বজবজ, 22 মে: বজবজের নন্দরাম দাসপাড়ায় অবৈধ বাজি কারখানায় বিস্ফোরণের ঘটনায় ইতিমধ্যেই বেশ কয়েকজনকে আটক করেছে পুলিশ । তাঁদেরকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্যই রাতে আটক করা হয়েছে বলে জানা গিয়েছে পুলিশ সূত্রে । পাশাপাশি, ডিএসপি ইন্ডাস্ট্রিয়াল নিরূপম ঘোষের নেতৃত্বে মহেশতলা এবং বজবজ থানার পুলিশের যৌথ উদ্যোগে রাতভর বাজিপাড়া জুড়ে চলেছে তল্লাশি অভিযান ।
উদ্ধার হয়েছে বস্তা বস্তা নিষিদ্ধ বাজি ও মশলা । ঘটনায় জিজ্ঞাসাবাদের জন্য বেশ কয়েকজনকে আটক করেছে পুলিশ । জানা গিয়েছে, সোমবার ঘটনাস্থলে যেতে পারে ফরেন্সিক দল । এলাকা পরিদর্শনে আসতে পারেন দমকলমন্ত্রী সুজিত বসুও। এগরার পর আবারও অবৈধ বাজি কারখানায় বিস্ফোরণের ঘটনায় সুর চড়িয়েছেন বিরোধীরা । প্রশ্নের মুখে প্রশাসন।
এগরা বিস্ফোরণের ভয়াবহতার স্মৃতি এখনও দগদগে । 16 মে পূর্ব মেদিনীপুরের এগরার খাদিকুল গ্রামের অবৈধ বাজি কারখানায় ভয়াবহ বিস্ফোরণ । যার জেরে গোটা এলাকা চেহারা নিয়েছিল ধ্বংসস্তুপের । ঘটনায় প্রাণ গিয়েছে 11 জনের । ভয়াবহতার সেই রেশ এখন বর্তমান । তার মধ্যেই রবিবার সন্ধ্যা নাগাদ আচমকাই বজবজ থানার অন্তর্গত নন্দরামপুর দাসপাড়ায় জয়দেব ঘাঁটির বাড়ির ছাদে ব্যাপক বিস্ফোরণের আওয়াজে কেঁপে ওঠে এলাকা। জানা গিয়েছে, অবৈধ বাজি কারখানার গোডাউন ছিল জয়দেব ঘাঁটির বাড়ি। ঘটনায় প্রাণ হারিয়েছেন একই পরিবারের তিনজন ।
পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, বিস্ফোরণের শব্দ শুনেই আতঙ্কিত এলাকাবাসীরা বাইরে বেরিয়ে আসেন । খবর দেওয়া হয় দমকল বাহিনীকেও । আসেন ডায়মন্ড হারবার পুলিশ জেলার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার অর্ক বন্দ্যোপাধ্যায় । তবে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনতে বেশ বেগ পেতে হয়েছে দমকল কর্মীদের । রাস্তা সরু হওয়ায় দমকলের ইঞ্জিন পৌঁছাতেই পারেনি বিস্ফোরণস্থলে। অবশেষে স্থানীয়রাই আগুন নেভানোর কাজে হাত লাগান । পরবর্তী সময় দমকল কর্মীরা বিস্ফোরণস্থলে কুলিং প্রসেস চালান ।
ঘটনায় গুরুতর আহত হয়েছিলেন জয়দেব ঘাঁটির শাশুড়ি যমুনা দাস(65), স্ত্রী পম্পা ঘাটি (45) ও মেয়ে জয়শ্রী ঘাটি (10) । তাঁদেরকে বজবজ আএসআই হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসর তিনজনকেই মৃত বলে ঘোষণা করেন । ঘটনায় আহত হয়েছেন আরও বেশ কয়েকজন । এরপরেই রবিবার রাতভর ডিএসপি ইন্ডাস্ট্রিয়াল নিরূপম ঘোষের নেতৃত্বে মহেশতলা এবং বজবজ থানার পুলিশের যৌথ উদ্যোগে বাজিপাড়া জুড়ে চলে তল্লাশি ।
আরও পড়ুন: এগরার পর এবার বজবজ, বাজি কারখানায় বিস্ফোরণে মৃত নাবালিকা-সহ 3