জয়নগর, 26 নভেম্বর: গত 13 নভেম্বর ভোরে বাড়ির কাছে মসজিদে নমাজ পড়তে যাওয়ার সময় পথে দুষ্কৃতীদের গুলিতে খুন হন বামনগাছি গ্রাম পঞ্চায়েতের তৃণমূলের পঞ্চায়েত সদস্য সইফুদ্দিন লস্কর। রবিবার নিহত তৃণমূল নেতার বাড়িতে পরিবারের সঙ্গে দেখা করলেন কলকাতা পৌরনিগমের মেয়র তথা রাজ্যের মন্ত্রী ফিরহাদ হাকিম। আর জয়নগর থেকেই ফের একবার বিজেপির বিরুদ্ধে সরব হল তৃণমূল নেতৃত্ব ৷
বামনগাছি অঞ্চলের মরিশ্বর মতিলাল অবৈতনিক প্রাথমিক বিদ্যালয়ে সইফুদ্দিন লস্করের স্মৃতিতে স্মরণ সভার আয়োজন করা হয় রবিবার। সেই স্মরণ সভায় কলকাতার মেয়র ফিরহাদ হাকিম ছাড়াও উপস্থিত ছিলেন ক্যানিং পূর্বের বিধায়ক শওকত মোল্লা, জয়নগরের বিধায়ক বিশ্বনাথ দাস, বারুইপুর পূর্বের বিধায়ক বিভাস সর্দার, সাংসদ শুভাশিস চক্রবর্তী-সহ একাধিক তৃণমূল নেতা। এদিন স্মরণ সভা থেকে ফিরহাদ হাকিম বলেন, "বাংলায় যত খুন হচ্ছে তার পিছনে একজনই রয়েছেন, 'মোটা ভাই'।" কার্যত নাম না-করে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহকে খোঁচা দেন রাজ্যের পুর ও নগরোন্নয়ন মন্ত্রী ফিরহাদ ৷
পাশাপাশি তিনি আরও বলেন, "দলুয়াখাকি গ্রামে মানুষদের সরকারি সাহায্য আমরা দিয়েছি ৷ যে সকল ঘর ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে সেই সব ঘরগুলিকে আমরা ক্ষতিপূরণও দিয়েছি। সকল রাজনৈতিক দলের নেতারা রাজনীতি করতে ছুটে যাচ্ছে ওই গ্রামে। বিজেপি, সিপিএম, আইএসএফ সবাই ওই গ্রামে ছুটে যাচ্ছে। রাজনীতি করার উদ্দেশ্যেই সবাই ছুটে যাচ্ছে ৷ কিন্তু সইফুদ্দিনের বাড়িতে কোনও রাজনৈতিক দলের নেতারা আসেনি। কেন না সইফুদ্দিন তৃণমূল করত। এদের পরিবার দিনের পর দিন চোখের জল ফেলছে, কিন্তু চোখের জল মুছতে কেউ আসেনি। দল এই পরিবারের পাশে রয়েছে ৷ দোষীদের শাস্তি দেওয়ার পাশাপাশি এদের পরিবারের সমস্ত সাহায্য তৃণমূলের পক্ষ থেকে করা হবে।" একইসঙ্গে, কেন্দ্রীয় সরকার ও সিপিএমের বিরুদ্ধেও ঝাঁঝালো মন্তব্য করতে শোনা যায় ফিরহাদ হাকিম।
গত 13 নভেম্বর নমাজ পড়তে যাওয়ার সময় বাড়ির অদূরেই তৃণমূলের পঞ্চায়েত সদস্য সইফুদ্দিন লস্করকে লক্ষ্য করে এক রাউন্ড গুলি চলে। গুলি লাগে তাঁর কাঁধে। তৃণমূল নেতাকে রক্তাক্ত অবস্থায় উদ্ধার করেন স্থানীয়রা। নিয়ে যাওয়া হয় জয়নগর এক নম্বর ব্লকের পদ্মেরহাট গ্রামীণ হাসপাতালে। তবে তাতে লাভ হয়নি কিছুই। চিকিৎসকরা জানান হাসপাতালে আসার পথেই প্রাণ গিয়েছে তৃণমূল নেতার।
আরও পড়ুন