরকম সাহায্য পেলেও কেন্দ্রীয় বঞ্চনার শিকার গঙ্গাসাগর, আক্ষেপ মুখ্যমন্ত্রীর
- গঙ্গাসাগরে একগুচ্ছ প্রকল্পের শিলান্যাস ও উদ্বোধন মুখ্যমন্ত্রীর, ভারত সেবাশ্রম সংঘে করলেন আরতি